a
ফাইল ছবি
আগামী ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
গতকাল ১২ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং শুক্রবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব ও সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে গতকাল থেকে ঢাকায় অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত আজও অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক তথ্যে জানান, গতকালের মতো আজও বৃষ্টি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হবে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আকাশে মেঘ জমা থাকবে। তবে, সন্ধ্যার পর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে অফিসগামী মানুষের চরম ভোগান্তি বেড়েছে। এছাড়াও দুর্ভোগের শিকার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। রাস্তায় মানুষ ও গণপরিবহনে উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়নি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
চলতি মাসের ৩০ তারিখ থেকে বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহর এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এবং দিনাজপুর, বগুড়া,কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার সিদ্ধান্তও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো, ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াব, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর এবং ডাইরেক্ট টু হোম-ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সচিব মো. মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী আমাদের দেশে সকল বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচারের নিয়ম পালন, টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা এবং সংশ্লিষ্ট অসংগতি দূর করার উদ্দেশ্যে আমরা করোনা মহামারি শুরুর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু দেশে স্রষ্টার কৃপায় এবং প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গণটিকার কার্যক্রমে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমছে, সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আমরা আগের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন এবং বর্তমান প্রেক্ষিত নিয়ে পুরো বিষয়টা আলোচনার জন্য বসেছি।
ড. হাছান জানান, ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য গ্রাহকদের অবহিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ দেশ ডিজিটাল হয়েছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটি হয়নি, সেটি হতে হবে।
এছাড়া, ইন্টারনেটে ভিডিও স্ট্রিমের মাধ্যমে অনুমোদনহীন টিভি দেখানো, অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ, ক্যাবল নেটওয়ার্কে অবৈধ সিনেমা বা বিজ্ঞাপন প্রচার, একজনের এলাকার মধ্যে আরেকজনের অনুপ্রবেশ, লাইসেন্স ছাড়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই পরপর দু’বছর নবায়ন না করায় ১২০০ কেবল অপারেটিং এবং ফিড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান-উল-আলম, এটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু, জাদু ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাভিদুল হক, ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন মিয়া, কোয়াব প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা সুলতানা, আইন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান গাজী, ক্যাবল অপারেটরদের প্রতিনিধি এস এম আনোয়ার পারভেজ, এ বি এম সাইফুল হোসেন, এম ওমর ফারুক, মোহাম্মদ নাজমুদ্দোহা, বেক্সিমকো কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি মো. মুসা আমিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।