a কলাপাড়ায় তরমুজের ক্রেতা নেই বাজারে
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কলাপাড়ায় তরমুজের ক্রেতা নেই বাজারে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১০:০৭
কলাপাড়ায় তরমুজের ক্রেতা নেই বাজারে

ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রেতা সংকটের কারণে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো এ উপজেলায়ও চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না লোকজন। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে কমে গেছে তরমুজের চাহিদা। 

এ ছাড়া ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পঁচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তরমুজ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। 

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষি তাদের খেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষিরা তরমুজের ভালো দাম পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা সংকটে পড়েগেছে। ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে তরমুজ ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। দু-চারটা যা বিক্রি করছি তাতে আশানুরূপ ভালো দাম পাচ্ছি না। 

জলিল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু তরমুজে পচন ধরেছে। অপর ব্যবসায়ী আনসার আলী জানান, হঠাৎ তরমুজ খাওয়া কমে গেছে। কাঁচামাল মজুদ করারও কোনো সুযোগ নেই। তার অন্তত সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল। 

লকডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। আগে ভাগেই তরমুজ খেত কিনে বিপদে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভালো হত। না হয় লোকসানের বোঝা বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন এই তরমুজ ব্যবসায়ী। 

কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো কলাপাড়ায় লকডাউন চলছে। তাই ঘর থেকেবাইরে বের হচ্ছে না লোকজন। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে চাহিদাও কমে গেছে তরমুজের। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কায় ভুগছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, এ উপজেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে । ফলনও হয়েছে ভালো। চাষিরা লকডাউনের আগেভাগেই খেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই সময় তারা দামও ভালো পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সালথায় সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে আগুন, থানা ঘেরাও



মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩০
সালথায় সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে আগুন, থানা ঘেরাও

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে থাকা সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়া সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন যে, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমর সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়। পরে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে, জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও হামলা করে। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।

এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির নিকট হতে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের উপরে হামলা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। 

ওসি আশিকুজ্জামান জানান, উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনির বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শ্বাসকষ্ট বাড়ায় সিসিইউতে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
সোমবার, ০৩ মে, ২০২১, ০৭:৪৮
শ্বাসকষ্ট বাড়ায় সিসিইউতে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর

ফাইল ছবি

করোনা আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ দুপুরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ম্যাডাম কিছু শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন সকালের দিকে। পরে চিকিৎসকরা বিকাল ৪টায় সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। তারা জানায় খালেদা জিয়ার অবস্থা এই মুহূর্তে (সাড়ে ৪টায়) স্থিতিশীল।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। 

করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। 
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - সারাদেশ