a গণপরিবহন চালুর দাবিতে রবিবার পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গণপরিবহন চালুর দাবিতে রবিবার পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৫১
গণপরিবহন চালুর দাবিতে রবিবার পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ফাইল ছবি

আগামী রবিবার (২ মে) গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করবে পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
 
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে। সামনে ঈদ। এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন এর প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় থাকায় তাদের জীবিকা নির্ভর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। 

এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বহন করবে না। এই প্রেক্ষিতে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দাবিও কর্মসূচি হলো;

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহনও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী আরও বলেন, আমাদের এই তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২ মে রবিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ মে মঙ্গলবার সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আমরা লক্ষ্য করেছি যাত্রীরা অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মিনি ট্রাক মোটর সাইকেলে স্বাস্থ্যবিধি নামেনি যাত্রী পরিবহন করছে। এমনকি নদীপথে স্পিডবোর্ড ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি যাত্রী এবং অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। 

যাত্রীরা দূর-দূরান্তে চলাচলের জন্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত অর্থব্যয় করে নানান হয়রানির শিকার হয়ে যাতায়াত করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করা হলে যাত্রীরা সব ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই চলাচল করতে পারবেন। আমরা গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হবে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও এক কলেজ ছাত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০১
শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও এক কলেজ ছাত্রী

ফাইল ছবি

রাজধানীর শাহজাহানপুরের রাজপথে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও অপরজন রিকশা আরোহী প্রিতি (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার রাতে মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ডলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। নিহত জাহিদুল সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ডলির স্বামী। এছাড়া তিনি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এছাড়া আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে এ গুলি চালায় বলে জানান স্থানীয়রা।

নিহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি নিজ গাড়িতে বসা ছিলেন। অপরজন রিকশা আরোহী প্রিতি (২৪)। তিনি ঢাকার একটি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।

অপর আরেকজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম মুন্না (২৬)। তিনি জাহিদুল ইসলামের গাড়িচালক। তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আজকের রাজনীতি, আগামী দিনের ইতিহাস ড. শেখ আকরাম আলী


কর্নেল(অব.) আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৩
আজকের রাজনীতি, আগামী দিনের ইতিহাস ডক্টর শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনীতি একটি জাতির ভবিষ্যৎ ইতিহাস নির্ধারণ করে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করে। যে জাতি অতীতের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থেকে শিক্ষা নেয়, সেই জাতিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নতুন সমাজ গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের জ্ঞান ছাড়া কোনো জাতি সামনে এগোতে পারে না। সফলতা ও ব্যর্থতা—উভয়ই জাতীয় ইতিহাসের অংশ এবং সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।  

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা এমন একটি জাতি যারা ইতিহাস অধ্যয়ন পছন্দ করি না; বরং সেটিকে উপেক্ষা করে বারবার ভুল পথে হাঁটি। প্রতিবার ভুল করার সামর্থ্য কোনো জাতির থাকে না, কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে তা-ই করে আসছি, কারণ আমরা ইতিহাসের জ্ঞানকে গুরুত্ব দিইনি।  

ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা আধুনিক শিক্ষার অভাবে পিছিয়ে ছিল। স্যার সায়্যিদ আহমদ এগিয়ে এসে মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেন। একইভাবে স্যার সায়্যিদ আমীর আলী ও নবাব আবদুল লতিফ অবিভক্ত বাংলার মুসলমানদের জন্য কাজ করেন। কিন্তু পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি, যতক্ষণ না পাকিস্তানের জন্ম হয়।  

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নতুন শিক্ষার সুযোগ পায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রদের জন্য উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। এর ফলে এই অঞ্চলের ছাত্ররা পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রশাসনিক ক্যাডারে ও কেন্দ্রীয় সরকারে প্রবেশের সুযোগ পায়। মূলত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশের জন্ম সম্ভব করেছিল।  

পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত বাঙালি অভিজাত শ্রেণির দ্রুত উত্থান ঘটে, যা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ফলেই সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই ইতিহাস ভুলে গেছি এবং তাদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকার করিনি। এমনকি আমরা তাদের ন্যূনতম সম্মান জানাতেও ব্যর্থ হয়েছি।  

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের তেমন প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যদিও একসময় জগন্নাথ কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠেছিল, তা ব্যর্থ হয়। সম্ভবত রাজনীতিবিদরা তখন সুবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিলেন এবং অতীতের সমাজ সংস্কারকদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন।  

কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের কাজটাই যেন সবচেয়ে আগে শুরু হয়। জিন্নাহ হলের নাম পরিবর্তন করে সূর্য সেন হল রাখা হয়, ইকবাল হলের পরিবর্তে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল নামকরণ করা হয়। সারাদেশেই এমন নাম পরিবর্তনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।  

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাঁচটি হলের নাম পরিবর্তন করেছে এবং বেশিরভাগ হলের নতুন নামকরণ একটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যদের নামে করা হয়েছে। ইতিহাস বারবার ফিরে আসে, কিন্তু আমরা তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি না।  

একই ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির নজির আমরা দেখেছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয় এবং বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু বছর পরেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ঘিরে একই ধরনের প্রতিশোধমূলক রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছি।  

বাংলাদেশের সমাজে বিভাজনের বীজ বপন করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই এই বিভাজন দৃষ্টিগোচর হয়, যা পরবর্তীতে আরো গভীর হয়েছে। বিশেষ করে সর্বশেষ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এটিকে প্রকাশ্যে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে সমাজকে স্থায়ীভাবে বিভক্ত রাখার উদ্দেশ্যে।  

সংস্কৃতি ও শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ভারতীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এ দুটি ক্ষেত্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এর জন্য ভারতীয় স্বার্থরক্ষাকারী স্থানীয় এজেন্টরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে এবং এখনো করছে।  

গত পাঁচ দশকে আমরা জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে চরমভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছি। আমাদের পেশাদার শ্রেণি আজকের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। ফলে আমরা ধীরে ধীরে মেধাহীন ও প্রতিভাহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। এটি মূলত ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির ফলাফল।  

উচ্চশিক্ষা থেকে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়াটা আমাদের সমাজের জন্য বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতা করতে পারছে না, কারণ তাদের ইংরেজির দক্ষতা অত্যন্ত দুর্বল। এটি একমাত্র ফ্যাসিবাদী শাসকদের ভুল নীতির ফলাফল।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দেয়নি, বরং কখনো কখনো আমাদের হতাশ করেছে। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছে, এবং তারা যদি এই সুযোগ নষ্ট করে, তাহলে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। তাদের কর্মকাণ্ডই ভবিষ্যৎ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।  

আমরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে পরিপক্ব ও বাস্তবমুখী রাজনীতি দেখতে পাবো। কারণ, আজকের রাজনীতি আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে উঠবে, এবং আমরা আর কোনো ভুল করার সুযোগ নিতে পারি না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - সারাদেশ