নিজস্ব প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ি: বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় দলের চিহ্নিত পছন্দনীয় ব্যক্তিরাই মনোনয়ন সংগ্রহ করে তারাই নির্বাচিত হতেন। আজ জামালপুর, সরিষাবাড়ি, তারাকান্দি সার কারখানায় এক ব্যতিক্রম দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। জামালপুর, সরিষাবাড়ি যমুনা সারকারখানা সিবিএর নির্বাচন উপলক্ষে জামালপুর জাতীয়তাবাদী দলের সভাপতি জনাব ফরিদুল কবীর তালুকদার শামিমের নির্দেশে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের এক অভাবনীয় উম্মুক্ত পরিবেশে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রত্যেক প্রার্থী নিজে বা তার প্রতিনিধির দ্বারা তাদের কাংখিত মনোনয়নপত্র অতি সহজেই সংগ্রহ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব মনিরুজ্জামান আদম, সিবিএ-র সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও সরিষাবাড়ি উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোরশেদ আলম তালুকদার।
আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জেএফসিএল শাখা উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সফল সদস্য রাশেদুজ্জামান (লিটন), আওনা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান (মাছুম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম( হাই), পোগলদিঘা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম (স্বপন), জাহাঙ্গীর, রোকন, যুব নেতা উজ্জ্বল, অংকন, ভালো, রমজান আলী (বিপ্লব) ও ছাত্র নেতা সুমন প্রমুখ।
আজ ৩ মে সকালে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে পিতা-মাতা ও দুই বোনকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে প্রানে বেঁচে গেল শিশু মিম। আজ সকালে দুর্ঘ’টনার পর নদীতে একটি ব্যাগ ধরে ভাসতে থাকা মিমকে উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
সোমবার দুপুরে শিবচরের পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু মিম শিবচর ইউএনও অফিসের এক কর্মচারি ও বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাটের নৈশ প্রহরী দেলোয়ার ফকিরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের একটি কক্ষে দুপুরের ভাত খাচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিশু মিমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, ছোট দুই বোন সুমি (৫) ও রুমি (৩) স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিমকে উদ্ধারকারী নৌ পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী বলেন, ‘শিশুটিকে নদীতে ব্যাগ ধরে ভাসতে দেখি, তার হাত ও চোখের কাছে কিছুটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। দ্রুত তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জানা যায় শিশুটির পরিবারের সকল সদস্যরাই মারা গেছে।’
শিশু মিম শুধু জানে তার মা, বাবা, বোনেরা কেউ বেঁচে নেই। মাঝে মাঝেই মা মা বলে কেঁদে উঠছে সে। কান্নারত অবস্থায় মিম বলে, আমরা দাদা মারা গেছে দাদাকে শেষবারের মত দেখতে আমরা বাড়ি যাচ্ছিলাম। এখন আমার আর কেউ রইলো না।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে এসে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন ৷
১৭ই অক্টোবর (রবিবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২১এর ভর্তি পরীক্ষা একযোগে সারাদেশে ২৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
১৭ অক্টোবর (রবিবার) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে আসতে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকা সহ আশেপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
আজ সরজমিনে দেখা যায় সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসের গেইট গুলো খুলে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা একে একে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গুলো তাদের নিজ নিজ জেলার নামে ব্যানার নিয়ে দুরথেকে আগত পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে টেবিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি গেটের আশেপাশে অবস্থান করে।
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যগণ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন তুলে দেয় শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সাথে সাথে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে শুরু করে প্রত্যেকটা কেন্দ্রে। ক্যাম্পাসে প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট টহলরত অবস্থায় ছিলো সার্বক্ষণিক। এই সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। সাথে ছিলেন কোষাধক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, রেজিস্টার ওয়াহিদুজ্জামান ও বিভিন্ন বিভাগের ডিন, প্রক্টোরিয়ালবডির সদস্যগণ।
পরিদর্শন শেষে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, " পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ডিস্টার্ব না হয় সেজন্য আমরা সবগুলো হলের ভিতরে প্রবেশ করিনি। তাদের জন্য পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এক নম্বরের জন্য সিরিয়াল অনেক পেছনে চলে যেতে পারে।"
পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছু একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একসাথে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি। এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে পরীক্ষা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ বলেন, প্রশ্ন কিছুটা কঠিন হলেও সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে। আমাদের আর্থিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার হয়েছে।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুরু থেকেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সাথে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে এটাই আমাদের পরিশ্রমের সফলতা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে।