রংপুরের বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন বোনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার কুতুবপুরপুর ইউনিয়নের নাটারাম গ্রামে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- বদরগঞ্জের ওসমানপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে রাবেয়া বাশরী (১০), রুবিনা আক্তার (১৬) ও রবিউলের ভাই সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১১)। তারা একসঙ্গে নাটারাম শেখপাড়ায় তাদের ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সাদিয়া আক্তার চেতনা বিদ্যা নিকেতনের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপর দুই বোন রুবিনা আক্তার ওসমানপুর ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণি ও রাবেয়া বাশরী সাহেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা এ বিষয়ে জানান, ঈদের পর ওসমানপুর থেকে শেখপাড়ায় ফুফু কোহিনুর বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসে সাদিয়া, রাবেয়া ও রুবিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানকার যমুনেশ্বরী নদীতে সাঁতার শিখতে একসঙ্গে তিন বোন নেমে পড়ে। এ সময় পা পিছলে তারা নদীর প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের চাচা বাদশা মিয়া এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, এক সপ্তাহ আগে ভাতিজিরা আমার বড়বোন কোহিনুরের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা কেউ সাঁতার জানত না। নদীতে নেমে এমন দুর্ঘটনার শিকার হবে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ এইচ এম সানাউল হক বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর অনেক আগেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মামুনুল হককে নিয়ে কুরুচি ভাষায় মন্তব্য করায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় গ্রেফতার ঝুমন দাসের গ্রামে মামুনুল হকের অনুসারীরা হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় গ্রেফতার করা হয়েছে ঝুমন দাসকে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রামটিতে অন্তত ২০ ঘরবাড়ি ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুনুল হকের অনুসারীরা লঠিসোটা হাতে মিছিল নিয়ে ওই গ্রামে হামলা করে। হামলার আগেই আগাম খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে হাওরে আশ্রয় নেন নোয়াগ্রামের ঝুমন দাসের আশে-পাশের লোকজন। ফলে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শৈলেন্দ্র দাস জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছে তাকে তারা গতকাল ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এরপর গ্রামের অন্যান্যদের আশ্বস্ত করা হয়েছিলো আর কিছু হবে না। কিন্তু সকালেই লাঠিসোঠা নিয়ে কয়েকশ’ মানুষ পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনেই হামলা চালায়।
তারা আগাম খবর পেয়ে গ্রামের নারীসহ পুরুষরা শিশুদের নিয়ে হাওরের আশ্রয় নেয়। এরপর বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের আসবাব ভাংচুর করা হয়েছে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন তার ঘরে থাকা স্বর্ণ ও টাকাও লুট করে নিয়ে যায়।
শাল্লা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি করেছিল, তাকে ধরে গতরাতেই গ্রামের লোকজন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকালে হঠাৎ শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগ্রামের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশও তাদের পিছু নেয়। কিন্তু কিছু লোক আগেই নদী পার হয়ে নোয়াগ্রামে হামলা চালায়। এ সময় ঝুমন দাসের বাড়িসহ প্রায় ২০ বাড়িঘরে ভাঙচুর হয়।
ওসি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। গত সোমবার শাল্লার পাশের উপজেলা দিরাইয়ে হেফাজতের একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
রাজধানীর সোয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস দল। আজ ভোরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, সোয়ারিঘাটে জুতার কারখানায় আগুন নেভানোর পরপরই আমরা সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করি। পরে তৃতীয় তলার কারখানাটির দ্বিতীয় তলা থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভবনটির নিচে-ওপরে জুতা তৈরির কারখানা হলেও দ্বিতীয় তলায় শ্রমিকরা থাকতেন বলে আমরা জানতে পাই। আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটে কামালবাগ এলাকার একটি জুতার কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।