ধরলা ও দুধকুমার নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন নদী গর্ভে বিলীনের পথে। প্রায় ১ মাস যাবৎ ধরলা ও দুধকুমার নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
দুধকুমার নদীর তীরে মালেক মেম্বারের বাড়ী হতে মহুবাদশা মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন চলছে। ধরলা নদীর তীরে আলামীন বাজার হতে বিন্দুর ঘাট পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন চলছে। গত ১ মাসের ব্যবধানে মোল্লারহাট বাজারে ১শ দোকান, ৮শ পরিবারের বসত ভিটে, শত শত বিঘা আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ধরলা ও দুধকুমার নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে বালাডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুদিরকুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, ব্যাপারী পাড়া জামে মসজিদ, বালাডোবা মোল্লারহাট জামে মসজিদ, খুদিরকুটি কাশেমবাজার জামে মসজিদ, খুদিরকুটি কাশেমবাজার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, খুদিরকুটি কাশেমবাজার বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র, খুদিরকুটি কাশেমবাজার ভুমি অফিস, বালাডোবা এবতেদায়ি মাদ্রারা সহ অসংখ্য দোকান ও বসতভিটা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ধরলা ও দুধকুমার নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য ইতোমধ্যে বেগমগঞ্জে ধরলা ও দুধকুমার নদীতে ভাঙ্গন পয়েন্টে ২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলেছে। গত শুক্রবার ১২ মার্চ দুপুরে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছে ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম.এ মতিন।
পরিদর্শন কালে সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম, উলিপুর উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সরকার, বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আকতার হোসেন।
এ সময় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ জন সাধারনের উদ্দেশ্যে ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম.এ মতিন বলেন- দুধকুমার নদী শাসনের জন্য সরকারি ভাবে ৩শ’ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। তিস্তা নদীর উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সরকার বাজেট বরাদ্দ করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। অচিরেই নদী আমদের জন্য আর অভিশাপ নয় আর্শিবাদ রুপে সৃষ্টি হবে।
একুশে সংবাদ/ হা.খ / এস
আপনার মতামত লিখুন :