ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে সবজি, আমনসহ বিভিন্ন ফসল। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীতীরবর্তী ভূঞাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলেশ্বরীর নদীর পানি ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পুংলী নদীর পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বংশাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, যমুনাসহ সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্ষতি হচ্ছে সবজি, আমনসহ বিভিন্ন ফসল। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী ভূঞাপুরসহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘর সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন লোকজন।
হবিগঞ্জ জেলা বানিয়াচং উপজেলার আলম বাজার টম টম ষ্ট্যান্ড হইতে হিয়ালা, মকরমপুর সাংগর, ইকরামে যাতায়াতে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। জনবহুল এই এলাকার এলজিইডির রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার।
অপরদিকে এসব রাস্তায় একমাত্র বাহন টম টম চালক যা যাত্রীদের মোটেও সম্মান দিতে জানেনা। গাদাগাদি করে ও অধিক ভাড়ায় যাত্রী বহন করে থাকে। কোন ভদ্রলোক তাদের এ অনিয়মের প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস রাখেননা। কারণ তাদের সিন্ডিকেট এর কবল থেকে মান সম্মান যাই হোক প্রাণ বাঁচিয়ে গন্তব্যে পৌছাই যেন কঠিন।
উল্লেখিত এলাকাটি কৃষি নির্ভর হওয়ায়, একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি ট্রাক্টর চলাচল করে আরোও ক্ষতি করেছে। হবিগঞ্জ উমেদনগর শিল্ল এলাকার মালিকদের মালামাল পরিবহনের গাড়ীগুলো চলাচল এই রাস্তায় করার কারণে এসব রাস্তা নষ্ট হওয়ার বড় কারণ। তারা ধান কিনে তাদের বয়লার মিলে নিয়ে যায় এবং এসব এলাকা থেকেই বেশীরভাগ পণ্য সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এসব ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগের সম্মুখীন হন। কিন্তু তারা সচেতন না হওয়ায় এসব মেরামতের ব্যাপারে সরকার বা শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে কেউ উদ্যোগী হচ্ছেনা।
তাই, সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় সরকার এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন, যত দ্রুত ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করে জনগণের চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করা হোক। আর এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেন এসব বেহালকৃত রাস্তাঘাট মেরামতে ও রাস্তাঘাটে বেহাল পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে উমেদনগর শিল্প মালিকরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের পাশাপাশি তারাও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন।
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় উগ্র ডানপন্থীরা বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ফলে ফ্রান্সে বসবাসকারী ইহুদিদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা এখন দলে দলে বসবাসরত দেশটি ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাথমিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনে মারিন লে পেন-এর উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) পেয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে- বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট অ্যালায়েন্স। দলটি ২৮.৫ থেকে ২৯.১ শতাংশ ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর জোট ২০.৫ থেকে ২১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
জরিপ সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, আরএন ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের পর তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
সংস্থাগুলোর হিসাবে ভিন্নতাও আছে। ইপসস-এর প্রজেকশন অনুযায়ী আরএন পাবে ২৩০ থেকে ২৮০ আসন; ইফপ-এর হিসাব হচ্ছে ২০৪ থেকে ২৭০; এবং এলাব একমাত্র সংস্থা যারা এরএন-এর আসন সংখ্যা ২৬০ থেকে ৩১০-এর মধ্যে করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে কোয়েলিটা অ্যাসোসিয়েশন ফর দি এবজরপশন অ্যান্ড এনকারেজমেন্ট অব জিউশ ইমিগ্রেশন বা আলিয়াহ’র সিইও অ্যারিয়েল কান্ডেল বলেছেন, “এখন প্রায় ৫০ হাজার ফরাসি ইহুদি ফ্রান্স ত্যাগের কথা ভাবছে।”
এনআরের সভাপতি জর্ডান বরদেল্লা এবং এর শীর্ষ আইনপ্রণেতা মারিন লে পেন ধর্মীয় উপাসনায় সরকারি অবস্থান সীমিত করতে চান। দলটির মুসলিমবিরোধী অ্যাজেন্ডার অংশ হিসেবেই তারা ইহুদিদেরও সংযত করতে চায়। তারা বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের পেনসন সুবিধাও সীমিত করতে চায়।
এনআর-এর অনেক সমালোচক দলটিকে অ্যান্টিসেমিটিক হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে অনেকে এই অভিমতের সাথে একমত পোষণ করতে পারছেনা।
কান্ডেল বলেন, যদি জ্যাঁ-লাক মেলেনচোনের নেতৃত্বে উগ্র বামরা ক্ষমতায় আসে, তবে ইহুদিদের ফ্রান্স ত্যাগের আরও প্রবল তাগিদ সৃষ্টি হবে। কারণ অনেক ইহুদিই মেলেনচোনকে অ্যান্টিসেমিটিক বিবেচনা করে।
উল্লেখ্য, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ তৃতীয় বছরে গড়িয়েছে এবং জ্বালানি আর খাদ্য মূল্য অনেক উঁচুতে, তখন অভিবাসন-বিরোধী আরএন পার্টি এগিয়ে গেছে।
এই নির্বাচন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সে প্রথমবার উগ্র ডানপন্থীদের ক্ষমতায় আনতে পারে, এবং দলের নেতা লে পেনের শিষ্য ২৮-বছর বয়স্ক জর্ডান বরদেল্লাকে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল