সিলেটে আবারও বন্যার আশঙ্কা করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। গত মাসেই সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়ে যায় এই বিভাগে। ১১ মে থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দিলে তলিয়ে যায় ১২টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা।
এই বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও সিলেটে বন্যার আশঙ্কায় হাওরবাসী চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আগের বন্যায় কৃষি, সড়ক, বাঁধ, ঘরবাড়ি ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি রয়েছে। এখন নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া পেয়ে নদী ও হাওর তীরের মানুষ ভীষণ উদ্বিগ্ন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাহম বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। এতে সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাটে ৬৭ মিলিমিটার ও সিলেটে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ভারতের বরাক নদীর পানি অমলসিদ পয়েন্টে বেড়ে কুশিয়ারা ও সুরমায় চাপ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে চলতি মাসে স্বল্পমেয়াদী বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। ভারি বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় স্বল্পমেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিম লিংকন গ্রামবাসীর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাটাপোল গ্রামে মাটিকাটা ট্রাক্টরের চাপায় ওহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয় এবং তার ছেলে ইয়াসিন আলী (৭) গুরুতর আহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিম লিংকন এলাকায় জনরোষের মুখে পড়েন। এরপর তার ওপর হামলা চালালে মাথায় আঘাত পান।
এলাকাবাসী তথ্য মতে, বারবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবৈধভাবে ফসলের জমি নষ্ট করে মাটিকাটা বন্ধ করার জন্য লিখিত আবেদন করলেও কোনো কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে এ দুর্ঘটনা ঘটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তিনি জনরোষের মুখে পড়েন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি। জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসার ভাল আছেন।
ভারত সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে থান্টলাং শহরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে শহরের বহুসংখ্যক ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যায়।এতে শহরে বসবাসকারী প্রায় অর্ধেক লোক পালিয়ে গেছে।
সালাই থাং নামে একজন কমিউনিটি লিডার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সালাই থাং-সহ উদ্বাস্তু হওয়া লোকজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। অনেক লোকজন ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া লোকজন মারাত্মকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটি মারাত্মক সংকটের মাঝে চলছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।