ঢাকা বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কুমিল্লায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ৩ জন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১, ১২:২২
কুমিল্লায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ৩ জন

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা জেলা সদর দক্ষিণে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুয়াগাজী জোরকানন ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুয়াগাজী জোরকানন ইউটার্নে পৌঁছালে প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিমানবন্দরে দুধের শিশুকে যে কারণে ফেলে পালিয়েছিলেন মা



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৫২
যে কারণে দুধের শিশুকে বিমানবন্দরে ফেলে পালিয়েছিলেন মা

গতকাল শুক্রবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিভাবকবিহীন অবস্থায় ৮ মাস বয়সের এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল আটটার পরে বিমানবন্দরের ভেতরে একটি চেয়ারে বসে ফিডারে দুধ খাচ্ছিল শিশুটি। তখন বিষয়টি পুলিশর নজরে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির কোনো অভিভাবককে পায়নি বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে জানান, রাত দুইটার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এক নারী যাত্রী আসেন এবং এরপর তিনি ৫ নম্বর বেল্ট থেকে মালামাল সংগ্রহ করেন। সেই নারীর সঙ্গে এই শিশুটি ছিল। শিশুটিকে নিয়ে সে নারী সকাল পর্যন্ত অ্যারাইভাল বেল্টের পাশেই শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন।

মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত ওই নারী বিমানবন্দরেই ছিলেন। আটাটার দিকে শিশুটিকে ফেলে তিনি চলে যান। এরপর আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি।’

এদিকে এ বিষয়ে ওই শিশুটির মায়ের সাথে আসা এক সহযাত্রী বলেন, ‘আমি চারটার দিকে নামছি। তখন থেকে ঐ বাচ্চাকে ওখানে ঘুমিয়ে আছে। আর ওর মা ওখানে দাঁড়ায়ে আছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শিশুর মা তাকে বলেছেন, আপা সৌদি আরবে আমি বিয়ে করছি। আমি বলছি আপনার এটা করা উচিত হয়নি। বলতে-বলতে কেঁদে দিছে।’

এদিকে পুলিশের ধারণা হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে শিশুটিকে সঙ্গে না নিয়ে এয়ারপোর্টে রেখেই চলে যান সে নারী।

এদিকে যে নারী এই শিশুটিকে বিমানবন্দরে রেখে চলে গেছেন তাকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শিশুটি এখন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।

এ বিষয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, এখন শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘দত্তক নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যাচাই-বাছাই করে ভালো একটি জায়গায় দত্তক দেওয়ার কথা আমরা চিন্তা করছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সে নারীর নাম, ঠিকানা এবং অবস্থান জানা গেছে। কিন্তু সেটি প্রকাশ করা হবে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রুশদির আঙুলে অনুভূতি না থাকায় নিজ হাতে লিখতে পারছেন না


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৭ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৩২
রুশদির আঙুলে অনুভূতি না থাকায় নিজ হাতে লিখতে পারছেন না

ফাইল ছবি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি এখন ভালো থাকলেও নিজ হাতে লিখতে পারছেন না কিংবা কিছু টাইপ করতে পারছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন রুশদি। বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখক গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার শিকার হন।

নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর থেকে বেশ অসুস্থ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর উপন্যাস প্রকাশ উপলক্ষে আবারও আলোচনায় এসেছেন। তবে রুশদি শারীরিক অবস্থার কারণে উপন্যাসের প্রচারকাজে নিজে অংশ নিচ্ছেন না।

রুশদি বলেন, ‘আমি এখন একা দাঁড়াতে পারি এবং হাঁটতে পারি। আমি যখন বলছি, আমি ভালো আছি, এর মধ্য দিয়ে আমি এটাই বলছি, আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এটা ভয়ংকর হামলা ছিল।’ নিউইয়র্কের ওই হামলার পর থেকে বেশ ভয়ের মধ্যেও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকালে বেশির ভাগ সময় তাঁকে সরকারের সুরক্ষা নিয়ে থাকতে হয়েছে। ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে বিভিন্ন মহল। এটি প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ