ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

কোরবানি ঈদ সম্পর্কে যা বললেন মুফতী মুস্তাফিজুর


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ১১:২০
কোরবানি ঈদ সম্পর্কে যা বললেন মুফতী মুস্তাফিজুর

সংগৃহীত ছবি

বছর ঘুরে আবারো এল পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলিমদের জীবনে ঈদুল ফিতরের মতো আরেকটি আনন্দোৎসব হলো ঈদুল আজহা। এদিন ধনী-গরীব সকল মুসলমানই ঈদগাহে হাজির হয় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দু’রাকাত নামায আদায় করেন। আর সামর্থ্যবান মুমিন বান্দারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য রাসূল সাঃ এর তরিকা অনুযায়ী কুরবানীর পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে থাকেন। 

পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম উৎসবের দিন। যার মূল বিষয় হল কুরবানী করা। এটি কুরআন-সুন্নাহর অকাট্যভাবে প্রমাণিত বিধান এবং আল্লাহ ও রাসূলের পক্ষ হতে নির্দেশিত অন্যতম প্রধান ইবাদত।

এই দিনের আনন্দ হল, দশই যিলহজ্ব আল্লাহর মাগফিরাত লাভের আনন্দ এবং ত্যাগের মহিমায় কুরবানী পেশ করা। তাৎপর্যগত দিক থেকে ইসলামী ঈদ আর অন্যান্য ধর্মের পর্ব উৎসবের মাঝে এই পার্থক্য রয়েছে যে, অন্যান্য ধর্মে যেখানে শত বছরের পুরনো কোনো ঘটনা কিংবা বিশেষ কোনো ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে বছর বছর উৎসব উদযাপিত হয়। সেখানে ইসলাম নিজেরই সদ্য করা ইবাদতের সৌভাগ্য-আনন্দে উজ্জীবিত হতে বলে। তাই এক মাস সিয়াম সাধনার সৌভাগ্যের আনন্দ উৎসব হল ঈদুল ফিতর।

আর হজ্ব, কুরবানী ও মহান আল্লাহর মেহমানদারী লাভের খুশির উৎসব হচ্ছে ঈদুল আযহা। মনে রাখতে হবে যে, এই কুরবানীর মূল সূত্র যদিও মিল্লতে ইবরাহীমিতে বিদ্যমান ছিল কিন্তু মিল্লাতে ইবরাহীমির ‘সেই’ ঘটনাই আমাদের আনন্দের মৌলিক উৎসব নয়; বরং আমাদের আনন্দের অন্তর্নিহীত কারণ তাই যা উপরোল্লেখিত হয়েছে।

কারণ কুরবানী ইসলামেরই একটি স্বতন্ত্র বিধান এবং শরীয়তে মুহাম্মাদীর শিআর। যুগে যুগে কুরবানী বা প্রিয় বস্তুটি মহান আল্লাহর দরবারে উৎসর্গ করার ইতিহাস সুদীর্ঘ। হযরত আদম আঃ-এর দুই সন্তানের কুরবানীর কথা বিবৃত হয়েছে সূরা মায়েদায়। এই কুরবানীর প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে উত্তম সূত্রে বর্ণিত হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর একটি রেওয়ায়েতে।

হযরত আদম আ.-এর দুজন ছেলে ছিল। হাবিল আর কাবিল। হযরত হাওয়া আ. প্রত্যেকবার এক জোড়া সন্তান প্রসব করতেন। একটি ছেলে অপরটি মেয়ে। এই জমজ ভাইবোনদের বিয়ে ছিল হারাম। তাই তখন এক গর্ভে জন্মলাভ করা ছেলের সাথে ভিন্ন গর্ভে জন্মলাভ করা মেয়ের বিয়ের নিয়মই প্রচলিত ছিল। কাবিলের জমজ বোনটি ছিল সুশ্রী। জমজ হওয়ার কারণে তাকে কাবিল বিয়ে করার নিয়ম না থাকলেও তার  হঠকারিতা ছিল যে, সে তাকে বিয়ে করবেই।

অন্যদিকে, হকদার হওয়ার দাবি ছিল হাবিলের। এই দ্বন্দের ফয়সালা হল এভাবে-প্রত্যেকে আল্লাহর সান্নিধ্যে কিছু কুরবানী করবে। যার কুরবানী কবুল হবে তার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। হাবিল ও কাবিল উভয়েই কুরবানী পেশ করল। তখনকার দিনে কুরবানী কবুল হওয়ার আলামত ছিল, আকাশ থেকে আগুন নেমে কবুলকৃত কুরবানী খেয়ে ফেলত। যথারীতি আগুন এসে হাবিলের দুম্বাটি খেল, কাবিলের কুরবানী রয়ে গেল । কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি কাবিল। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সে হত্যা করে ফেলল তার ভাইকে।

(তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৪৮) সূরা মায়েদার ২৭ থেকে ৩১ আয়াত পর্যন্ত এই ঘটনাটি সংক্ষিপ্তভাবে বিবৃত হয়েছে। যার প্রথম আয়াতটি হল, (তরজমা) আর (হে নবী) আপনি তাদের সামনে আদম আ.-এর দুই ছেলের ঘটনা সঠিকভাবে পাঠ করে শুনিয়ে দিন। যখন উভয়েই এক একটি কুরবানী পেশ করেছিলেন। তাদের মধ্য থেকে একজনের কুরবানী কবুল হল আর অপরজনেরটি কবুল হল না। সেই (অপরজন) বলতে লাগল, আমি নিশ্চয়ই তোমাকে হত্যা করে ফেলব।

সেই (প্রথম জন) বলল, আল্লাহ তাআলা মুত্তাকীদের আমলই কবুল করেন। হযরত আদম আ.-এর পর প্রত্যেক উম্মত বা জাতির মধ্যেই এই মুবারক আমল বিদ্যমান ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কুরবানী নির্ধারণ করেছি। যেন তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ পশুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।

তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ। অতএব তোমরা তারই অনুগত থাক এবং (হে নবী) আপনি সুসংবাদ দিন বিনীতদের।-সূরা হজ্ব : ৩৪ উল্লেখ্য যে, সকল উম্মতের কুরবানীর নিয়ম এক ছিল না। ইসলামী শরীয়তে যে পদ্ধতিতে কুরবানী করা হয় তাও আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে নির্দেশিত এবং তা মিল্লাতে ইবরাহীমির অংশ।

হযরত ইবরাহীম আ. আল্লাহ তাআলার আদেশে তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানী দিতে উদ্যত হওয়ার ঘটনা খুবই প্রসিদ্ধ। মূল ঘটনাটি কুরআনে আছে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক কিচ্ছা-কাহিনী রচিত হয়েছে, যা ইসরাঈলী রেওয়ায়েতনির্ভর। কুরআনে আল্লাহ তাআলা এই ঘটনা যতটুকু বর্ণনা করেছেন তাই মুমিনের জন্য যথেষ্ট।’

আল্লামা ইবনে কাসীর রাহ. বলেন, অতঃপর এ ব্যাপারে যে সমস্ত আছার বর্ণিত তার অধিকাংশই হচ্ছে ইসরাঈলী। এই সুন্দর ঘটনা, মহান পরীক্ষা ও আল্লাহর পক্ষ হতে বিশাল দুম্বা প্রেরণ সম্পর্কিত ঘটনার জন্য কুরআন মজীদের বর্ণনাই যথেষ্ট। অতএব এই ব্যাপারে ইসরাঈলী রেওয়ায়েত বা অলীক কল্প-কাহিনীতে না গিয়ে কুরআনে বর্ণিত ঘটনার উপরই সন্তুষ্ট হওয়া উচিত।

লেখক: তরুণ আলেমেদ্বীন ও ইসলামী লেখক, ফরিদপুর।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

TECN প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফোরামের ২০২৩-২৫ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন


সাইফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৩, ০৮:১৩
TECN প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফোরামের ২০২৩-২৫ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

ফাইল ছবি

নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (TECN) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফোরামের ২০২৩-২৫ইং মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে Noakhali Textile Engineering College EX-Students Forum (ESF) কর্তৃক আয়োজিত Executive Committee For 2023-2025 কমিটির Charge Takeover-Handover অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নবনির্বাচিত কমিটিতে জনাব ইঞ্জি: মো: মিলনকে সভাপতি এবং ইঞ্জি: মো: কামরুল হাসান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে ইঞ্জি: শাহাবুদ্দিন মাসুদ (বিদায়ী সভাপতি) সাহেবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন গ্রহণ করছেন নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সন্মানিত প্রিন্সিপাল ইঞ্জি: মো: সাইফুর রহমানসহ উক্ত কলেজের সন্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, এ.টি.ই.টি এর সন্মানিত সভাপতি জনাব ইঞ্জি: মো: আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: এ.এস. এম সোহেল রানা।

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বর্তমান শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রোগীর সংকুলান হচ্ছে না হাসপাতালগুলোতে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১২ আগষ্ট, ২০২১, ০৪:১০
রোগীর সংকুলান হচ্ছে না হাসপাতালগুলোতে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি । স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীতে হাসপাতাল ভরে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‌‘হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না। তবে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সোসাইটি অব মেডিসিন এবং সিডিডি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ কমে আসছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। অল্প দিনেই আমাদের চার থেকে পাঁচ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগ হয়ে যাবে, যেটা খুবই প্রয়োজন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল বানাচ্ছি। এসবের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও চলমান।’

হাসপাতালে শয্যা আর বাড়ানো সম্ভব নয় জানিয়ে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘হাসপাতালে আর শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংক্রমণ কমিয়ে আনা ছাড়া গতি নেই।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - সারাদেশ