বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের স্টাইলক্রাফট নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকেরা আজ বুধবার সকালে ঢাকা–জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। সড়ক অবরোধের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। বেলা ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, ঢাকা–জয়দেবপুর সড়কে গাজীপুর মহানগরীর তিনসড়ক এলাকায় স্টাইলক্রাফট নামের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিকপক্ষের কাছে তাঁদের জুন ও জুলাই মাসের বেতন এবং কোরবানি ঈদের বোনাস পাওনা আছে।
এসব পাওনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে আগে থেকেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট তাঁদের বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাওনা আদায় না করে মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে শ্রমিকেরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে কারখানার সামনের রাস্তার উপরে আন্দোলন শুরু করেন।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, বেতন–ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন এবং ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতনাদি পরিশোধ না করেই কারখানা সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার সকালে শ্রমিকেরা কাজে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নামে। পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, বেতনের টাকা জোগাড় করতে না পেরে তারা কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
আগামী রবিবার (২ মে) গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করবে পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে। সামনে ঈদ। এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন এর প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় থাকায় তাদের জীবিকা নির্ভর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বহন করবে না। এই প্রেক্ষিতে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দাবিও কর্মসূচি হলো;
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহনও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী আরও বলেন, আমাদের এই তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২ মে রবিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ মে মঙ্গলবার সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আমরা লক্ষ্য করেছি যাত্রীরা অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মিনি ট্রাক মোটর সাইকেলে স্বাস্থ্যবিধি নামেনি যাত্রী পরিবহন করছে। এমনকি নদীপথে স্পিডবোর্ড ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি যাত্রী এবং অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
যাত্রীরা দূর-দূরান্তে চলাচলের জন্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত অর্থব্যয় করে নানান হয়রানির শিকার হয়ে যাতায়াত করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করা হলে যাত্রীরা সব ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই চলাচল করতে পারবেন। আমরা গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হবে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, হেফাজত, জামায়াত, বিএনপিরা এক এবং অভিন্ন। হেফাজত বিএনপি-জামায়াতের ‘বি’ টিম। এরা প্রত্যেকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবসের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, যারা হেফাজতে আছে তারা সংবিধানকে মানতে চাইনা, তারা জাতীয় সংঙ্গীত গাইতে চাইনা, তারা জাতীয় পতাকাকেও সম্মান জানাতে চাইনা। এগুলো বিএনপির নেতৃত্বে একজোট হয়েছে।
২০১৩ সালে যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সাজা দিয়ে বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এই ধর্ম ব্যবসায়ী যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করে এই দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিনত করতে চাচ্ছে, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দাঁত উপড়ে ফেলা হবে।
এর আগে মাহবুব-উল আলম হানিফ মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর পুলিশ ও আনসার বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এর আগে সকাল পোনে ৬টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান মুজিবনগর সৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কর্মসূচী আরম্ভ করেন।