চুনারুঘাটে মামুন মিয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার উত্তর বড়জুষ গ্রামের এজবত উল্লার পুত্র।
গতকাল শুক্রবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে সে বিষপান করে ছটফট করতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
আমি একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষ এবং জন্মগতভাবে বাংলাদেশী। ১৯৮৬ সাল থেকে মহান ও মহৎ ব্যক্তিদের সাথেই আমার পথ চলা। তৎকালীন সাপ্তাহিক দৃষ্টিকোণ পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক নোমান চৌধুরীর সান্নিধ্যে আমার প্রথম পরিচয়। জনাব চৌধুরী আমাকে অতি স্নেহ করে মহান পেশায় সাংবাদিকতা শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি, তা আমি জানিনা। তবে বর্তমানে যে সম্পাদক সাহেবের অধীনে থেকে মাঝে মধ্যে দু'একটি লেখা পাঠাই। সম্পাদক মহোদয়ের স্নেহ ভালোবাসায় প্রমাণ করে- আমি একজন ভাল সাংবাদিক হতে না পারলেও সংবাদপত্রের একজন নিবেদিত সেবক হিসেবে কাজ করছি।
আমার সম্পাদক একজন মহান ব্যক্তিত্ব, উচ্চ শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ। এসমস্ত মানুষের সান্নিধ্যে আসলে মনটাই ভরে যায়। ফোনে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কথা বললে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি সুন্দরভাবে সমাধানের ক্ষেত্র বের করে দেন। আমি যেখানে নিরাশ হয়ে যাই, সেখানে তিনি আশার আলো জ্বালিয়ে আশাবাদী করে তুলেন। তাই বাস্তব এই সত্যটুকু তুলে ধরে মনটাকে হালকা করার চেষ্টা করলাম মাত্র। সমাজে আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুরাচার, পাপাচারে নিমজ্জিত। মাঝে মধ্যে এসব দেখে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন এসব গুণী ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ করার আশা সঞ্চার হয়।
সাংবাদিক সমাজের দায়িত্ব কি? কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলা এবং সত্য সঠিক তথ্য সংগ্রহপূর্ব্বক তা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা। একটা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা পকেটে রেখে সমাজে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের কার্ড তুলে ধরলেই তাকে সাংবাদিক বলা যায়না।
১৯৮৬ থেকে দেখে আসছি মহান সাংবাদিকদের কলমের খোঁচায় বহু ঘোষখোর ঘোষের টাকা ফেরত দিতে, বহু সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারী দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে, সন্ত্রাসীরাও যতটুকু ভয় পেত কলম সৈনিক সাংবাদিককে দেখলে, সত্যিকার অর্থে ততটুকু ভয় পুলিশকেও পেতনা।
আস্তে আস্তে এই পেশায় কেটে গেলো ৩৪ বছর। এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক ভাল সাংবাদিকদের সান্নিধ্য পেয়েছি। তারা সর্বদায় দেশ ও জাতির কল্ল্যাণে নানান চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সততা ও কর্মের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক পরিচয় দিতে নিজেকে সাচ্ছন্দবোধ করি।
তবে, বর্তমানে মফস্বল এলাকায় বিভিন্ন কথিত মিডিয়ার প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করি। নাম সর্বস্ব পত্রিকার কার্ড বানিয়ে, কার্ড দেখিয়ে সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করে থাকেন কিন্তু জনৈক সাংবাদিকের আসল কাজটা কি তা নিজেই জানেন না।
এটাতো বললাম সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের একাল-সেকালের কথা। পাশাপাশি রাজনৈতিক পেক্ষাপট তো আরও খারাপ অবস্থা। ছাত্রাবস্থায় কি দেখলাম, আর এখন কি দেখছি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। কম বয়সের ছেলে-মেয়েরা হয়তোবা মনে করবে এদেশের রাজনৈতিক ধারা পূর্ব থেকেই এরকমই। আসলে কি তাই?
পাড়া-মহল্লা, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রয় লুটেরা ও সন্ত্রাসীদের জয়-জয়কার। অসভ্য, অসত্য ব্যক্তিবর্গ আজ সমাজটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। এসমাজে ন্যায়-পরায়ণ, সভ্য-সুন্দর ব্যক্তিদের কদর নেই বললেই চলে। তাই সমাজের এই বাতাবরনে অনেকে নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন।
আজ আমি চিন্তা করি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের নিয়ে। এতো রক্ত দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করে তার পরিণাম যদি এই হয়, এর চেয়ে দুর্ভাগা আর কি হতে পারে! বঙ্গবন্ধু দেশটাকে স্বাধীন করে এদেশের মানুষগুলোকেও স্বাধীনতা দিয়ে আসা করেছিলেন তারা উচ্চ মর্যদায় আসীন হয়ে সারা বিশ্বে একটা মডেল হিসেবে দেশের মান উজ্জ্বল করবেন। আমরা কি সে আশা পূরণ করতে পেরেছি? এরপরও আশাবাদী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যে যার অবস্থান থেকে যদি কাজ করি, তাহলে সমাজে অবশ্যই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, ঠকবাজ ও বিশৃংখলাকারীরা উৎখাত হবেই হবে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্চ সংক্রমণ যুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক, রাজনৈতিক, ও ধর্মীয় অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। রাত ১০টার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কল-কারখানা অর্ধেক (৫০ ভাগ) জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে (হোটেলে নিজ খরচে) থাকতে হবে।