নাটোরের গুরুদাসপুরে পিকআপ উল্টে নারীসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা মোড় এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপটি উল্টে যায়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলির পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া শুরু করেছে সাধারণ জনগন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টুইটারে সকলেই পণ্য বয়কটের আন্দোলন শামিল হচ্ছে। ইসরায়েল রাষ্ট্র একের পর একে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের উপর হামলা করছে। যুগে যুগে যখন মুসলমানদের উপর বিভিন্ন অত্যাচার হচ্ছে সেখানে অত্যাচারিত জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে সকল মুসলিম দেশ। এছাড়া মুসলিম না হয়েও অনেকে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। ইহুদিরা বর্তমানে মুসলমানদের পবিত্র আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে নিরীহ মানুষের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জমি ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমতাবচ্ছায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে, যারা দখলদারদের পণ্য ক্রয় করে বা বাজারজাত করে তারা একই অপরাধে পাপী হিসেবে স্বীকৃত।
টানা ষষ্ঠ দিনের মত ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়া আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনি নরনারীদের গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল বাহিনী। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকরভাবে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতেছে ইহুদি এ রাষ্ট্রটি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দেশের পণ্য বয়কট করে বিকল্প পণ্য ব্যবহারে ঘোষণা দিচ্ছে অনেকে। অনেকে মনে করেন পণ্য বয়কট একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এক্ষেত্রে ইসরায়েল রাষ্ট্র কিছুটা হলেও অর্থনৈতিকভাবে বেকায়দা পড়েবে।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইসরাইলি পণ্যের মধ্যে আছে কোমল পানীয় পেপসি, সেভেন আপ, স্প্রাইট, মিরিন্ডা, মাউন্টেড ডিউ, ফান্টা, একুয়াফিনা। এছাড়া আছে তাজা চা পাতা, ট্যাং,নাইকি, নেস্টলে লেভিসসহ বহুজাতিক পণ্য যা আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছি।
আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত আসবে লকডাউন আরও বাড়বে কি না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান আগামী বৃহস্পতিবার এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, দেখি সামনে কী হয়। মানুষকে তো কো-অপারেট করতে হবে। আপনারা তো বার বার বলছেন। কিন্তু এখনো পুরোপুরি কো-অপারেশন…। সবাই যদি মাস্ক ব্যবহার করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এখন যে পরিস্থিতি আছে এ পরিস্থিতি থাকলে কি লকডাউন বাড়ানো হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেখি... আমরা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।