ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা। খবরে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সালথা উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজার থেকে এই সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বরাত দিয়ে জানা যায়, ওই সময় অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ও পিএকে নিয়ে এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। এসময় বাজারে লোক সমাগম ও দোকানপাট খোলা দেখতে পেয়ে এসিল্যান্ডের সহকারী একজনকে লাঠিপেটা করে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এসিল্যান্ড তার টিম নিয়ে উপজেলায় ফিরে যায়।
পরে সালথা থানার পুলিশ ফুকরা বাজারে গিয়ে জনতার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় এসআই মিজান ও দুই কনস্টেবল আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ফুকরা বাজারে এলে জনতা আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ থানায় ফিরে যায়।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড ফুকরা বাজারে লক ডাউন কড়াকড়ি করতে আসার পর আগে বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্যদের সাথে বসা উচিত ছিলো। তাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে লক ডাউন কার্যকর করা হলে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না।
সেখানকার বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাওসার খান বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে পরে শুনেছেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মারপিট করার পর এসব ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনা সূত্রপাত হওয়ার পরে বিভিন্ন ইউনিয়নে মোবাইলে যোগাযোগ করে ‘পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে’ এ জাতীয় গুজব ছড়িয়ে পড়লে সালথায় লোক জড়ো করা হয়। পরে সন্ধ্যার পর হাজার হাজার জনতা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন। এক পর্যায়ে জনতা উপজেলা কমপ্লেক্স এর প্রধান ফটক ও থানার ফটকের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান রাত সাড়ে ১০টার দিকে গনমাধ্যমকে জানায়, সাধারণ মানুষের ছত্রছায়ায় মৌলবাদী গোষ্ঠী এ সুযোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছি।
বর্তমান সময়ে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একজন গ্রাহক গত ৫ মাস আগে ইভ্যালিতে ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ মাসেও তাকে অর্ডার বুঝিয়ে না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি ইভ্যালির বিলুপ্তি চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাওছার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ‘ইভ্যালি’। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ‘ইভ্যালি’।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে শরীরে লেগেই আছে জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এখন অনেকেই জ্বর, সর্দির নাম শুনলেই ভয় পায়। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুমে বা ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরে সাধারনত জ্বর, সর্দির সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এই সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১) তুলসী:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তুলসীকে বলা হয় ‘মাদার মেডিসিন অফ নেচার’ এবং ‘কুইন অফ হার্বস’। এই তুলসী সর্দি ও কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য কাঁচা তুলসীর পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা চায়ের সঙ্গে তুলসীর পাতা ফুটিয়ে তুলসীর চা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২) আদা:
আদার মধ্যে দ্বারা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার সংক্রমণ থেকে শুরু করে সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য আপনি শুকনো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার চা পাতার সঙ্গে আদা ফুটিয়ে আদা চা খেতে পারেন। অথবা কাঁচা আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এই সব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
৩) মধু:
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অত্যন্ত সহায়ক। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এই উপাদানের ব্যবহার অপরিহার্য। গলার সংক্রমণকে দূর করতে এবং কাশি হতে রক্ষা পেতে মধু খেতে পারেন।
৪) রসুন:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার অতি পরিচিত নাম। রসুনের মধ্যে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও শরীরে গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জন্য আপনি প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন অথবা কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।