মাদারীপুরের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে কাঁঠালবাড়ি ঘাট (পুরাতন ফেরিঘাট) এলাকায় বালু বোঝায় কার্গোর সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। নৌ পুলিশের টিম উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ি ঘাট নৌপুলিশের বরাতে জানা গেছে, আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ৭টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছিল। সে সময় কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন নদীতে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে দ্রুতগামী স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়।
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশ সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাই এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও ১ সপ্তাহ বাড়তে পারে। এমনটাই চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামী সোমবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, করোনার সংক্রমণ এখনো অনেক বেশি। তাই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী সোমবারের বৈঠকে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ আছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ এপ্রিলের সভার পর ওই দিন বা ২০ এপ্রিল কী হবে, তা জানানো হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। গেল বছর কয়েক দফায় বৃদ্ধি করে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল।
এক পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ অনেক কমেও গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে হঠাৎ করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দু’দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত ১৪ থেকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অঙ্ক বিজলেভেল্ড। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছেন, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগ্রিড কাগ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অভিযোগ করে বলেছে, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে ডাচ সরকারের ধীরগতির প্রতিক্রিয়ার জন্য উভয় মন্ত্রীই (অঙ্ক বিজলেভেল্ড ও সিগ্রিড কাগ) দায়ী। নেদারল্যান্ডে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য, এমন হাজার হাজার আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে এই দুই মন্ত্রী।
অবশ্য বিজলেভেল্ড প্রথমে বলেছিলেন যে, তিনি থাকবেন। কিন্তু তার নিজের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটস পার্টির সদস্যদের তীব্র সমালোচনার মুখে একদিন পরই পদত্যাগ করার নিদ্ধান্ত নিলেন।
অঙ্ক বিজলেভেল্ড বলেন, যারা আফগানিস্তানে এখনো আছেন এবং আমাদের নিরাপত্তার উপর নির্ভর করেন, তাদের আনার জন্য আমি আমাদের মিশন শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার অবস্থান এখন আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেছে। ফলে যারা আমার জন্য কাজ করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি বাধা দিতে চাই না। তাই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।
গত মাসে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিশন শেষ করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে উগ্রপন্থী তালেবান। এমতাবস্থায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও ঝুঁকিকে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে এ কারণে কাবুল বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসব দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন এই দুই ডাচ মন্ত্রী।