হবিগঞ্জের মাধবপুরে মোটরসাইকেল ধাক্কায় সালাম নামে আহত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের জলিল মিয়ার সন্তান।
গতকাল শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মাধবপুর-মনতলা সড়কের মৌজপুর নাম স্থানে শিশু সালাম রাস্তার পাশে খেলা করার সময় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল সালাম (৪) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
স্বজনেরা সাথে সাথে সালামকে উদ্ধার করে দ্রুত মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (১১ মার্চ) ভোর ৪ ঘটিকার সময় তার মৃত্যু হয়। ঘাতক মোটরসাইকে ও এর চালককে শনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ ২১ মে' ২০২১ বিকাল ৩-৩০ মিনিটে সংগঠনের অস্থায়ী কার্য্যালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব হবিগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক জনাব শেখ মো: আব্দুল কাদির কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, প্রবীন সাংবাদিক মোজাহিদ হোসেন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হক, মুজিবুর রহমান খান, সদস্য সচীব এম এ হান্নান, আছাদুজ্জামান চৌধুরী, শাহেনা আক্তার প্রমূখ। উপস্থিত সাংবাদিকরা স্বচ্ছ সাংবাদিকতা, সাংগঠনিক কার্যক্রমে জাতিকে ভাল কাজে উৎসাহ দেয়ার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
কেন্দ্রীয় সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, ঢাকা-এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচীবসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে সৌজন্যে সাক্ষাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে বন্যার্তদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের তাদের পাশে থাকতে বলেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রবিবার (১০ জুলাই) রাতে গুলশানের বাসায় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনায় যেখানে মানুষ বন্যা প্লাবিত হয়েছে, সেসব দুর্গত মানুষের খবর আমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, তোমরা বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত। তিনি মনে করেন বন্যার্তদের সেবা করা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করা এবং এটাই রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি এখন যে অবস্থায় আছেন সেই অবস্থা তার ইমিডিয়েট কোনো বিপদ না থাকলেও তিনি কিন্তু এখনো অসুস্থ আছেন। আমরা বার বার বলে আসছি যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বাইরে চিকিৎসা প্রয়োজন। এখনকার ডাক্তাররা যারা তার চিকিৎসা করছেন তারা সবাই বার বার করে বলেছেন যে, উন্নত চিকিৎসা তার (খালেদা জিয়া) দরকার, সেই উন্নত চিকিৎসা ও কেন্দ্র এখানে নেই। যে কারণে তারা (চিকিৎসকরা) মনে করেন যে, ম্যাডামকে সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করার জন্য চিকিৎসা করা দরকার সেটা অবশ্যই দেশের বাইরে। আমরা সেই কথা আবারো আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
সাক্ষাতে দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আমাদের দলের প্রধান, দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি দেশের চলমান যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার খোঁজ-খবর রাখছেন। তিনি মনে করেন যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ নিশ্চয়ই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবে। খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও এসময় জানান বিএনপি মহাসচিব।
রাত ৮টায় মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান গুলশানের ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা সাক্ষাত শেষে রাত ১০টায় তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন