কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জবি শিক্ষার্থী আশিক আরমান এর নামে সংবাদ প্রচার করা হয়।
উক্ত এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে যে, গত বুধবার চুরি করার সন্দেহে সোহাগ নামে একটি ছেলেকে কিছু যুবক মারপিঠ করার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সমবয়সী কিছু যুবক থাকলেও আশিক আরমান সেখানে অনুপস্থিত ছিল বলে দাবি করা হয়।
অথচ সোহাগ এর বাবা আশিক আরমান-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিককে ভুল তথ্য দিয়ে নিউজ করান বলে অভিযোগ করা হয়। এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে তার সম্মানের হানি ঘটছে। তাদের মধ্যে এ মিথ্যা অপবাদ নিয়ে সংবাদ প্রচারের জন্য সমালোচনা ও নিন্দা করা হয়।
আশিক এলাকাবাসী ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ মিথ্যা অপবাদের বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষে বিবেচনা করার আহ্বান জানান ।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখনায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ৯ টার সময় ইউরিয়া প্লান্টে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ত্রুটি মেরামত করে দ্রুত কারখানাটি উৎপাদনে যেতে না পারলে বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবেনা। ফলে কৃষকের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার জিএম অপারেশন অশ্বিনী কুমার জানান, ইউরিয়া প্লান্টের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাত ৯টার দিকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রুটি মেরামত করে পুনরায় কারখানার চালু করার সব ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পুরোপুরি তলিয়ে যায়। যার ফলে এসব এলাকার বানভাসি পরিবারগুলো ঠিকানা হয় এ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে।
এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষগুলোর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন এসব বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায়। তাদেরই একজন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই নিজস্ব অর্থায়ন ও জনবল দিয়ে বন্যা কবলিত বুড়িচং উপজেলার ২৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি রান্নার কাজে অর্ধশতাধিকের বেশি বাবুর্চি এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রেখেছেন।
এছাড়াও তিনি তার আপন নিজ ভাই ডা. নাজমুল হাসান সাঈদসহ একাধিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। এ টিমগুলো প্রতিদিনই দুর্গতদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
বন্যার প্রথম দিনে শুকনো খাবার বিতরণ করলেও দুর্গত মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মিজানুর রহমান ২৪ আগস্ট থেকে খাবারের তালিকায় দুপুর ও রাতে খিচুড়িসহ ভারি খাবার সরবরাহ শুরু করেন। এজন্য ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে পৃথক বাবুর্চি ও সহযোগীসহ খাবার সরবরাহের জন্য অন্তত ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
এদিকে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বাইরেও তাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সাবেক এই চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই শুকনো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট দিলেও মিজানুর রহমান আশ্রিতদের জন্য বাবুর্চি এনে রান্না করাচ্ছেন। এতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বয়স্ক, শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলার দুর্গত মানুষের সেবায় কোনো স্বার্থের মোহে কাজ করছি না। আগে করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও আছি। যতদিন আল্লাহ সামর্থ্য রাখবেন ততদিন অসহায়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমার মেডিকেল টিম ৫-৭ সদস্য বিশিষ্ট। প্রতিটি টিমে আলাদা চিকিৎসক রয়েছেন। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যাচ্ছেন তারা। ঔষধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী দুর্গতদের পুনর্বাসন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসন, এনজিও, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কাজ এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: যুগান্তর