আজ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দুইফেরিতে তাড়াহুড়ো করে উঠতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে হুড়োহুড়িতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল।
ঘাট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ-পরান ছেড়ে আসে। বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাবাজার ৩ নং ফেরি ঘাটে নোঙর করে ফেরিটি। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় নামার সময় তাড়াহুড়ো করায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বুধবার ভোর থেকেই শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। কয়েক দফা বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হলেও ঠেকানো যাচ্ছিলো না মানুষের চাপ। শেষ পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হয়। এমনকি আজ বুধবার ১২ মে সকালে যাত্রীর চাপ কমাতে কয়েকটি লঞ্চ চলাচলের অনুমতিও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঈদের বাকি আরো একদিন তাই যাত্রীদের তাড়াহুড়ো না করার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন ঘাটে এখন ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এ নৌরুটে স্বাভাবিক ভাবেই ফেরি চলাচল করেছে।
বাসে হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবিতে রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আজম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘হাফ পাস থাকলেও সম্ভবত কোনো শিক্ষার্থীর কাছে হাফ ভাড়া নেওয়া হয়নি এ কারণে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করতে পারেন।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গুলশান-বনানী-নতুনবাজার রোডে চক্রাকার যেসব বাস চলাচল করে সেগুলোতে কর্তৃপক্ষ হাফ ভাড়া নিচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী এই পথে যাতায়াত করে। আড়াই কিলোমিটার দূরত্বের এই পথে ভাড়া নেওয়া হয় ৩০ টাকা।
বনানী বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক ও পুলিশ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি মানার ঘোষণা না দিলে সড়ক থেকে সরবে না বলে জানিয়ে দেয়। সূত্র: ইত্তেফাক
করোনার বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ থাকা বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের বিমান চলাচল আগামী ২৯ মে থেকে পুনরায় শুরু হবে। গতকাল রবিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবে প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টিন প্যাকেজ সুবিধা নিশ্চিত করা সাপেক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা আরম্ভ করতে যাচ্ছে।
অর্থাৎ কেউ সৌদি আরবে যেতে চায় তাকে আগে সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য হোটেল বুকিংসহ কোয়ারেন্টিন প্যাকেজ এবং বিমানের আসন সংরক্ষণের জন্য বিমানের যে কোনো সেলস কাউন্টারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সৌদি আরব সরকার ২০ মে থেকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করায় পাঁচদিনের জন্য সৌদি আরবগামী সকল ফ্লাইট স্থগিত করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ।
আরো বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইট, অথবা বিমান কল সেন্টার ০১৯৯০ ৯৯৭ ৯৯৭ নম্বরে অথবা বিমানের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমান বাংলাদেশ সুপরামর্শ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।