অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি না ফুড়াতেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। কিউইদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এই সিরিজের জন্য ১৯ সদস্যের লম্বা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে দলে ফিরেছেন তিন ক্রিকেটার, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে থাকলে বাদ পড়েছেন এক জন। তবে টিকে গেছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুপার ফ্লপ সৌম্য সরকার।
জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ছিল ১৭ সদস্যের। আজ (বৃহস্পতিবার) ঘোষিত দলে সেখান থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। পারিবারিক কারণে এই দুই সিরিজ খেলতে না পারা ৩ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহম, লিটন দাস ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব দলে ফিরেছেন। চোটের কারণে এ সিরিজেও নেই ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১ সেপ্টেম্বর। পরের চারটি ম্যাচ ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি ম্যাচই হবে বিকেল ৪টায়, মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ দল-
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাসুম আহমেদ।
বেশ কিছু চমকপ্রদ পরিবর্তন নিয়ে ক্রিকেটারদের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তি সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছিল সেটি ছিল টেস্ট ও সীমিত ওভারের ফরম্যাটের জন্য আলাদা। এবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি করেছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। বিশেষ কিছু জটিলতার জন্য আটকে ছিল এই প্রক্রিয়াটি।
অবশেষে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে নতুন চুক্তিতে কোন ফরম্যাটে কে থাকছেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এবার চুক্তিতে আছেন সর্বমোট ২৪ জন ক্রিকেটার। যেখানে ৩ ফরম্যাটে আছেন ৫ ক্রিকেটার। টেস্টের জন্য বিবেচিত হয়েছেন ১৪, ওয়ানডেতে আছেন ১২ জন এবং টি-টোয়েন্টিতে রাখা হয়েছে ১৫ জনকে।
চলতি বছরের মে থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে এই চুক্তির মেয়াদ। আগের কেদ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাঈম হাসান। তবে এবার নতুন চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন- নবাগত ক্রিকেটার শামীম পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ, কিপার নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফ হাসান ও শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও চুক্তিতে ফিরেছেন তাসকিন ও টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। টেস্টে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তিন ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সুযোগ পাওয়া পাঁচ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস ও শরিফুল।
টেস্ট দলের চুক্তিতে থাকা ১৪ ক্রিকেটার- মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ রাহী, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও এবাদত হোসেন।
ওয়ানডে দলের চুক্তিতে থাকা ১২ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
টি২০ তে আছেঃ মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, শেখ মাহাদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ এবং শামীম পাটোয়ারী।
জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসকের কাছে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে নেওয়া হলে তাৎক্ষণিক তাকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না।
তবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা না থাকলে তাকে কাছের কোনো হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পৃথক তালিকা এবং সেগুলোর বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে হবে।
রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দেশে বিদ্যমান সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রয়োজন বিশেষে যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে অসম্মতি জানানোকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে জরুরি সেবা রয়েছে এমন কাছের কোনো হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে কেন পাঠানো হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে- এমন শর্ত যুক্ত করে দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ সম্পর্কে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, এ আদেশের ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুমূর্ষু রোগীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য থাকবে। সূত্র: যুগান্তর