আইপিএলের দল ও ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন দেশটির 'দ্য ওয়াল'খ্যাত সাবেক ক্রিকেটের রাহুল দ্রাবিড়। তবে অনেক সময় গড়ালেও অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে, অর্থাৎ আবারও ভারতের জাতীয় দলের কোচ হতে যাচ্ছেন এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে প্রকাশ– আসন্ন শ্রীলংকা সফরে ভারত দলের হেড কোচের দায়িত্ব পেতে চলেছেন দ্রাবিড়। ভারত আগামী জুলাইয়ের ১৩ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত শ্রীলংকার মাটিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি আসেনি।
জানা গেছে, জুলাইয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে ব্যস্ত থাকবে বিরাট কোহলির দল। দলের সঙ্গে সেখানে থাকবেন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। একই সময়ে শ্রীলংকায় পাঠানো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলকে পরিচালনায় দ্রাবিড়কে কোচ হিসেবে পাঠানো হচ্ছে সেখানে।
আগামী ১৩, ১৬ ও ১৯ জুলাই হবে ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে ২২, ২৪ ও ২৭ জুলাই। আগামী ৫ জুলাই এ দুই সিরিজে খেলার জন্য শ্রীলংকার উদ্দেশে দল নিয়ে রওনা দেবেন রাহুল দ্রাবিড়।
করোনার ভিতরেও আয়োজিত আইপিএলে অংশগ্রহণ করে দেশে ফিরে বিশাল দুঃসংবাদ পেলেন একাধিক ব্রিটিশ ক্রিকেটার আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের টেস্ট দলে স্থান পাননি ২০২১ আইপিলে অংশ নেয়া বাটলার, বেয়ারস্টো ও স্যাম কারানরা। আইপিএল স্থগিত হওয়ায় আগেইভাগেই দেশে ফিরে কোরাইন্টাইন পর্ব শেষ করেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২টি টেস্টের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তাদের।
বর্তমান ইংল্যান্ড ক্রিকেটের প্রায় পরিচিতমুখ হয়ে সব ফরম্যাটেই খেলতে দেখা যায় জনি বোয়ারস্টো, মঈন আলি, জস বাটলার, স্যাম কারান, ক্রিস ওকসদের। তবে ইসিবি ভিন্ন সুরে কথা বলেছে ইসিবি থেকে বলা হয়েছে তাদেরকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
ইঞ্জুরির কারনে আসন্ন টেস্ট দলে জায়গা হয়নি তারকা পেসার জোফ্রা আর্চার ও অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের।
টেস্ট স্কোয়াডে নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন গ্লস্টারশায়ারের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জেমস ব্রেসি এবং সাসেক্সের পেসার ওলি রবিনসন। ব্রেসি ও রবিনসনের সুযোগ পাওয়া নিয়ে ইংল্যান্ড কোচ সিলভারউড বলেন, জেমস ব্রেসি ও ওলি রবিনসন যোগ্য হিসেবেই টেস্ট স্কোয়াডে যায়গা করে নিয়েছে। তারা এবছর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে তারা অত্যন্ত ধারাবাহিক এবং গত ১৮ মাসে লায়ন্সের হয়ে মাঠে ও ক্যাম্পগুলোতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে।
উল্লেখ্য, ব্রেসি কাউন্টিতে ৫৩ গড়ে ৪৭৮ রান করেছেন এবং রবিনসন ২৯টি উইকেট নিয়েছেন। যদিও লর্ডসের প্রথম টেস্টে উইকেট কিপিংয়ের গ্লাভস হাতে উঠতে পারে আরেক উইকেট কিপার বেন ফোকসের হাতে।
ইংল্যান্ডের টেস্ট স্কোয়াড: জো রুট (ক্যাপ্টেন), জেমস অ্যান্ডারসন, জেমস ব্রেসি, স্টুয়ার্ট ব্রড, ররি বার্নস, জ্যাক ক্রাউলি, বেন ফোকস, ড্যান লরেন্স, জ্যাক লিচ, ক্রেগ ওভার্টন, ওলি পোপ, ওলি রবিনসন, ডমিনিক সিবলি, ওলি স্টোন ও মার্ক উড।
উত্তম কুমার নায়ক তো নয়, ছিলেন তিনি মহানায়ক। সুদর্শন চেহারা আর অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে জয় করেছিলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। তাইতো যুগ যুগ পেরিয়েও এখনো তিনি সবার স্বপ্নের নায়ক হয়েই আছেন।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে তার সম্পর্কে একটি অজানা ঘটনা জানাতে চাই।
উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলোনা। বলা হতো ফ্লপ মাস্টার। টানা ৭টি ফ্লপ সিনেমার পর তার উত্থান হয়। এরপর রচিত হয় এক ইতিহাস। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তার একের পর এক সিনেমা সফল হয়। সত্তরের দশকেই তিনি মহানায়ক খ্যাতি পেয়ে যান।
সত্তর দশকের শুরুতে কলকাতায় শুরু হয় নকশাল আন্দোলন। একদিন নিউ থিয়েটারস স্টুডিওর মেকআপ রুমে বসে ছিলেন উত্তম কুমার। তখনই কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্রসহ হানা দেয় সেখানে। তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরালো হুমকি। মুহূর্তেই ভয়ে কুপোকাত উত্তম। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই তারা চলে যায়।
কিন্তু ওই ঘটনায় উত্তম কুমার এতোটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, কলকাতা ছেড়েই পালিয়ে যান। দ্রুত নিজের চুল ছোট করে উঠে পড়েন মুম্বাইয়ের ট্রেনে। যাতে কেউ চিনতে না পারে। চলে যান মুম্বাই। সেখানে গিয়ে ওঠেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে। মাস খানেক ওই বাড়িতে থাকার পর উত্তম যান অভিনেতা বিশ্বজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
উত্তম প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন, আর কলকাতায় ফিরবেন না। একদিন তো বিশ্বজিতকে বলেই ফেলেন, ‘চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা সিনেমা বানাব।’ অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বন্ধু-সহকর্মীদের আশ্বাসে ফিরে যান কলকাতায়।
১৯৮০ সালে উত্তম কুমার শুটিং করছিলেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার। শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক করেন। তাকে ভেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান উত্তম কুমার।