টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কিংবদন্তি এই ব্যাটার আপাতত বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা দলের পরামর্শক হিসেবে থাকবেন।
আইপিএল শেষে শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন জয়াবর্ধনে। শুধু তাই নয়, আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা যুব দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন জয়াবর্ধনে। পাঁচ মাসের চুক্তিতে নিজেদের দেশের যুব দলের সঙ্গে অবৈতনিকভাবে কাজ করবেন তিনি। এখন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ জয়াবর্ধনে। তাঁর অধীনে ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে আইপিএলের শিরোপা জিতেছিল মুম্বাই।
তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইটানসেরও কোচ। এদিকে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ১৭ অক্টোবর থেকে ৭ দিন প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ চলবে। দুই গ্রুপে আটটি দল খেলবে।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। এই পর্ব থেকে চারটি দল সুপার টুয়েলভে খেলবে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল ও বাছাই পর্বের চার দলসহ সুপার টুয়েলভে হবে।
চলতি বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) অষ্টম আসর বসছে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকায় আসরটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে মাঠে গড়াবে। শনিবার বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
২০২১-২০২২ মৌসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচী ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেখানে বিপিএলের নেই কোন উইন্ডো। বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের সেক্রেটারি ইসমাইল হায়দার চৌধুরী জানান, নভেম্বরে পাকিস্তান সফরের কারণে বিপিএল আয়োজন করা হলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না, এজন্য বিপিএল হচ্ছে না।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসরটি ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি শুরু হবে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবং পরবর্তী বছরে আসর বসবে জানুয়ারির শুরুতে।
ইসমাইল হায়দার আরও জানান, বিপিএলের জন্য আমাদের সামনে কয়েকটি উইন্ডো খোলা ছিল। নভেম্বর তার মধ্যে একটি। কিন্তু ওই সময়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ আছে। আবার ডিসেম্বরে আয়োজন করা যেত, তখন নিউজিল্যান্ড দল সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে। সেসব কারণে আমাদের আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত আসরটি স্থগিত রাখা হয়।
ঢাকা-৮ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের ১৩ বছরের সাজার আদেশের মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজার বিরুদ্ধে হাজী সেলিমের আপিল আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। রায়ে তথ্য গোপন দায়ে দেওয়া তিন বছরের সাজা বাতিল করেছেন আদালত। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাইকোর্টে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৯ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। ওই দিন এ মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারককে ওই নথি পাঠাতে নির্দেশও দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এরপর ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আবারও হাইকোর্টকে হাজী সেলিমের আপিলের শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির শুনানির জন্য উদ্যোগী হয় দুদক।