দীর্ঘদিন পর চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন টাইগারদের ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। গতকাল রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) পোখারা রাহিনোসের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে তামিমের দল। কিন্তু খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ থেমে যায়। পরে বৃষ্টি না কমায় শেষমেশ পরিত্যক্ত হয়ে যায় খেলা। আর তাই অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিংও করা হয়নি তামিম ইকবালের।
বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স ও পোখারা রাইনোস। ব্যাটিং না পেলেও, এই ম্যাচে আসেলা গুনারত্নকে নজরকাড়া ফিল্ডিংয়ে রান-আউট করেছেন তামিম। আপাতত তাই এতেই স্বস্তি খুঁজে নিতে পারেন তিনি। এর আগে নেপালের কীর্তিপুরে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে পোখারা। শুরুতেই ডাক মেরে ফেরেন ওপেনার রিচার্ড লেভি। ক্রিজে এসে বিপিন রাওয়াল ৬ রান তুলতে পেরেছেন। এরপরেই অধিনায়ক বিনোদ ভাণ্ডারি ফেরেন ডাক মেরে। ৮ বলে মাত্র ১ রান করেই করেই দুর্গেশ গুপ্তার শিকার হন আরেক ওপেনার সুনীল ডামালা। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লোকেশ বাম। আসেলা গুনারত্নে ক্রিজে এসে হাল ধরছিলেন। কিন্তু লঙ্কান তারকাকে রান আউট করে সাজঘরে ফেরান তামিম ইকবাল। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৬ বলে ২৩ রান সংগ্রহ করেন এই ডানহাতি।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছেন না তামিম। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেই নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। এই অবসর সময়টাতে বসে থাকতে চান না এই ড্যাশিং ওপেনার। তাই ইপিএল খেলছেন। হিমালয়ের দেশে প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত তামিম। যদিও নেপালে যেতে বেশ বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে তাকে।
গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে দেশ ছাড়েন তামিম। ফ্লাইট জটিলতায় প্রায় ৮ গুণ বেশি সময় ব্যয় করে তাকে যেতে হয়েছে নেপালে। তামিম জানান, ‘ইনজুরি কাটিয়ে অনেকটাই ফিট হয়েছি। আমি খুবই রোমাঞ্চিত। এই প্রথম নেপালে আসলাম। ২০১৪ বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছিলাম। এটা ভালো একটা টুর্নামেন্ট। আমি ইপিএলে খেলতে মুখিয়ে আছি। দলের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। এটা আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। গত ২-৩ মাস ধরেই আমি ইনজুরিতে ছিলাম। তবে দেশে গত ২ সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। এখন ভালো বোধ করছি। আশা করছি, ভালো শুরু করব। আসরে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব।’
বিশ্বকাপে ভারতকে ইতিপূর্বে কখনোই হারাতে পারেনি পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে সর্বশেষ ১২ বারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জয় পেয়েছে ভারত। তাইতো এবার বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান শপথ করে নেমেছিল, তারা এবার কোহলিদের হারাবেই। শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলো পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
১০ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বিরাট কোহলি এন্ড কোং'কে লজ্জায় ডুবিয়ে জয় তুলে নিলো পাক বাহিনী।
ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকেন দলটির দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের শাসন করে ১৩ বল ও সবকটি উইকেট হাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
৫৫ বলে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। তার ম্যাচজয়ী এ ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
অপরপ্রান্তে, বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মারে। তাতেই ১৭.৫ ওভারে জয়ে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে উভয় দলেরই এটি প্রথম ম্যাচ। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে টিম ইন্ডিয়া। দলীয় ৬ রানের মাথায় রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল আউট হয়ে যান। দু'জনই শাহিন আফ্রিদির শিকার।
এরপর একা লড়ে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার ৫৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ভারত। কোহলিকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন রিশাব পান্ট। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৩৯ রান।
পাক বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন শাহিন আফ্রিদি। এছাড়া হাসান আলি ২টি এবং শাদাব খান ও হারিস রউফ নেন একটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।
ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমেদকে ২০১৩ সালের এক মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গণমাধ্যমকে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ও সম্প্রতি সহিংস ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। তিনি মামলারও আসামি। আসামি হিসেবে তাকে শুক্রবার বিকালে লালবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।