অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ না হতেই আরেকটি সিরিজ খেলার অপেক্ষায় টাইগাররা। বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ৫ ম্যাচ টিটুয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২৪ আগস্ট ঢাকায় আসবে কিউইরা তারপর কোয়ারান্টাইন পালন করে একটি প্রস্তুত ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে মূল লড়াই শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর, তৃতীয় ম্যাচ ৫ সেপ্টেম্বর সিরিজে চতুর্থ ও শেষ ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে হোম অব ক্রিকেট শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। আসন্ন টি-টুয়ান্টি সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে টম লাথামকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশ সফরে ৫ ম্যাচ টি২০ সিরিজের জন্যে দল ঘোষনা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। দলে নেই অধিকাংশ তারকা ক্রিকেটার।
নিউজিল্যান্ড দলঃ
টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, হামিশ ব্যানেট, টম ব্লানডেল, ডগ ব্রেসওয়েল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জ্যাকব ডাফি, স্কট কুগেলেইন, কোল ম্যাককনকি, হেনরি নিকোলস, আজাজ পেটেল, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ারস, উইল ইয়ং, ব্লেয়ার টিকনার।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমানে সফল দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। সাকিব দেশ সেরা অলরাউন্ডার তবে এতে তিনি সীমাবদ্ধ থাকেনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। অন্যদিকে রানের বিচারে তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার। বর্তমানে তারা দুই জন তিন ফরম্যাটে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সাকিব টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটে এবং তামিম ইকবাল ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করছেন।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের চেয়ে সাকিব ছয় মাসে এগিয়ে। সাকিবের অভিষেক ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট, তামিমের ২০০৭ এর ৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর তারা দ্রুত বাংলাদেশের পোস্টারবয় হয়ে ওঠেন পারফরম্যান্স দিয়ে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে একসঙ্গে থাকায় তাদের বোঝাপড়া দারুণ হয়। সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সাকিব ও তামিম সময়ের সঙ্গে হয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। একসময়ে সাকিব-তামিমকে বলা হত মানিকজোড়। দুজনের বন্ধুত্বের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে সবখানেই। তবে সামপ্রতিক সময়ে যা আর নজরে আসে না। জানা গেল তারা নাকি একে অপরের সঙ্গে এখন কথাই বলে না!
এদিকে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের তামিম-সাকিব দুই জনই রয়েছে দলে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফরেও চলে এসেছে ইংল্যান্ড দল। মার্চের প্রথম দিনই মাঠে গড়াবে খেলা। তার আগেই সাকিব-তামিমের সম্পর্কের ফাটল ধরার ব্যাপারটি আসলো প্রকাশ্যে। তবে এর থেকেও বড় সমস্যা জাতীয় দলে নাকি চলছে গ্রুপিংও যা কিনা জানালেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে তামিম-সাকিবের সম্পর্কের ফাটলের কথা এতদিন ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু খোলাখুলিভাবে কেউ তা প্রকাশ করেনি। সম্প্রতি ক্রিকবাজের সঙ্গে জাতীয় দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। এসময় বিসিবি বস বলেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়! তিনি বলেন, ‘এটি একটি স্বাস্থ্যকর ড্রেসিং রুম নয়, এটি আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি। এই ব্যাপারটা (সাকিব ও তামিমের মধ্যে ফাটল), এটা এমন নয় যে, আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি অনুভব করেছি যে এই মুহূর্তে সমস্যাগুলো (তাদের মধ্যে) নিষ্পত্তি করা সহজ নয়। এই আমার পর্যবেক্ষণ।’
এসময় বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন সাকিব-তামিমের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা খুব ভালোই জানতেন সাবেক হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেও পারেননি দুজনের সম্পর্কটাকে স্বাভাবিক করতে। তবে মাঠের বাইরে সাকিব-তামিমের যেই সম্পর্কই হোক তা যেন আসন্ন সিরিজে সমস্যা না করে এটাই চাওয়া বিসিবি সভাপতির। এ নিয়ে তাদের দুই জনকে কড়া বার্তাও দিয়েছে বিসিবি বস। তিনি বলেন, ‘তাদের উভয়কে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে - আমরা জানি না আপনাদের মধ্যে কী চলছে, তবে আপনারা যে ম্যাচে বা সিরিজ খেলছেন, সেখানে এই সমস্যাগুলো সামনে আসতে পারে না। তারা দুজনেই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এটি খেলার সময় থাকবে না।’ তবে আসন্ন সিরিজে সাকিব-তামিমের সম্পর্ক পরিবর্তন করতে চান পাপন। বলেন, ‘তাদের (সাকিব ও তামিম) মাঠে এবং ড্রেসিংরুমেও কথা বলতে হবে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খারাপ ছিল তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সিরিজ থেকে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ) আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে এটি (তাদের সম্পর্ক) পরিবর্তন করতে চাই। তারা বাইরে যা করে তা আমার জন্য চিন্তার বিষয় নয়।’
এদিকে শুধু সাকিব-তামিম সম্পর্কই নয়, দলে গ্রুপিং হয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি বস। তার মতে এটিই বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা এই গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর অন্য কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধুমাত্র এই গ্রুপিং সম্পর্কে ভীত এবং আমি কিছুদিন আগে এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপেও ওদের হোটেলে না থাকার পরও যা দেখেছি শুনেছি বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কীভাবে সম্ভব! সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে আমাদের এর অবসান ঘটাতে হবে কারণ একটা জিনিস সবারই বোঝা দরকার তা হল গ্রুপিং করার সুযোগ নেই।’ সূত্র: স্পোর্টস রিপোর্ট, ইত্তেফাক
ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মেক্সিকোর এক চিকিৎসক।
রোববার (৩ জানুয়ারি) মেক্সিকান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ৩২ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তার খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট হয় এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। পরে তাকে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নুয়েভো লিওনের একটি সরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাতে মেক্সিকান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে তার ‘এনসেফালোমেলাইটিস’ হয়েছে। ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের প্রদাহে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ওই চিকিৎসকের অ্যালার্জির সমস্যা ছিলো এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কারো শরীরে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার প্রমাণ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়োএনটেক যৌথভাবে এ ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে ফাইজার এবং বায়োএনটেক এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৫শ’ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে দেশটি।