তথাকথিত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বহুবিবাহে আবদ্ধ, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, প্রতারক বরগুনা জেলার পাথারঘাটা থানার তালুকের চরধনি গ্রামের মৃত শাহাদাৎ শিকদারের মেয়ে শাহনাজ পারভীন (৪৫)। প্রতারণা করাই তার মুল পেশা।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে শাহনাজ পারভীন রাজধানী ভাটারা, বাড্ডা, খিলক্ষেত ও গাজীপুর মহানগরে বিভিন্ন এলাকায় অনৈতিক সকল কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, ফরিদপুর জেলার ইউনুসের সাথে তার প্রথমে বিবাহ হয়। ঐ স্বামীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে পরবর্তীতে সাগর নামে আরেক ব্যাক্তিকে বিবাহ করে, কয়েক বছর পরে এই স্বামী সাগর শাহনাজের ছোট বোনকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। তারপর মাসুদ নামে আরো এক ব্যক্তিকে বিবাহ করে ঢাকা কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় চলে আসে। বেশি লেখাপড়া না থাকলেও সে মোবাইল চালানো বেশ দক্ষ ও প্রতারণার কৌশলে বেশ অভিজ্ঞ।
উল্লেখ্য, ঢাকায় এসে কুড়িল চৌরাস্তায় প্রথমে বাড়ি বাড়ি কাজ করতো, হোটেলে প্লেট ধোওয়ার কাজ, ব্যাটারীর দোকানে কাজ, ফুটফাতে চা বিক্রি করতো। আবার একসময় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে তারপর হয়ে উঠে সাংবাদিক।
নিজের নাম ঠিকানা ঠিক মত লিখতে না জানা শাহনাজকে একটা মহল তাদের প্রয়োজন মেটাতে সাংবাদিক বানায়। আর এই সাংবাদিক কার্ড ও ক্যামেরা গলায় ঝুলিয়ে সেই চক্রের সাথে চাঁদাবাজী শুরু করে। এই চাঁদাবাজী করতে গিয়ে কয়েকবার ধরা পরে এবং চাঁদাবাজীর মামলায় জেলখাটে। বর্তমানে তার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজীর একাদিক মামলা চলমান।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শাহনাজ ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল মাসে বাবুল মিয়া নামে একজনের সাথে তার বিয়ে হয় এবং ঠিকমত ভরণ-পোষণ ও খোঁজ-খবর না নেওয়ার অভিযোগে বাবুল মিয়ার ঠিকানায় ১৫/০৫/২০১৯ সালে উকিল নোটিশ পাঠানো হয় । সূত্রে আরো জানা যায়, গাজীপুর চৌরাস্তায় আরেক প্রতারক ও চাঁদাবাজ মো: আব্দুস সোবহান নামের এক ব্যাক্তির যোগসূত্রে হাজী নুরুল হকের ৭২ শতাংশ মার্কেট জমি ভুয়া ক্ষমতাপত্র তৈরি করে জোড় পূর্বক চাঁদাবাজী করে আসছে। এমনকী হাজী নুরুল হকের নামে একটি অবৈধ কাবিন নামা তৈরি করে নিজেকে হাজী নুরুল হকের স্বামী দাবী করে প্রতারণা করে আসছে।
অনুসন্ধান টীম আরও কিছু ভয়ংকর তথ্য উদ্ধার করে। শাহনাজ নিজের মেয়েকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করিয়ে বিভিন্ন পুরুষকে ফাসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়, শাহনাজের বোন রুপসী হিজরা, সাথে আরো হিজরা নিয়ে গ্যাং তৈরি করে তাদেরকে নিয়েও বিভিন্ন অন্যায় কার্যকলাপ করে যাচ্ছে।
শাহনাজ তার নিজের মেয়েকে দিয়ে একাদিক পুরুষের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে এক সময় তাদের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক করিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজী করে। যাহার একাদিক প্রমাণ অনুসন্ধান টিমের হাতে সংরক্ষিত আছে। মাত্র ২০ বছর বয়সে সে তার মেয়েকে চার বিয়ে করিয়ে কিছু দিন পর পর তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে নেয়। একাদিক বিয়ে করে কাবিনের টাকা হাতিয়ে নেওয়া শাহনাজ এবং শাহনাজের মেয়ে চালিয়ে আসছে।
সামপ্রতিক শাহনাজ সাহায্যের নামে বিভিন্ন ব্যানার বানিয়ে প্রবাসীদের কাছে ফেসবুকে বুস্ট করে, মিথ্যে অভিনয়ে নতুন প্রতারণায় অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এখানে সে উল্লেখ করে বলে যে, সে কিডনী রোগী, মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গেছে আবার সে ব্রেস্ট ক্যানসার, ব্লাড ক্যন্সারে আক্রন্ত। আবার এতিম শিশুদের নামে সাহায্য চেয়েও আবেদন করে। এই বিষয়ে শাহনাজের মোবাইলে ফোন দিয়ে এর সতত্যর একাদিক রেকডিং পাওয়া গেছে ও বেশ কিছু ব্যানার ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে ছড়িয়ে পড়েতে দেখা যায়।
শাহনাজ কথায় কথায় মানুষকে মিথ্যে মামলার হুমকী প্রদান করে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে। তার কাজে তাকে সাহায্য করার জন্য কিছু উকিল ও সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে এবং এসব উকিল ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সে প্রতারণা করার উৎসাহ পেয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে সে জনপ্রিয় ব্যাক্তি বেরিষ্টার সুমন, অভিনেতা ডিপজলসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্যের নামে ধরণা দিয়েছে এবং তার নিজের ফেসবুকে এই বিষয়ে একাদিক ভিডিও শেয়ার করেছে।
তার সর্ম্পকে তার বাসায় আশে-পাশে তথ্য জানতে গেলে, নাম না প্রকাশে কয়েকজন বলেন বড় ফ্লাট নিয়ে সে একা বাসায় থাকে, প্রতিদিন বিভিন্ন পুরুষ-মহিলা তার বাসায় আসা-যাওয়া করে। প্রতিবেশীরা জানান যে, কিভাবে একা একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে, তার আয়ের উৎস কি আমাদের জানা নেই । আসা-যাওয়া লোকদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে সাংবাদিক শাহনাজের কাছে তাদের ভিন্ন ভিন্ন কাজ থাকে তাই তারা আসে।
অনুসন্ধান টিম উক্ত বিষয়ে শাহনাজের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে বলে, কত সাংবাদিক লাগবে সে নিয়ে আসবে, পরবর্তীতে যেন তাকে আর ফোন না দেওয়া হয়। আর ফোন দিলে সে দেখে নিবে বলে হুমকী দেয়। সে আরো হুমকি দেয় যে, তার হিজরা বোন রুপসীকে দিয়ে কাপড় খুলে রেখে এক একজনকে রাস্তায় ছেড়ে দেবে। সূত্র: ডে-নাইট নিউজ, সীমান্ত বার্তা
ডাকাত বানিয়েই মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য আসা নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দশম সাক্ষি হাফেজ জহিরুল ইসলামের আদালতকে দেওয়া জবানবন্দি থেকে জানা গেছে এমন তথ্য।
হাফেজ জহিরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম আমি। ঘটনার দিন রাতে উত্তর মারিশবনিয়া ওমরুল কুরান জামে মসজিদে এশার আযান দিচ্ছিল। আমিও মাইকে এশার আযান শুরু করি। আমার আযান শেষ হয়। এসময় উত্তর মারিশ বনিয়া ওমরুল কুরআন জামে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছিল পাহাড়ে আলো দেখা যায়, এলাকার মানুষ সতর্ক থাকবেন ওরা ডাকাত।
আমি নিজের কানে শুনতে পাই মাইকিং করা ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই মসজিদের ইমাম সাহেব মাওলানা মুক্তারকে ফোন করি আমি নিশ্চিত হয়ে জানতে চাই এ মাইকিং করছে কে? তখন আমি নিশ্চিত হই ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। এরপর আমরা আমাদের মসজিদের এশারের ফরজ নামাজের আগের সুন্নত আদায় করি এবং আমার ইমামতিতে এশারের ফরজ নামাজ আদায় করি। আমরা মোনাজাত করে ফেলি। আমাদের মসজিদে আমার পূর্বে মাওলানা হোসেন আহমেদ স্থানীয় একজন ইমাম ছিলেন। আমারে বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে। তুমিও জলদি মাইকিং করে দাও। আমি উত্তরে বলি মাইকিং করতে হবে না।
উনারা সেনাবাহিনীর লোক আমি নিজে পাহাড়ে যেতে দেখেছি। ওই সময় আমি সেনাবাহিনীর পোশাকের মত পরিহিত লোকটার বর্ণনা দেই। ওনার সাথে আরেকজন আছে এটাও বলি। নামাজ শেষে চায়ের দোকানে গেলে আমার মামা মোহাম্মদ আলি বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে, তুমিও মাইকিং করে দাও। আমি বলি যে এরা সেনাবাহিনীর লোক মাইকিং করার কোন দরকার নেই।
এরপর আমি ডিসি রোড দিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হই। আমি মুইন্না পাহাড়ের কাছাকাছি গেলে দেখতে পাই দক্ষিণ দিক থেকে নুরুল আমিন ও আয়াস আসছে। নুরুল আমিন ও আয়াশ আমাকে বলছে যে, আমরা মাইকিং করে দিয়েছি তুমি কেন মাইকিং করো নাই। আমি বলি মাইকিং করার কোন প্রয়োজন নাই এরা সেনাবাহিনীর লোক। ওরা বলে এরা সেনাবাহিনীর লোক নয় এরা ডাকাত। এরপর তারা আমার হাত থেকে টর্চ লাইট নিয়ে মুইন্না পাহাড়ের দিকে টর্চ মারতে মারতে যায়।
আমি বলি পাহাড়ের দিকে লাইট মারিও না, ওরা সেনাবাহিনীর লোক। নুরুল আমিন ও আয়াজ আমাকে বলে এত রাত্রে কিসের সেনাবাহিনীর লোক এরা আব্দুল হাকিম ডাকাত, সেনাবাহিনীর ড্রেস পড়ে ডাকাতি করতে এসেছে। আয়াজ ও নুরুল আমিন আমাকে বলে যে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ছিটখালি পর্যন্ত এসেছে। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ মুইন্না পাহাড়ে আসার জন্য বের হয়েছে।
নুরুল আমিন আমাকে বলেছে যে, ওসি প্রদীপ স্যার তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা দিবে ডাকাত মেরে ফেলার জন্য। তারা আরো বলেন ৫ লাখ থেকে দুই লাখ টাকা তোরে (তুই সম্ভোধন) দিমু আর দেড় লাখ টিয়া (টাকা) করি (করে) আমরা নিমু (নিব) আমি যেন ডাকাত বলে মাইকিং করে দেই। উত্তরে তাদেরকে আমি বলি ২ লাখ টাকা আমার কোন প্রয়োজন নেই আমি মাইকিং করবো না।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এসব সাক্ষ্য দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তা নিশ্চিত করেছেন সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজের সাথে যুক্ত একাধিক আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী ফরিদুল আলম বলেন, আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন ডা. রনধীর দেবনাথ ও ইমাম জহিরুল ইসলাম। মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য ভিন্ন পরিকল্পনাও ছিল আসামিদের হাতে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ইমাম।
এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে আরো চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় দশম সাক্ষিসহ আরো ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
সরকারী কৌঁসুলী ফরিদুল বলেন, মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৩ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষি জবানবন্দি প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলায় ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে আরো ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
মঙ্গলবার কাঠগড়ায় উপস্থিত আসামিরা হলেন, আদালতে উপস্থিত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সূত্র: ইত্তেফাক
পাকিস্তানের কোয়েটায় সেরেনা নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে শক্তিশালী বোমা হামলা হয়েছে এবং এতে অন্তত ৪জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
বুধবার রাতে হোটেলে ওই হামলা চালানো হয়। বিবিসি ও ডন এমন খবর দিয়েছে।
কোয়েটা সফররত পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত ওই হোটেলে উঠলেও বিস্ফোরণের সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।
রাষ্ট্রদূত নিরাপদে আছেন জানিয়ে প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাঙ্গো বলেন, কিছু আগেই তার (রাষ্ট্রদূত) সাথে আমি সাক্ষাৎ করেছি। তিনি ভাল আছেন।
রাষ্ট্রদূতের সফর বৃহস্পতিবার শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি এক টুইটে জানিয়েছেন, হামলার আগে দিনের বেলায় চীনা রাষ্ট্রদূত নঙ রঙ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেরেনা হোটেলের কার পার্কিংয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের কর্মকর্তা ওয়াসিম বেগ চারজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানান এবং বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান তালেবান। তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।
হামলাটি চীনা রাষ্ট্রদূত কিংবা প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এ অঞ্চলে এর আগেও চীনের নাগরিক এবং বিভিন্ন প্রকল্পে তালেবানরা হামলা চালিয়েছে।
বিলাসবহুল সেরেনা হোটেলের নিকটেই রয়েছে ইরানের কনস্যুলেট এবং প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভবন।