মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বামী-স্ত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি আশরাফুল মোল্লা (৩৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নড়াইলের সদর উপজেলার শৈলপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গোপালগঞ্জ জেলার একটি টিম। গ্রেফতার আশরাফুল নড়াইল সদর উপজেলার মধ্যপল্লী এলাকার আকবর মোল্লার ছেলে।
পিবিআই গোপালগঞ্জ জেলার এসআই শেখ আল আমিন জানান, সম্প্রতি কৃষি কাজ করতে অপরিচিত কয়েকজন যুবক কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সস্তাল গ্রামে আসেন। ওই এলাকার কৃষকের মেয়ের দিকে খারাপ নজর পরে আশরাফুলের। এতে বাধা দেন কৃষক দম্পতি। তাই তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে আশরাফুল।
গত ৪ এপ্রিল প্রথম ওই কৃষককে ডেকে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। পরে তার স্ত্রীকেও মোবাইলে ডেকে নিয়ে একইভাবে হত্যা করে আশরাফুল।
হত্যা ঘটনার পর কৃষক দম্পতিকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের নিখোঁজ দাবি করে কালকিনি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। নিখোঁজের চারদিন পর গত ৯ এপ্রিল রাজারচরের শুকিয়ে যাওয়া একটি খালের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় করা মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। তথ্য-প্রযুক্তির সহয়তায় ঘটনার ১৩ দিন পর নড়াইল থেকে আশরাফুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় নিহত স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
পিবিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অপরাধ করেছে খুনি আশরাফুল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। কৃষক দম্পতিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় শুধুমাত্র তাদের মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য।
কৃষক দম্পতিকে হত্যার পর কৌশলে মেয়ের সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করে আশরাফুল এবং ভোরে পালিয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আশরাফুল একাই জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে তার ওপর হামলা চালায় কিছু দুর্বৃত্তরা।
জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট চলাকালীন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনও তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, আগেও আমরা বলেছি, আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।
এর আগে সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে একদল যুবক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা চালায়। তার ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি পুলিশ প্রধান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার দল দেশবাসীকে একটি উন্নত ও সুন্দর জীবন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে দেশবাসী স্বাধীনতা পেয়েছিল। নৌকায় ভোটের কারণে আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ ঘর পেয়েছে। তাই আমি বলতে চাই—আওয়ামী লীগের প্রতি সবাইকে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে।
দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আজ (৯ আগস্ট) আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে বাড়ি বিতরণের ঘোষণা দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, জনগণ তার দল আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় তার সরকারের অধীনে দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে এবং দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তার দল ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে সমস্ত মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তার দল সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক