চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারা সেই ছাত্র আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানায় দায়ের করা মামলা মঙ্গলবার দুপুরে জামিন পেতে চুয়াডাঙ্গার শিশু আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওই ছাত্র। এ সময় আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আবু তালেব বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষকের করা মামলায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী শিশু আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
আদালতের বিচারক মুসরাত জেরিন উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আসামিকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে রবিবার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেওয়ায় তার হাতে লাঞ্ছিত হন দায়িত্বরত শিক্ষক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, শিক্ষককে মারধর করা গর্হিত অপরাধ। এ বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই এবং কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বসিলার ওই বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, র্যাবের কাছে গোপন সংবাদ রয়েছে জঙ্গি আস্তানার বিষয়ে। তাই ভোর থেকে বসিলার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই বাড়িতে র্যাবের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গিদের তৎপরতা ও ব্রহ্মপুত্র নদে একটি নৌকায় জঙ্গিদের অবস্থানের কথা জানতে পেরে র্যাব-১৪’র একটি দল ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় অভিযান চালালে র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানানো হয়।
সাধারণত বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। সেই রীতি বজায় রেখেই আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে ১০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাগণ।
আজ দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী। এরপরই ফ্লোর নিয়ে সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্য শুনবেন না বলে জানিয়ে দেন অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।
মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ষ্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কেউ তার বক্তব্য শুনব না। তিনি যেন কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বক্তব্য দিলে আমরা তা বয়কট করব।
এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থসচিবসহ অন্যরা। সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময় গভর্নরকে নিশ্চুপ থাকতে দেখা যায়।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সূত্র: ইত্তেফাক