যুক্তরাষ্ট্রের রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র গরিব ও রাশিয়া ধনী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য মার্জোরি টেলর গ্রিন (আর-জিএ)।
বুধবার এক্স (সাবেক টুইটার) পেজে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। খবর তাস নিউজের। তিনি ইউক্রেনে অর্থ প্রদান বন্ধ করার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্জোরি টেলর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ১১৩ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে এবং ইউক্রেনের সরকারকে প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার পাঠায় এবং বাইডেন আরও ২০ বিলিয়ন ডলার দিতে চান।
ফলে রাশিয়া আরও ধনী হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র অর্থ প্রদান করে গরীব হচ্ছে, এতে করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের জন্য আর অর্থ বরাদ্দ করা হবে না।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের ইউবিএস ব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল যে, ২০২২ সালে, মার্কিন সম্পদ ৫৯০ হাজার কোটি ডলার কমেছে, যেখানে রাশিয়ার ৬০ হাজার কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ৫১ শতাংশ মালিকানা নিচ্ছে ডাক বিভাগ। বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকবে বেসরকারি খাতের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। এর মধ্যে বিদেশি অংশগ্রহণও থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় নগদের উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
এতদিন ডাক বিভাগে নাম কোম্পানিটি ব্যবহার করছে কীভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, এত দিন নগদের মুনাফার ৫১ শতাংশ পেত ডাক বিভাগ। তবে মালিকানা ও পরিচালনায় কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।
অনুষ্ঠানে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ বলেন, সরকার নগদের ৫১ শতাংশ শেয়ার নেবে। এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় আছে। সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে নগদ।
নগদের শেয়ার সোনালী ব্যাংক কিনছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। সোনালী ব্যাংক যে বিনিয়োগ করতে চেয়েছে, তা অনেক কম। তিনি জানান, যখন ৮০ কোটি লেনদেন ছিল, তখন নগদের ভ্যালুয়েশন ছিল প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এখন লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা, ভ্যালুয়েশনও পাঁচ গুণ বেড়েছে।
নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলেন, নগদের গ্রাহক ও লেনদেনে সাম্প্রতিক সময়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত নভেম্বরে গ্রাহক ছিল ২ কোটি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ। লেনদেনও ১৫০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস বাজারে নগদের শেয়ার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।
সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপন বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগী কোনো কোম্পানিকে ঘায়েল করার জন্য নয়। নতুনত্বের অংশ হিসেবে ‘ব’তে বেকুব ও ‘ন’তে নগদের বিজ্ঞাপন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন নুর, নগদের অন্যতম মালিক ও সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম প্রমুখ।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের লোকেরা বিবাদমান সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা সোহরাফ হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে। ঝর্ণা বেগম ওই গ্রামের বাসিন্ধা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাফ হোসেনের স্ত্রী।
জানা গেছে, উপজেলার ৯০নং ঘোনাপাড়া মৌজার বিআরএস ২৬৮, ৫৩৫, ২৬৯নং খতিয়ানের বিআরএস ২৬৮, ৫৩৫, ২৬৯ দাগের ৩৪ শতাংশ জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
জমির দাবিদার ঝর্ণা বেগম গত ১ মার্চ গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি সম্পত্তি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সম্পত্তিতে উভয়পক্ষের প্রবেশ, স্থাপনা নির্মাণসহ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কাশিয়ানী থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্যা ও তার লোকজন ভবন নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা স্ত্রী অভিযোগে বলেন, আমার সম্পত্তিতে জোর করে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্যা ভবন নির্মাণ শুরু করেন এবং আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে আমি আদালতের স্বরণাপন্ন হই ও মামলা করি। মামলায় ওই সম্পত্তিতে আদালত স্থিতাবস্থা প্রদান করেন। এতে করে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাই ভয়ে আমি ২ সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামী বেঁচে নেই। আমার ছেলেরা চাকরির করার কারণে বাইরে থাকে। আমি বাড়িতে একা থাকি। এ সুযোগে আমার জমি দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমার ওপর অত্যাচার নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এর আগেও তারা আমাকে মারধরও করেছে। আমি ভয়ে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
বিবাদী পক্ষ বাচ্চু মোল্যার ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি হুমকি-ধমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, সিমেন্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল তাই কিছুটা কাজ করেছিলাম। পুলিশ এসে বন্ধ করে দেওয়ার পর আর কাজ করেনি। তিনি আরও বলেন বিষয়টি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার এএসআই পলক কুমার বারুরী বলেন, বিবাদমান সম্পত্তিতে উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তবে বিবাদী পক্ষ কাজ করছিল খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পুনরায় কাজ করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া বাদীর আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।