হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইবনে সিনা মডেল স্কুলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
করোনা বিবেচনায় শিক্ষার্থী শূণ্য স্কুলে শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করে স্ট্যান্ডার্ড ফোর-এর ছাত্র এ.এন.এম শাফকাত আলম ইশমাম। স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন সম্মানিত ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব ফেরদৌসী বেগম।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মিসেস মিলিয়া জাহান। কবিতা আবৃত্তি করেন মিসেস রাজিয়া সুলতানা এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিসেস সেলিনা ও মিসেস রাজিয়া সুলতানা।
এরপর শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মিসেস হাসনা বেগম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মিসেস আফরোজা সুলতানা রুমি।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে রচিত বই থেকে পাঠ করেন শোনান সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপাল মিসেস রওশন আকতার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিসেস তাজরীনা আক্তার জলি।
সমাপনী বক্তব্য পেশ করেন ইবনে সিনা মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল জনাব এ. কে. এম আনিসুজ্জামান রাসেল।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আর প্রতিদিন হবে এইচএসসি, এসএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। তবে বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না আসার অনুরোধ জানান তিনি।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি এবং ২০২১ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবেন তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।
তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারে।
ভারত জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ ও ভেটো ক্ষমতা লাভের যে চেষ্টা করছে তার বিরোধিতা করেছে ওয়াশিংটন। কোনো মার্কিন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এই বিরোধিতার কথা জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক।
বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের এই আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর বিরোধী।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে দুই বছরের জন্য ভারতের পর্যায়ক্রমিক অস্থায়ী সদস্যপদের মেয়াদ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারত এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করলো।
এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই নিয়ে ভারত অষ্টমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের অধিকারী হলো। সূত্র: পার্সটুডে