এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
শিক্ষামন্ত্রীর পর বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এবার গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত বছরও এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল।
বেলা একটার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপরই শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা এসএমএস করে বা অনলাইনে ফলাফল জানতে পারে।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বসেছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ পরীক্ষার্থী।
এছাড়া দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করেছে।
যেভাবে ফলাফল জানা যাবে:
অন্যান্য বছরের মতোই শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, সাল ও শিক্ষা বোর্ড নাম নির্বাচন করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে। এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে (যেমন ঢাকা বোর্ড হলে DHA) স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাশের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাশের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল। সূত্র: যুগান্তর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের দেয়াল থাকবেনা।
তিনি বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, শিক্ষা জীবনব্যাপী। যে কোনো সময় যে কোনো মানুষ শিক্ষায় ব্রতী হতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের মানুষের অর্থে চলে। তাহলে এখানে এত প্রতিবন্ধকতা কেন? পড়াশোনার ক্ষেত্রে গ্যাপ থাকা যাবে না, নির্দিষ্ট বয়সে আসা যাবে না... এত প্রতিবন্ধকতা কেন? এই দেয়ালগুলো তুলে দিতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘যে কোনো বয়সে যে কোনো মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। সে কিন্তু পরীক্ষা না দিয়ে ভর্তি হবে না। পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে এখানে আসবে। তার বয়স কুড়ি না পঞ্চাশ, তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। আমরা যারা বিদেশ থেকে শিক্ষা নিয়েছি, এ রকম প্রতিবন্ধকতা থাকলে অনেকেই এই সুযোগ পেতাম না।’
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পাচঁ-ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আমাদের দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অর্থ সাশ্রয় ও হয়রানি কমানোর জন্য এটি প্রয়োজন। আমরাই তো সারাক্ষণ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারা যদি একটা পরীক্ষা দিয়ে হার্ভার্ডে, এমআইটিতে বা কমিউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে, তাহলে আমাদের গুচ্ছ পরীক্ষার মান নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?’ সূত্র: যুগান্তর
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরিভিত্তিতে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ সম্পদ বিবরণী জরুরিভিত্তিতে সংস্থাপন অধিশাখায় পাঠানোর নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না।
এ প্রেক্ষাপটে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৪ জুন চিঠি পাঠানো হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার উপসচিব নাফিসা আরেফীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
এমতাবস্থায়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্তদের তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দফতর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি গ্রহণের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ এবং ১৩ বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
এছাড়া সরকারি কর্মচারীর জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট/সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও চিঠির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই উদ্যোগ নিল। সূত্র: যুগান্তর