a
ফাইল ছবি
সরকারি চাকরিজীবীদের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হবে। যা আগামী ২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা যায়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রমে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন।
জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুই দিন করা হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ২০২৩ সালের আগেও চালু করতে পারে।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা। এছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। দিবসগুলো পালনের কর্মসূচি শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় নির্দেশনা ধারাবাহিকভাবে না মানলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ইডেন কলেজে ভবন উদ্বোধন ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মাদরাসাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমের বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি আছে। প্রতিদিন প্রতিবেদন সংগ্রহ করছি। স্থানীয় পর্যায়ে একটি নজরদারি আছে। তবে বিষয়টি যারা প্রতিষ্ঠান চালান তাদের ওপর নির্ভর করে।
আমরা অনেক নজরদারি করতে পারি, কিন্তু তারা যদি সচেতন না হন, নিয়ম না মানার প্রবণতা থাকে এবং ধারাবাহিকভাবে নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার কারণ হচ্ছে আমরা এ ঝুঁকি নেব না। একটা স্কুল বা মাদরাসায় ছড়ায় তাহলে সেটি কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকবে না সেটি কমিউনিটিতে ছড়াবে।
কারণ আমরা সেই ঝুঁকি নিতে পারি না। কাজেই সেই প্রতিষ্ঠান যে পর্যায়ের হোক মাদারাসা, কারিগরি প্রাথমিক মাধ্যমিক সেখানে যদি কোনো অবহেলা থাকে তাহলে সেটি আমরা ঠিক করার চেষ্টা করবো। কেউ যদি বারবার নিয়ম ভঙ্গ বা অবহেলা করে তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখনও অনেক ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান না খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। এখানে বাংলা, ইংরেজি মাধ্যম ভাগ নেই। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি না খুলে থাকেন তাহলে আমাদের জানাবেন।
সংগৃহীত ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দুই হাজারেরেও বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মোহাম্মদ বিন রাশিদ সেন্টার ফর ইসলামিক কালচারের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২০২৭ জন অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ (আইএসিএডি) কর্তৃক পরিচালিত এই সেন্টারটির মাধ্যমে প্রবাসীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে থাকনে। যা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে ইসলামের ইতিহাস, ইসলামি জ্ঞান ও ইসলামের পরিচিত তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এ সংস্থার মাধ্যমে দুবাইতে ৩১৮৪ জন বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করেছিলেন। যারা সংস্হাটির ওয়েবসাইট (www.iacad.gov.ae) এবং টোল ফ্রি (৮০০৬০০) নাম্বারের মাধ্যমে ইসলামে প্রবেশের আগ্রহ দেখান। তাদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করানো হয়। সূত্র: খালিজ টাইমস