a
ফাইল ছবি। ডা. দীপু মনি
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২১ সালে এসএসএসি পরীক্ষার্থীরা ৬০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ৮৪ দিন ক্লাস করার পর পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীরা যথাক্রমে ১৫০ দিন ও ১৮০ দিন ক্লাস করার পর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, 'আশা করি অবস্থার উন্নতি হলে, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সব স্কুল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যেন প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারি, সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।'
ফাইল ছবি
নবম শ্রেণির ভর্তি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চলমান রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরির্দশক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞা স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির ভর্তি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণবশত এ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
পরবর্তীতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরির্দশক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞা বলেন, গত রবিবার থেকে নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হলেও সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়ার সেটি স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ কার্যক্রম চলমান থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আবারও নবম শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়া হবে। এদিকে চলতি বছরের (২০২১) এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। আগের বছরের চেয়ে এবার ফি কমানো হয়েছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। ফরম পূরণের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে। কোনো অবস্থায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সশরীরে প্রতিষ্ঠানের যেতে হবে না।
ফাইল ছবি
১৭ই অক্টোবর (রবিবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২১এর ভর্তি পরীক্ষা একযোগে সারাদেশে ২৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
১৭ অক্টোবর (রবিবার) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে আসতে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকা সহ আশেপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
আজ সরজমিনে দেখা যায় সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসের গেইট গুলো খুলে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা একে একে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গুলো তাদের নিজ নিজ জেলার নামে ব্যানার নিয়ে দুরথেকে আগত পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে টেবিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি গেটের আশেপাশে অবস্থান করে।
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যগণ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন তুলে দেয় শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সাথে সাথে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে শুরু করে প্রত্যেকটা কেন্দ্রে। ক্যাম্পাসে প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট টহলরত অবস্থায় ছিলো সার্বক্ষণিক। এই সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। সাথে ছিলেন কোষাধক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, রেজিস্টার ওয়াহিদুজ্জামান ও বিভিন্ন বিভাগের ডিন, প্রক্টোরিয়ালবডির সদস্যগণ।
পরিদর্শন শেষে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, " পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ডিস্টার্ব না হয় সেজন্য আমরা সবগুলো হলের ভিতরে প্রবেশ করিনি। তাদের জন্য পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এক নম্বরের জন্য সিরিয়াল অনেক পেছনে চলে যেতে পারে।"
পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছু একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একসাথে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি। এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে পরীক্ষা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ বলেন, প্রশ্ন কিছুটা কঠিন হলেও সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে। আমাদের আর্থিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার হয়েছে।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুরু থেকেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সাথে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে এটাই আমাদের পরিশ্রমের সফলতা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে।