২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায়। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী প্রেস কনফারেন্স করে পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এটি অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সের পরই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার নাম ও বোর্ড সিলেক্ট করে রোল নম্বর দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবে।
করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয় ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয় বলে জানা যায়।
দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাই এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার। আগামি বছরের (২০২২ সাল) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত এ সিলেবাস অনুসারে ১৫০ দিনের পাঠদান শেষে এসএসসি পরীক্ষা হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষা হবে ১৮০ দিন পাঠদান শেষে।
আজ শুক্রবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।
এর আগে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর পরই সিলেবাস দুটি প্রকাশ করল ঢাকা বোর্ড।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ দিনে শেষ করে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৮০ দিনে শেষ করার মত করে এ সিলেবাস তৈরি করা হয়।
চলছে রহমত বরকতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। প্রত্যেক বছর পবিত্র রমজান মাসে উপলক্ষে রাজধানী পুরান ঢাকার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজারে বাহারি ইফতারির দোকান সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকার বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ আসে সেখানে ইফতার কিনতে।
কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের ন্যায় এবছর ও সে ধরনের উৎসবমুখর ইফতারির বাজার দেখা যাচ্ছে না। কিছু পরিমান দোকান দেখা গেলেও সেখানে আর আগেরমত জৌলস পাওয়া যায় না।
এবার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকানোর জন্য চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে রীতিমতো হাহাকার তৈরি হয়েছে সর্বত্ব। ইফতারির প্রসঙ্গ আসলেই চোখে ভাসবে চকবাজারের ইফতারির কথা। দোকানিদের বক্তব্য পুরান ঢাকার মানুষ অন্যদের চেয়ে ভোজন রসিক হিসেবে পরিচিত থাকলেও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এবার সব যায়গায় উল্টো চেহারা দেখতে হচ্ছে।
সব যায়গায় চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকায় অনেকেই স্থানীয় হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে ইফতারি কিনে ইফতার করছেন। সরকারি নির্দেশনার ভিত্তিতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতাদের মনে তেমন আনন্দ নেই। নেই তেমন হাক ডাক। করোনার কারনে বিক্রেতারা তেমন বেশি কিছু আইটেম তৈরিও করছে না ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার আশংকায়।
এছাড়া লকডাউন তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্বত্রই টহল দিতে দেখা যাচ্ছে চকবাজারসহ পুরো এলাকায়। সীমিত পরিসরে ইফতার ও বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক তৎপরভাবে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।