মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ কয়েক দফা পেছানোর পর এফসিপিএস বিভিন্ন পার্টের পরীক্ষার নতুন করে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আরম্ভ হতে যাওয়া এসব পরীক্ষা চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষা মহাখালী বিসিপিএস ভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল ১৯ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এফসিপিএস পার্ট-১, এফসিপিএস পার্ট-২ (ফাইনাল), প্রিলিমিনারি এফসিপিএস পার্ট-২, এফসিপিএস (সাব-স্পেশালিটি), এফসিপিএস মিডটার্ম এবং এমসিপিএস লিখিত পরীক্ষা আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত জুনে বিসিপিএসে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গত ২৬ জুন এফসিপিএস পরীক্ষা এক মাসের জন্য পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই সময় বলা হয়েছিল, সম্ভাব্য নতুন তারিখ আগামী ১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় এবং কঠোর লকডাউন চলমান থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনা করে এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দলের সদস্যরা রাজধানীর একটি বারে অভিযানে গিয়ে নিজেরাই মদ্যপানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । অভিযান শেষে পরদিন দাবী করা হয়, আইরিশ পাব এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ উদ্ধার করেছেন তারা।
রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকার রেস্টুরেন্টটিতে অভিযানের সময় গেল বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ তাদের মদপানের দৃশ্য ধরা পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভির ফুটেজে। খবর ডিবিসি নিউজের
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একজন সহকারি পরিচালক বারটিতে অভিযানে প্রায় ৩০ জনের দলকে নেতৃত্বে দেন। ঘটনাস্থলে এসময় বারটির অবৈধ দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধারে যেমন ব্যস্ত ছিলেন দলটির সদস্যরা অন্যদিকে মদপানেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে।
সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে, অভিযান পরিচালনাকারী দলের একজন আনসার সদস্য নিজে মদপান করেন। পরে তার কাছ থেকে নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরাও মদপান করেন।
এছাড়া সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে আরো দেখা যায় যে, অভিযান দলের একজন আনসার সদস্যও নিজে মদপান করেন। পরে তার কাছে নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরাও মদ্যপান করেন। অভিযানের সময় বারটিতে কর্মরত কয়েকজনকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের একজন বলেন যে, পায়ে মারতে মারতে লাঠি ভেঙে ফেলেছে। আমি শুয়ে পড়ার পর লাথি মেরেছে।
আরেকজন বলেন, দেখলাম তিন-চারজন লোক কাঠের লাঠি হাতে দৌড়চ্ছে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? আমাকে বলে, শু… বাচ্চা, গোডাউন কোথায় বল। বলতে বলতে আমাকে পেটানো শুরু করে।
যদিও পরদিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযানের সফলতার কথা তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাপরিচালক নিজেই।
অভিযানে গিয়ে দলটির মদপান কতোটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্নে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে তারা কিছু একটা খেয়েছে। আমি একদিকে বসে ছিলাম। তবে সেরকম যদি কিছু ঘটেই থাকে তাহলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”