a
ফাইল ছবি
দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাই এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার। আগামি বছরের (২০২২ সাল) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত এ সিলেবাস অনুসারে ১৫০ দিনের পাঠদান শেষে এসএসসি পরীক্ষা হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষা হবে ১৮০ দিন পাঠদান শেষে।
আজ শুক্রবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।
এর আগে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর পরই সিলেবাস দুটি প্রকাশ করল ঢাকা বোর্ড।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ দিনে শেষ করে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৮০ দিনে শেষ করার মত করে এ সিলেবাস তৈরি করা হয়।
ফাইল ছবি
২০২৩ সালের সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি।
ডিজিটালি ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফল প্রকাশ হয়ে গেছে। এখন সবাই ঘরে বসে ফল পেয়ে যাবে।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) উপস্থিত ছিলেন।
এরপর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, এ বছর ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছাত্রী।
দীপু মনি বলেন, ‘পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফরম পূরণ থেকে ফল প্রকাশ- সবই অনলাইনে করা হয়েছে। ঘরে বসেই অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ফল পেতে পারবে।’
অনলাইন ও মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফলাফল জানা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। আর www.educationboardresults.gov.bd -তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া এসএসসি ও বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করেও ফলাফল পাওয়া যাবে।
উদাহরণ: SSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় MAD এবং কারিগরির ক্ষেত্রে TEC লিখতে হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ২৫ মে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বোর্ডের ১৪ মে’র পরীক্ষা এবং সব বোর্ডের ১৫ মে’র পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ১৪ মে’র পরীক্ষা ২৭ মে এবং ১৫ মে’র পরীক্ষা ২৮ মে অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে আসন্ন বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্রুয়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসন্ন অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু করা হবে।
ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন।
মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সব মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।