লাল, সাদা পোশাকে কিছু লোক এসে বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বাড়িতে প্রবেশ করেছে। তারা নাকি এ মুহূর্তে পরীমনির দরজা খুলতে বলছেন। তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলছেন।
পরীমনি পল্লবী থানায় ফোন করে জানতে পারেন থানা থেকে কোনো লোকজন পাঠানো হয়নি। থানা থেকে বলা হয়েছে, আপনি দরজা খুলবেন না। আমরা আসছি।
বুধবার লাইভে এসে এমন পরিস্থিতির কথা জানালেন পরীমনি। লাইভটি এখনও চলছে। পরীমনি পুলিশ ও মিডিয়াকর্মীর সহায়তা চাইছেন।
লাইভে তিনি বলছেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে। তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা? মূর্খরা ভাঙচূর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পরীমনির বাসায় অভিযানের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমাদের টিমের কোনো সদস্য পরীমনির বাসায় যায়নি।’ সূত্র: যুগান্তর
ভিডিও লিংক: www.facebook.com/watch/live/?v=331800011977458&ref=external
বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৩তম আসরের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হলো। এবার সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বাধিক চারটি বিভাগে সেরা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষায় নির্মিত ‘প্যারাসাইট’। সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের ৯৩ বছরের ইতিহাসে ইংরেজি ব্যতিত অন্যভাষার ছবির জয়ের ঘটনা এটাই প্রথম।
প্রতি বছরের মতো এবারও সেরা ছবি, সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা, সেরা অভিনয়শিল্পী, সেরা প্রামাণ্যচিত্রসহ ২৩টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করেছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদানের জমকালো এই আয়োজনে ছিল না কোনও সঞ্চালক। এবিসি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৫টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় অনুষ্ঠানটি।
একনজরে ৯৩তম অস্কারের বিজয়ীরা
সেরা চলচ্চিত্র: নোম্যাডল্যান্ড
সেরা অভিনেতা: অ্যান্থনি হপকিন্স (দ্য ফাদার)
সেরা অভিনেত্রী: ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড (নোম্যাডল্যান্ড)
সেরা পরিচালক: ক্লোয়ি জাও (নোম্যাডল্যান্ড)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা: ড্যানিয়েল কালুইয়া (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী: ইয়া-জাঙ উন (মিনারি)
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: প্রমিসিং ইয়াং ওম্যান (এমারেল্ড ফেনেল)
সেরা অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য: দ্য ফাদার (ক্রিস্টোফার হ্যাম্পটন ও ফ্লোরিয়ান জেলার)
সেরা অ্যানিমেটেড ছবি: সৌল (পিট ডক্টর ও ডানা মারে)
সেরা চিত্রগ্রহণ: ম্যাঙ্ক (এরিক মেসারস্মিট)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম (অ্যান রোথ)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: মাই অক্টোপাস টিচার (পিপ্পা এরলিচ, ক্রেগ ফস্টার ও জেমস রিড)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র: কলেট (অ্যালিস ডয়ার্ড ও অ্যান্থনি গিয়াচ্চিনো)
সেরা সম্পাদনা: সাউন্ড অব মেটাল (মিকেল ই. জি. নিলসেন)
সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র: অ্যানাদার রাউন্ড (ডেনমার্ক)
সেরা রূপ ও চুলসজ্জা: মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম (সের্গিও লোপেজ-রিভেরা, মিয়া নিল ও জেমিকা উইলসন)
সেরা মৌলিক সুর: সৌল (ট্রেন্ট রেজনা, অ্যাটিকাস রস, জন বাটিস্ট)
সেরা মৌলিক গান: ফাইট ফর ইউ (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)
সেরা শিল্প নির্দেশনা: ম্যাঙ্ক (ডোনাল্ড গ্রাহার বার্ট ও জ্যান পাসকেল)
সেরা শব্দ: সাউন্ড অব মেটাল (জেইম বখত, নিকোলাস বেকার, ফিলিপ ব্লাড, কার্লোস করতেস ও মিশেল কুটোলেঙ্ক)
সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস: টেনেট (স্কট আর. ফিশার, অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, ডেভিড লি ও অ্যান্ড্রু লকলি)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড ছবি: ইফ অ্যানিথিং হ্যাপেনস আই লাভ ইউ (মাইকেল গোভিয়ার ও উইল ম্যাককরম্যাক)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: টু ডিস্ট্যান্ট স্ট্রেঞ্জার্স (ট্রেভন ফ্রি ও মার্টিন ডেসমন্ড রো)
প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলেও করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের আক্রমণ হতে পারে শরীরে। বিশ্বের ১০ শীর্ষ কোভিড-বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সমগ্র বিশ্বের ১২৪টি অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেল্টা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত ২০ কোটি মানুষ ডেল্টার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ডব্লিউএইচও।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভারতে প্রথম চিহ্নিত হওয়া এই ভেরিয়েন্টটির আক্রমণে মানুষ শুধু গুরুতর অসুস্থই হয়ে পড়ছেন না, এটি খুব দ্রুত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে টিকা নেননি এমন ব্যক্তিদের দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন অত্যন্ত বেশি, তেমনি টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন এমন প্রমাণ অমিল নয়। বরং তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
বিশেষজ্ঞেরা শুরুতেই বলেছেন, করোনার বাকি ভেরিয়েন্টগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ডেল্টাই সব চেয়ে সংক্রামক ও প্রাণঘাতী। ব্রিটেনের মাইক্রোবায়োলজিস্ট শ্যারন পিককের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সামনে সব চেয়ে বড় ঝুঁকি হল ডেল্টা।”
ব্রিটেনের সংস্থা ‘পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড’ সম্প্রতি জানিয়েছে, ব্রিটেনে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ৩ হাজার ৬৯২ জন করোনা-রোগীর মধ্যে ৫৮.৩ শতাংশের টিকাকরণ হয়নি তবে ২২.৮ শতাংশের টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
সিঙ্গাপুরেও ডেল্টা ভেরিয়েন্টের দাপট সব চেয়ে বেশি। দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, আক্রান্তদের তিন চতুর্থাংশই কিন্তু টিকা নিয়েছেন। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সেদেশে করোনা-আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এমন ৬০ শতাংশরই টিকা নেওয়া আছে।
আমেরিকায় করোনা আক্রান্তদের ৮৩ শতাংশই ডেল্টা ভেরিয়েন্টের শিকার। সেদেশের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, টিকাকরণের হার কম এমন এলাকাগুলোতে ডেল্টার বাড়বাড়ন্ত বেশি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিকিৎসা উপদেষ্টা ফাউচির বক্তব্য, ‘‘আমেরিকায় ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষদের মধ্যে করোনা মহামারী আকার নিচ্ছে।”
ফ্লরিডা, টেক্সাস, মিসৌরির মতো প্রদেশগুলোতে টিকাকরণের হার কম বলে সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। সার্জেন জেনারেল বিবেক মূর্তি সম্প্রতি জানিয়েছেন, সেদেশে করোনায় মৃতদের ৯৯.৫ শতাংশের টিকা নেওয়া ছিল না।
ইসরায়েলেও গত কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ডেল্টা স্ট্রেন। সরকারি তথ্যানুযায়ী, কোভিডে সর্বাপেক্ষা কার্যকর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা বর্তমানে সেদেশে সংক্রমণ রুখতে মাত্র ৪১ শতাংশ কার্যকর হচ্ছে।
চীনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রথম চিহ্নিত হওয়া উহান স্ট্রেনের তুলনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে ১০০০ গুণ বেশি ভাইরাস থাকে।
মাইক্রোবায়োলজিস্ট শ্যারন পিকক বলেছেন, “ডেল্টা আক্রান্তের ‘ভাইরাল লোড’ বেশি হওয়ায় সম্ভবত অন্যকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা বেশি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।”