a বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে- জাতীয় কবিতা পরিষদ
ঢাকা সোমবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে- জাতীয় কবিতা পরিষদ


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৯
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে- জাতীয় কবিতা পরিষদ

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আজ আমরা যখন আপনাদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করছি তখন সেই মুহূর্তে গাজায় বর্বর ইসরায়েলী হানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে হয়তো ঝরে পড়ছে কোন নারী শিশু অসহায় মানুষের প্রাণ। 

ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষের আত্মদানের প্রতি গভীর শোক বেদনা সম্মান প্রদর্শন করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক এবং গণমানুষের সার্বিক মুক্তির সাহসী কান্ডারী ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ' আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ এবং হৃদয়োষ্ণ ভালোবাসা।

আজ আমরা এখানে এক গভীর উদ্বেগ ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত এটি হয়েছি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। এটি শুধুমাত্র একটি ক্যালেন্ডার বছরের সূচনা নয়, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। বাংলা নববর্ষ-যেখানে গ্রামের মেলা থেকে নগরের শোভাযাত্রা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে, ব্যবসায়ীরা হালখাতা খোলে, কবিরা নতুন কবিতার প্রাণ- স্পন্দন খুঁজে পায়, শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, নর-নারী রঙবেরঙের নতুন পোশাক, ফুলসজ্জায় নদীর ঢেউয়ের মতন রাস্তায় নেমে আসে, সারাদেশে-শহরে নগরে হাটে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের জোয়ার বয়ে যায়। আর মানুষ জাত-ধর্ম-বর্ণ ভুলে একসঙ্গে একআনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এই সার্বজনীন আনন্দঘন উৎসব আজ একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নিশানায়। কিছু গোষ্ঠী-যারা ইতিহাস অস্বীকার করে, যারা সাম্প্রদায়িক মতাদর্শকে সাংস্কৃতিক চেতনার উপর চাপিয়ে দিতে চায়-তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা নববর্ষকে ‘অইসলামিক' বা ‘বিদেশি সংস্কৃতি'র অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও সঠিক নয় বরং ইতিহাস বিকৃতি ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা।

মূলতঃ বাংলা নববর্ষের মূল ইতিহাস হচ্ছে মোগল সম্রাট আকবরের আমলে কৃষি ও খাজনা ব্যবস্থার সহজীকরণের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত বাংলা সন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ‘ফসলি সন' পরে ‘বঙ্গাব্দ' বা ‘বাংলা বর্ষ' নামে পরিচিত হয়। এটা কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং প্রশাসনিক প্রয়োজন থেকেই উৎসারিত একটি ক্যালেন্ডার ব্যবস্থা। অথচ আজ একশ্রেণির লোক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া 'শোভাযাত্রা' আজ একটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু কিছু গোষ্ঠী এটিকে ‘মূর্তিপূজা' আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করছে। এটি প্রকৃত অর্থে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ও শুভবোধের বহিঃপ্রকাশ, যা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আমাদের পরিচয় তুলে ধরছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও গোপন গ্রুপে নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। এটা শুধু মত প্রকাশ নয়, সাংস্কৃতিক জঙ্গিবাদের সূক্ষ্ম রূপ। অতীতে ২০০১, ২০০৭, ২০১৫ সালের মতো বিভিন্ন সময় এই উৎসবে হামলা ও হুমকির ইতিহাস আছে। এখনো আশঙ্কা থেকেই যায়, বিশেষ করে জনসমাগমকে টার্গেট করে।

জাতীয় কবিতা পরিষদ মনে করে, বাংলা নববর্ষকে লক্ষ্য করে চালানো এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ এটি কেবল একটি উৎসব রক্ষার লড়াই নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভাষা আন্দোলনের গর্ব ও জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। আমরা মনে করি, ‘বাংলা নববর্ষ' হলো একটি সাংস্কৃতিক ঐক্যের বাহক। এটি হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত উৎসব। বাংলা নববর্ষ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি বিভাজন নয়, একতা তৈরি করে।

বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে। যা এই ঐক্যকে আরও বৃহৎ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করবে। এই উৎসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এই দেশবিরোধী, স্বাধীনতা, সার্বভৌম বিরোধী গভীর চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র এখনই প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধ্বংস ও ধুয়ে মুছে যাবে।
আমাদের তাই দাবি ও আহ্বান:
১. সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান-বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ষড়যন্ত্র বা সহিংসতার আশঙ্কা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও গণমাধ্যমে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরা হোক।
৩. ধর্মীয় অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৪. সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী ‘সংস্কৃতি রক্ষা অভিযান' গড়ে তোলা হোক-পথনাটক, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা ও গণসংগীতের মাধ্যমে।
৫. সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান-এই অপপ্রচারের জবাব দিন সাহস ও সচেতনতায়। ঘরে ঘরে গর্জে উঠুক বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জয়গান।

বাংলা নববর্ষ আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মপরিচয়। এই উৎসব বাঁচলে বাঁচবে আমাদের সংস্কৃতি, বাঁচবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতীয় কবিতা পরিষদ এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছে-অন্ধকারের অপশক্তি যে যেভাবেই যে ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন চলবে, আরও জাঁকজমকভাবে, আরও ব্যাপকভাবে। কারণ এটাই আমাদের প্রতিরোধ, এটাই আমাদের উত্তরাধিকার। চলুন, আমরা শব্দ বর্ণে ছন্দ অলংকারে-কবিতায়, কণ্ঠে, কলমে, শিল্পে চেতনার মশাল জ্বেলে রুখে দাঁড়াই, বলি-বাংলা নববর্ষের ওপর কোনো আঘাত আমরা মেনে নেব না। আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষায় এদেশের প্রগতিশীল কবিরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে আজও তা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাতীয় কবিতা পরিষদের কবি ও কর্মীরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখবে। এটাই আমাদের আজকের দৃপ্ত ঘোষণা।

আপনারা জাতির বিবেক, আপনারা জাতির পথপ্রদর্শক, আপনারা মানুষের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার বাহক, তাই আজ আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাদের একান্ত অনুরোধ জানাই-আপনারা দেশেবিদেশে সর্বত্র আমাদের এই বক্তব্য, আমাদের এই চাওয়া, আমাদের এই দাবি তুলে ধরে, পৌঁছে দিয়ে আপনার-আমার-আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জাতিসত্তার পরিচয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সুরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে আন্তরিক ও অকৃপণ হবেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সভাপতি মোহন রায়হান উপস্থিত সকলকে শুভ বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসছে ‍‍‍‍`নৈবেদ্য‍‍`



বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৪০
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসছে ‍‍‍‍`নৈবেদ্য‍‍`

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসছে ‍‍‍‍`নৈবেদ্য‍‍`

ওয়েব ফিকশন 'নৈবেদ্য' নির্মিত হয়েছে মা, সন্তান, মানবতা ও মুক্তিযুদ্ধ এ সকল বিষয়কে ঘিরে এই গল্প তৈরি করা হয়েছে। 

২১ বছরের এক তরুণী 'মা' তাঁর নিজের সন্তানের সত্তা রক্ষার লড়াই করতে থাকে।

স্বাধীনতা ও পরবর্তী সময়ে দেশ শত্রুমুক্ত হলেও সামাজিক অন্যায়-অত্যাচার থেকেও মুক্তি পাইনি সেই যোদ্ধা 'মা'।

সমাজের অত্যাচার থেকে নিজেকে ও সন্তানকে রক্ষা করার জন্য এক 'মা' ছুটে বেড়ায় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের খোঁজে। সত্তা ও শান্তি রক্ষার এ লড়াইয়ে সে দেশান্তরিত হয়। পরে সে সত্য গোপন করে হিন্দু গৃহবধূ সাঁজে মিথ্যার আশ্রয় নিতেও বাধ্য হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ-ধৈর্য যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে একজন মা ও তাঁর সন্তানের জীবন যুদ্ধের লড়াই এবং মানবতা জয়ের কাহিনী ঘিরে এ গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘নৈবেদ্য’। 

নৈবেদ্য' যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক শাব্দিক শাহীন ও সিহানুর রহমান আসিফ। শ্যামল চন্দ্রর (ভারত) গল্পে বাংলাদেশ থেকে এর চিত্রনাট্য করেছেন মান্নান হীরা।

'নৈবেদ্য'তে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রওনক হাসান, সাইকা আহমেদ, দীপক কর্মকার, শাহজাহান সম্রাট, বিটলু শামিম, তাজ সুরুভি এবং আরও অনেকে।একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় [অতিথি] করেছেন মোহাম্মদ হাসান ইমাম খান (সোহেল হাজারী), এমপি।

বিশ্বজিৎ দাসের প্রযোজনায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসছে ২৬ মার্চ জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম বঙ্গ বিডিতে মুক্তি পাবে এই ওয়েব সিরিজ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে- প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:৩৫
বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে- প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বিএনপি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?’ শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়- তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?’

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।

বিএনপির নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।’

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না। এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়- তা আপনাদের সবাইকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।’

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে। মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: বাসস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - বিনোদন