গত বছর প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল কাজী হায়াতের ৫০তম চলচ্চিত্র ‘বীর’। শাকিব খান ও শবনম বুবলী অভিনীত ছবিটি নিয়ে বেশ আলোড়ন হয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সিনেমাটি এবার দেখা যাবে বিনামূল্যে।
অর্থাৎ টেলিভিশনে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে এটির। যা করছে দীপ্ত টিভি। এসকে ফিল্মসের ব্যানারে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন শাকিব খান ও মোহাম্মদ ইকবাল। ইকবাল বলেন, ‘‘বীর’ নানা কারণে আলোচিত চলচ্চিত্র। ছবিটি দর্শকের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে।’’
চলচ্চিত্রটি নিয়ে শাকিব খান জানিয়েছিলেন, ছবির গল্পটাই এমন যে তাকে নতুনভাবে প্রস্তুত হতে বাধ্য করেছে। কারণ, ‘বীর’ হলো দেশ ও প্রেমের ছবি।
সিনেমাটিতে আরও আছেন মিশা সওদাগর, নাদিম প্রমুখ।
এদিকে দীপ্ত টিভি জানায়, শাকিব ও বুবলী অভিনীত দর্শকপ্রিয় এই সিনেমা চলবে দীপ্ত টিভির ৭ দিনের ঈদ অনুষ্ঠানমালার প্রথমদিনে। এবারই প্রথম টেলিভিশনে প্রচার হতে যাচ্ছে ‘বীর’ ছবিটি।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি তার স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরইমধ্যে তারা আলাদা থাকছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
মাহিয়া মাহি ভিডিও বার্তায় বলেন, 'আমরা দুজন মিলেই এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বনিবনা হচ্ছেনা। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছি। কবে, কীভাবে সম্পন্ন হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব। সে আরও বলে, 'আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।'
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন মাহি। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তানের নাম ফারিশ। বিয়ের প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এই দম্পতি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার ৫ বছর টিকেছিল। এরপর পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
গ্যাস-সংকটে ৪০ দিন ধরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেডে সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারখানাটিতে গ্যাস সরবরাহ করা না হলে আগামী রবি মৌসুমে সারসংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
যমুনা সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই কারখানায় তিতাস গ্যাসের সংকট চলে আসছিল। হঠাৎ গত ২১ জুন দুপুরে কারখানায় তিতাস গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় ইউরিয়া প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত ইউরিয়া প্ল্যান্টটি বন্ধই আছে।
গত অর্থবছরে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) যমুনা সার কারখানাকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়। গ্যাস-সংকটের জন্য উৎপাদন বন্ধ থাকায় ৩০ জুন পর্যন্ত কারখানায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৯ টন সার উৎপাদিত হয়েছে। ফলে কারখানায় গত অর্থবছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
এদিকে চলতি জুলাইয়ের শুরু থেকে তিতাস গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে কারখানায় প্রতি মাসে সার উৎপাদনে লোকসান গুনতে হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিসিআইসি ৪ লাখ ৫০ হাজার টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। বর্তমানে কারখানায় সার মজুত রয়েছে ৭০ হাজার ৬৪ টন।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আবদুল হাকিম প্রথম গণমাধ্যমকে বলেন, কারখানায় তিতাস গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ৪০ দিন ধরে সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শিগগিরই কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ দিয়ে উৎপাদন চালু করা না হলে আগামী রবি মৌসুমে সারসংকটের আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো