অনেক উৎবেগ, উৎকণ্ঠা, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) অনুষ্ঠেয় এবারের নির্বাচনে ২০২২-২৪ মেয়াদের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান।
সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন ভোট পেয়েছেন ১৯১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। একই পদের দাঁড়িয়ে নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল ও রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক, যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী শাহানূর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মামনুন ইমন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জয় চৌধুরী।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে নির্বাচনে ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মৌসুমী, অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, সুচরিতা, কেয়া, ফেরদৌস, অমিত হাসান, জেসমিন, চুন্নু।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল সোয়া ৫ টায়।
করোনা পরিস্থিতি মোকেবেলায় বইমেলা ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ সুপারিশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। পরামর্শক কমিটি এই নির্দেশনা জারিকে স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানায়। তবে এগুলো কার্যকর করার জন্য বাস্তবায়ন কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।
রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা এ সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয় তার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিক নির্দেশনা নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
আজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উত্সর্গ করেছিলেন এবং এই আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আন্দোলনে শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি মিললেও আজও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে দেশে দেশে সমাজে সমাজে আন্দোলন করতে হয়। দেশে দেশে শ্রমিকেরা আজও বঞ্চিত, নি:গৃহীত। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলওর ছয়টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি একটি বিরল ঘটনা এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য স্বীকৃতি।
দিবসটি সরকারি ছুটি। মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের জন্য সংগ্রামী চেতনায় উদ্ভাসিত একটি দিন এই মহান মে দিবস। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ও মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উত্পাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সূত্র: ইত্তেফাক