সম্প্রতি বিবাহিত নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় শ্রীলঙ্কায়। ৪ এপ্রিল (রবিবার) কলম্বো প্রেক্ষাগৃহে বসে এই আয়োজন। সেখানে পুষ্পিকা দে সিলভাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের মঞ্চ থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনা। এক পর্যায়ে শোনা যায়, পুষ্পিকার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আর এ কারণে গত বারের বিজয়ী ক্যারোলিন হঠাৎ মঞ্চে উঠে বিজয়ীর মাথা থেকে সোনার মুকুট ছিনিয়ে এনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর মাথায় পরিয়ে দেন।
উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্যারোলিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী কোনও ডিভোর্স হওয়া নারী এখানে অংশ নিতে পারবেন না। তাই বিজয়ীর মুকুট পুষ্পিকার মাথায় মানায় না।’
ক্যারোলিন এ কথা বলার পর পরই পুষ্পিকার মাথা থেকে সোনার মুকুট টেনে নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর মাথায় পরিয়ে দেন। দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায় যে, মুকুট ছিনিয়ে নেওয়ার নেবার কারণে পুষ্পিকার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাই তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়।
এমন ঘটনার পর পুষ্পিতা সোস্যাল মিডিয়ায় তার অবস্থার একটি ছবি প্রকাশ করেন। সেখানে পুষ্পিতা লেখেন, ‘আমার মাথা থেকে মুকুট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তখনই মুকুট হারিয়ে ফেলার কষ্ট অনুভব করেছি।’
পুষ্পিকা আরও জানান, তার সাথে অবিচার করা হয়েছে। কারণ এখনও স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। তারা বর্তমানে আলাদা রয়েছেন।
প্রতিযোগী ও আয়োজকদের একটি বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে এবছরের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর। জানা গেছে আয়োজনের ১৭ প্রতিযোগীই করোনায় আক্রান্ত।
ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পুয়ের্তো রিকোয় মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালের আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ৯০ দিনের জন্য।
সিএনএনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আয়োজকদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুয়ের্তো রিকোয় ফাইনাল হবে, কিন্তু ৯০ দিন পর। কারণ আয়োজক ও প্রতিযোগীদের একটা বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত। তাই ফাইনাল রাউন্ড স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে যখন একাধিক করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়, তখন কথা বলা হয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। সেই আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়ার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রতিদিন যদি ৫০০-১০০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে তাহলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যাবে না। এ জন্য যা করার এখনই করতে হবে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) কর্তৃক আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যা করতে হবে তা হচ্ছে, যে যে স্থান থেকে করোনা সৃষ্টি হচ্ছে সে সব স্থানে এখনই জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।’
করোনা মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগে দ্রুততার সঙ্গে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় আড়াই হাজার বেড বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে আরও ৪০টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালসহ দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে শত শত শয্যা কোভিড ডেডিকেটেড করা হচ্ছে।’ সূত্র:যুগান্তর