ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

মাহিয়া মাহি জানালেন তার বিচ্ছেদের কারণ


বিনোদন ডেস্ক:
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১, ১১:৫৩
মাহিয়া মাহি জানালেন তার বিচ্ছেদের কারণ

ফাইল ছবি

 

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন।গতকাল শনিবার স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। 

সংসার ভাঙার কারণ ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ না করলেও গণমাধ্যমে এ নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। বেশ কিছুদিন ধরেই দুজন আলাদা থাকছেন। মাহিয়া জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ের বোঝাপড়া না হওয়ায় সম্প্রতি তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

মাহি বলেন, মানুষের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। অনেক কিছু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে।এইটুকু বলব, আমি অপুকে সম্মান করি। আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত বোঝাপড়া নিয়ে কিছু বিষয়ে সমস্যা ছিল। যেটা হয় তো আমাদের সম্পর্ক টিকতে দিল না। এছাড়া আরও কিছু বিষয় ছিল। 

‘তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, তার ও আমার কোনো অসম্মান হোক তেমন কিছু চাইনা।’

২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিয়ে হয় মাহিয়া মাহির।আগামী পরশু তাদের পঞ্চম বিবাহবার্ষিকী।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়লেন মিথিলা


বিনোদন ডেস্ক
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৪২
‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়লেন মিথিলা

ফাইল ফটো

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আর তাই ‘মিস ইউনিভার্স’ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মডেল তানজিয়া জামান মিথিলার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। সেইসাথে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’-এর ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে এ প্রতিযোগীর নাম!

‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী তানজিয়া জামান মিথিলার। সে অনুযায়ী মূল প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইটে উঠেছিল তার নাম। ভোট দেওয়ারও সুযোগ ছিল। কিন্তু ১৯ এপ্রিল মিস ইউনিভার্সের ওয়েবসাইট ঘুরে কোথাও মিথিলার নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূল আয়োজনের ওয়েবসাইট থেকে মিথিলার প্রোফাইল সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, ‘লকডাউন এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা প্রস্তুতি শেষ করতে পারিনি। তাই আমরা এবারের আসরে অংশ নিতে পারছি না। বিষয়টি মূল আয়োজকদের এই সপ্তাহে জানানো হয়েছে।’

এদিকে বাংলাদেশ থেকে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল মিথিলার। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিতর্ক আবারও শুরু হয় তাকে ঘিরে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বয়স লুকানো ও পুরুষ হয়রানির বিষয়টি।

বিজয়ী হওয়ার পর ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ওয়েবসাইটে উঠেছিল মিথিলার নাম। যেখানে তাকে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু হঠাৎ তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো মিথিলার নাম।

কেন সরিয়ে দেওয়া হলো মিথিলাকে? কারণ খুঁজতে গেলে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে তিনটি স্ক্রিনশট। একটি বিউটি পেজেন্টদের নিয়ে কাজ করা ‘সাশ ফ্যাক্টর’ নামের অনলাইন ম্যাগাজিনের, আরেকটি ‘মিস ইউনিভার্স আপডেট’ নামের একটি গ্রুপের এবং অন্যটি ‘পেজেন্ট ফেনাটিক’ নামের একটি পেজের।

‘সাশ ফ্যাক্টর’ তাদের পোস্টে মিথিলার বয়স লুকোচুরি এবং যৌন হয়রানির বিষয়টিও তুলে ধরে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘিরে অনেক বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি বিউটি পেজেন্টরা মিথিলাকে নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং তাকে মূল প্রতিযোগিতার জন্য সাপোর্ট করছেন না।’

এছাড়া প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীর বয়স ২৮ বছরের কম হতে হবে। অভিযোগ রয়েছে মিথিলার বয়সের সীমা আগেই পেরিয়েছেন।

মিথিলা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বয়স নিয়ে কোনও লুকোচুরি করিনি। আমার জন্ম ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে। সেটি আমার জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট সবকিছুতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ১৯৯২ হলেও কিন্তু আমি কোয়ালিফাইড। আর মিস ইউনিভার্সের কাছে আমার সব তথ্য রয়েছে।’

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / saiful islam

লিচু গাছে আম ধরার সাজানো নাটক!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:১৭
লিচু গাছে আম ধরার সাজানো নাটক!

ফাইল ছবি

গত কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিন্নধর্মী ঘটনা সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেটি হলো লিচু গাছে আম ধরার মতো ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া কলোনিপাড়া গ্রামের আবদুর রহমানের বাড়ির একটি লিচু গাছে। গত মঙ্গলবার হঠাৎ সেই আমটি ছিঁড়েও ফেলা হয়।

করোনাভাইরাস লকডাউন, আইডি কার্ড-মুভমেন্ট পাস ইত্যাদি বিষয় মাঝে মানুষের মুখে চাউর ছিল লিচু গাছে আমের কাহিনিটি। কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া এ বিরল ঘটনার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিতে পারেননি উদ্যানতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা থাকলেও পরবর্তীতে জানা যায় এটা ছিল একটা নিছক তৈরি কাহিনী। 

ঘটনাটি ছিল কেউ একজন লিচু গাছে আঠাজাতীয় পদার্থ দিয়ে আমটি ডালে লাগিয়ে রাখে। ঘটনা চারিদিক ছড়িয়ে পড়লে আমটি ছিড়ে ফেলা হয়। আমটি যদি সত্যিকার ভাবেই লিচু গাছে ধরত তাহলে আম ছেঁড়ার একদিন বাদে (বুধবার) সেই আমের বোঁটা শুকিয়ে যেত না , তা স্বাভাবিকভাবে আম ছিঁড়ে নেওয়ার পরে বোঁটার মতো নয়  এবং কি আঠাজাতীয় পদার্থের উপস্থিতিও রয়েছে সেখানে।

আম ছিঁড়ার ঘটনা জানার পর (বুধবার) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ঠাকুরগাঁও কার্যালয় ওই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। এর আগে সোমবার থেকে দুই কর্মকর্তা আম ধরার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলে।

ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক আবু হোসেন এক বিবৃতিতে  বলেন,  হয়তো এটি কেউ আঠা দিয়ে ইচ্ছা করে লাগিয়ে দিয়েছিল। অথবা অন্য কোনো কৌশলে করা হয়েছিল। তিনি বলেন, লিচুর বোঁটাটি লম্বা হলেও আমেরটি বোটাটি স্বাভাবিকের তুলনায় খুব খাটো ছিল। এগুলো দেখেই প্রথম থেকেই বিষয়টি অন্যরকম  লাগতেছিল। আম ছিঁড়ে ফেলার কারণে সে বিষয় এখন পরিস্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে।

অপরদিকে এ ঘটনার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিতে অক্ষম হয়েছেন উদ্যানতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। ফলে প্রথমে এটি একটি অলৌকিক ঘটনা মনে করা হচ্ছিল। তবে প্রথম থেকেই কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলে আসছিলেন, যে কেউ আঠা দিয়ে লিচুর ডালে আমটি লাগিয়েও দিতে পারে। ফলে এটা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণের জন্য কয়েক দিন অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ আমটি কোনো কৌশলে লাগানো হলে তা ঝরে পড়ে যাবে বা শুকিয়ে যাবে। 

এছাড়া কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টিকে এভাবে বলেছেন যদি আমটি আসল হয় তাহলে আসতে আসতে বড় হবে তখন এ নিয়ে গবেষনা করা যাবে। কিন্তু  পরদিনই আকস্মিকভাবে আমটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।

এদিকে বুধবার বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এক গাছে অন্য ফল শুধু গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব। তবে লিচু ও আমের ক্ষেত্রে এটা করা যাবে না। লিচু ও আমের টিস্যু সিস্টেম এক নয়। এদিকে লিচু গাছটির মালিক আবদুর রহমানের দাবি ছিল, এটা কোনো পদ্ধতি নয়। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আম ধরেছে। 

গত শনিবার সকালে তার নাতি হৃদয় ইসলাম এসে তাকে জানায়, লিচুগাছে একটা আম ধরেছে। তৎক্ষনাত সেখান গিয়ে লিচুর একপাশে একটি আম দেখে অবাক হয়ে যাই। এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষ এটি দেখতে ভিড় করেন। 

এরপর সোমবার বিষয়টি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। আবদুর রহমানের অভিযোগ ছিল গত মঙ্গলবার এলাকার সাবেক মেম্বার সিকিম লিচুগাছ থেকে আমটি ছিঁড়ে ফেলেছেন। অভিযুক্ত মেম্বার প্রথমদিকে আমটি ছিঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করলেও পরে বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন ।

মেম্বার নিজে বলেন, মিডিয়াতে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দূর থেকে মানুষ এসে এলাকায় ভিড় করছে এবং এ ঘটনা দেখতে আসার প্রাক্কালে  সোমবার তার ভাতিজা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছিল না, করোনার ঝুঁকি বেড়ে যাবে এসব কথা গাছের মালিক আবদুর রহমানকে বলতে গিয়েছিলাম তখন হয়ত কেউ আমটি ছিঁড়ে ফেলেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook