উত্তম কুমার নায়ক তো নয়, ছিলেন তিনি মহানায়ক। সুদর্শন চেহারা আর অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে জয় করেছিলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। তাইতো যুগ যুগ পেরিয়েও এখনো তিনি সবার স্বপ্নের নায়ক হয়েই আছেন।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে তার সম্পর্কে একটি অজানা ঘটনা জানাতে চাই।
উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলোনা। বলা হতো ফ্লপ মাস্টার। টানা ৭টি ফ্লপ সিনেমার পর তার উত্থান হয়। এরপর রচিত হয় এক ইতিহাস। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তার একের পর এক সিনেমা সফল হয়। সত্তরের দশকেই তিনি মহানায়ক খ্যাতি পেয়ে যান।
সত্তর দশকের শুরুতে কলকাতায় শুরু হয় নকশাল আন্দোলন। একদিন নিউ থিয়েটারস স্টুডিওর মেকআপ রুমে বসে ছিলেন উত্তম কুমার। তখনই কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্রসহ হানা দেয় সেখানে। তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরালো হুমকি। মুহূর্তেই ভয়ে কুপোকাত উত্তম। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই তারা চলে যায়।
কিন্তু ওই ঘটনায় উত্তম কুমার এতোটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, কলকাতা ছেড়েই পালিয়ে যান। দ্রুত নিজের চুল ছোট করে উঠে পড়েন মুম্বাইয়ের ট্রেনে। যাতে কেউ চিনতে না পারে। চলে যান মুম্বাই। সেখানে গিয়ে ওঠেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে। মাস খানেক ওই বাড়িতে থাকার পর উত্তম যান অভিনেতা বিশ্বজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
উত্তম প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন, আর কলকাতায় ফিরবেন না। একদিন তো বিশ্বজিতকে বলেই ফেলেন, ‘চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা সিনেমা বানাব।’ অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বন্ধু-সহকর্মীদের আশ্বাসে ফিরে যান কলকাতায়।
১৯৮০ সালে উত্তম কুমার শুটিং করছিলেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার। শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক করেন। তাকে ভেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান উত্তম কুমার।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান।
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার পর ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মিশা সওদাগরকে ইলিয়াস কাঞ্চন ৪৩ ভোটের ব্যবধানে হারালেও জায়েদ খানকে পরাজিত করতে পারেননি চিত্রনায়িকা নিপুণ।
জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট যেখানে নিপুণের ভোটসংখ্যা ১৬৩। অর্থাৎ ১৩ ভোটে জয় পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এদিকে জায়েদ খানের নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভোট গণনা চলাকালীন এফডিসিতে শিল্পী সমিতি ভবনের দরজার সামনেই চেয়ারে বসে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন জায়েদ খান। এ সময় তার গায়ে জড়ানো ছিল সেই চাদর, যা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ।
চিত্রনায়িকা নিপুণের অভিযোগ ছিল, চাদরের তল দিয়ে ভোটারদের টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছিলেন জায়েদ খান। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে কয়েকবার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ বলেছিলেন, এটা কোনো ইউপি নির্বাচন নয় যে টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে। সূত্র: যুগান্তর
আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীও তাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে তুর্কি বিশেষজ্ঞরা কাবুল বিমানবন্দরের পরিচালনায় তালেবানকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে থেকে যেতে পারেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমার (৩১ আগস্ট) মধ্যে বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে তালেবান।
ন্যাটো জোটের অধীনে কাবুলে থাকা তুর্কি সামরিক বাহিনীকেও আগস্টের শেষ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসংখ্য যোগাযোগ এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও অবস্থার মূল্যায়ন করার পর, তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর উপাদানগুলো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সেনা প্রত্যাহারে ৩৬ ঘন্টা সময় লাগবে এবং প্রথম বিমানটি ইতিমধ্যে উড্ডয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দর পরিচালনায় তালেবান তুরস্কের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছিল। সেই আলোচনা সম্ভবত ইতিবাচক ফলাফলে পৌঁছাবে। সৈন্য প্রত্যাহারের পর, আমরা সেখানে বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারি।
অবশ্য মাসখানেক ধরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার বলে আসছে যে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য কিছু সৈন্য রেখে যাবে। এখন তালেবান কর্তৃক কাবুল দখল করার পর তাদেরকে বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সহায়তা দিতে অনুরোধ করেছে তালেবান।