এলেবেলে লেখা
------------------------
পঞ্চাশ বছর বয়সে আজো হিংসা গেলোনা,
ছেলে পেলে বড় করেও
নিজেরা আজও বড় হলাম না।
একের ভালো দেখতে নারি
সময় কাটাই পরচর্চা করি,
অন্যের ছিদ্র খুঁজতে ভুলি
নিজের কাপড় গেছে খুলি।
অপরে যা করলে মন্দ,
নিজের বেলায় নেইকো গন্ধ ,
এ'সবেতে লাভ কিছু নাই,
নিজের বা'কাধ হয় যে বোঝাই।
আমার নামে যত খুশি মন্দ বলো,
আখেরাতে তোমার পূণ্য আমার হলো।
আমি কি তা আমি জানি,
কে কী বলে কী এসে যায়
আমার রাজ্যে আমিই রানী।
প্লিজ লক্ষ্য করে বয়সটাকে
সামলে রাখো ঈর্ষাটাকে,
অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়ে
নিজেই মরবে তাতে পড়ে।
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
---- আশরাফুল মান্নান
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
ফুলকোচাতে ঘর
চাকরি আছিল পত্রিকাতে
এহন অবসর ।
বাপ-মাও আছিল, মইরা গেছে
ফাফুর করে মন
বাড়িত গেলে বাল্লাগে না
কমছে মানুষ জন।
চুয়ান্নতে নানার বাড়িত
জম্ম আমার অয়
দিনে দিনে লুপ পাইতাছে
আঙ্গ পরিচয়।
ফুলকোচাতে করছি কত
আনন্দে হই চই
আমার হঙ্গে পড়ছে যারা
এহন তারা কই ?
অয় না দেহা কারোর হঙ্গে
চিন্ত্যা করি তাই;
আছে কেডা, মরছে কেডা
খবরডা না পাই।
আগের কতা বইয়্যা বইয়্যা
চিন্ত্যা করি খুব
ঘাইম্যা গেলে ডাঙ্গার বিলে
দেইন্যা এহন ডুব ।
রাজশাহী মহানগরীর নামোভদ্রার জামালপুর আবাসিক এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধের কারখানার সন্ধান পেয়েছে। এ সময় চারটি নামি দামী কোম্পানির বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ওষুধ তৈরির কাঁচামালসহ জব্দ করা হয়েছে ওষুধ তৈরির একটি মেশিন। অভিযান চলাকালে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় নকল ওষুধ তৈরির ওই কারখানায় (বাসায়)। নগরীর নামোভদ্রা জামালপুর এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে আনিসুর রহমান (৪২) আটক।
অভিযানকালে মহানগর ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ওই বাসায় তৈরি করা হয় নকল ওষুধ। এছাড়া আমরা অভিযোগ পেয়েছি, সেখান থেকে নকল ওষুধ সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন দোকানে এবং ভুক্তভোগীরা বলেন বিভিন্ন দোকানে থেকে ওষুধ কেনার পর সেটি যে নকল তা বুঝতে পারেন। আমরা এমন অভিযোগের ভিত্তিতেঅনুসন্ধান শুরু করি।
আমরা অনুসন্ধানে জানতে পারি, রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় এমন কারখানা আছে, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করা হয় যেখানে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই বাসায় অভিযান চালাই আমরা। অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির যে সকল ওষুধ মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন দোকান থেকে সেসব বিপুল পরিমাণে নকল ওষুধ উদ্ধার করি। যার কারণে আমরা এই কোম্পানির মূল মালিককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
আটক আনিসুর জানান, তিনি ঢাকা থেকে নকল ওষুধ উৎপাদন মেশিনটি নিয়ে এসে দীর্ঘ ১ বছর ধরে নকল ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করছেন। রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি বিক্রি করে আসছেন নকল ওষুধ। অনেকটা নির্জন এলাকার অবস্থিত নিজের বাড়িতে মেশিন বসিয়ে চারটি নামি দামী কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরি করা হতো। অভিযানের এক সময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ ও ওষুধ তৈরির কারিগরকেও আটক করা হয়েছে। ওষুধের পরিমাণ কত তা এখনই সঠিক বলা যাচ্ছে না। তিনি জানান এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।