শহরের নিস্প্রাণ ঈদ
আলমগীর খোরশেদ
--------------------------
রাজধানী ঢাকায় যান্ত্রিক জীবন
ঈদ, জন্মদিন, ছোঁয়না কিছুই
টেলিভিশনে ঘোষণা ঈদের,
স্থলপথে, ফেরীতে, মানুষের ঢল
করোনা হেরে গেছে, মানবতার কাছে,
চাঁদটা কে আগে দেখেছে, তুই না আমি
ছোটবেলার তর্ক হারিয়েছে, সেই কবেই,
বুধ থেকে বুধ আষ্ট দিন বাকি
আঙ্গুলে গুণার সেই দিন,
ছোটখাটো একটা কিছু উপহার
অভিভাবকগণ এখনকার মতো
চাইলেই পাওয়া যেতোনা কিছু,
আব্বার পছন্দ সোয়াই পিঠা
চাউলের সেমাই, পোলাও কোরমা,
উঠোনে জলচৌকি ফেলে
চাউলের খাই দিয়ে বানাতাম লম্বা লড়ি,
মহিলারা হাতের তালুতে পিষে
ঠেলা দিয়ে বানাতেন সোয়াই পিঠা,
বাড়ির বড় পুকুর ঘাটে পাড়ার লোকজন
দলবেঁধে গোছলের ভীড়,
তিব্বত সাবানের ঘ্রাণ
গলায় পাউডার যেনো অত্যাবশ্যক,
বাজার থেকে কেনা কাগজের টুপি
চোখে সুরমা, আতর লাগিয়ে নাকে, মুখে
কানের চিপায় তুলো শেষটায়,
ধান ক্ষেতের আইল ধরে, দুইমাইল দূরে
ঈদের মাঠে সামিয়ানা ঠানানো,
মাইকে বয়ান মুরুব্বিগণের
মুড়কি, তিল্লোয়া যা চিনির তৈরী
কিনে নিতাম আগে,
নামাজ শুরু, লোকজনের দৌড়, দূরে
কাঁধে ছোট্ট বাবু, আরেকজন হাতে ধরা
তেল দেওয়া মাথা চিকচিক,
নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে
ব্যাটারী দিয়ে টেলিভিশনে ঈদের অনুষ্ঠান
উঠোন ভরা পাড়ার মানুষ,
খড় বিছিয়ে দেওয়া, জগ দিয়ে পানিও
কতো মধুময় ছিলো গ্রামের ঈদ,
হারিয়ে গেছে সব কালের আবর্তে
স্মৃতির ডায়াফ্রাম কেঁপে উঠে,
রাজধানীতে লোক দেখানো ভালোথাকা
মায়ের হাতের চাউলের সেমাই
কাগজের টুপি, সুরমায় পানি আসা চোখ,
আতর মাখানো জ্বালা করা নাক
সবই ঢের ভালো ছিলো,
এই আতশবাজি ফোটানো, শহরের
মায়াহীন, নিস্প্রাণ, ঈদ থেকে।.......
"লাল সবুজের বাংলাদেশে"
আকাশ তলে সাগর জলে
পানকৌড়িরা গল্প করে,
টিনের চালে গাছের ডালে
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ে।
নূপুর পায়ে ডিঙ্গি নায়ে
বউ চলছে বাপের বাড়ি,
বরের সাথে কালকে রাতে
সে দিয়েছে ভীষণ আড়ি।
সবুজ বনে রাঙ্গা কনে
কদম ফুলের মেয়ে,
কে গো তুমি গগন চুমি
আসছো এমন ধেয়ে।
মেঘের রাজা বাদ্যি বাজা
কদম ফুলের বিয়ে,
দোয়েল পাখি মেলরে আঁখি
নাচবে এবার টিয়ে।
রাখাল ছেলে কাউকে পেলে
গল্প করে মিষ্টি হেসে,
পথের ধারে হৃদয় কাড়ে
লাল সবুজের বাংলাদেশে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (৮৭) আর নেই। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু তার মায়ের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন।
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাজেদা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর তার নির্বাচনী এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে। সূত্র: ইত্তেফাক