উচ্চ রক্ত চাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু ভারতেই প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় আক্রান্ত হন। উচ্চ রক্ত চাপের অন্যতম প্রধান কারণ মানসিক চাপ। এ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার অভ্যাস, নিয়মহীন জীবনযাপনও উচ্চ রক্ত চাপের কারণ।
উচ্চ রক্ত চাপের নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোত্তম উপায় হল প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়ায় কিছু পরিবর্তন আনা। কম চর্বিযুক্ত খাবার, ফলমূল, শাকসব্জি বেশি বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোল।
রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিম্নের খাবারগুলো খেতে হবে:
বিটের রস:
ধমনী শিথিল রেখে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে বিটের রস। প্রতিদিন ২৫০ মিলি বিটের রস পান করলে উচ্চ রক্ত চাপের আশঙ্কা অনেকাংশ কমে যায়।
পিঁয়াজ:
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সমৃদ্ধ পিঁয়াজ রক্তনালী প্রসারিত করে। এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া পিঁয়াজের ত্বকে রয়েছে কোয়ারসেটিন, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কলা:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস করলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে স্থায়ীভাবে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
বেশির ভাগ বাবা-মা হীন হতদরিদ্র পরিবারের এতিম সন্তানদের জীবন কাটাতে হয় রাস্তায় কিংবা এতিমখানায়। দুবেলা খেতে পারাটাই যাদের কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এছাড়াও অভাবের সংসার হওয়ায় অনেক পরিবারের সন্তানদের পোলাও-মাংস খাওয়ানোর সামর্থ্য থাকে না। তারা সন্তানকে একটি সুন্দর জীবন দিবে সে স্বপ্নই ছিল দুচোখে। কিন্তু, মহামারী যেন সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করেছে।
তাদের স্বপ্ন পূরপণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । তেমনি এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মঙ্গলতরী"। বৃহত্তর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তারাও যুক্ত হয়েছে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায়। "প্রচেষ্টা" নামক এই প্রোগ্রামের জন্য তারা গিয়েছিলো গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরে অবস্থিত "জামিয়া মোহাম্মাদীয়া আরাবিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা"তে।
মাদ্রাসার সকল এতিম শিক্ষার্থী (১৫ জন) সহ হতদরিদ্র অসহায় আরো ২২ জনকে পাঞ্জাবি বিতরণ করা হয়। সেই সাথে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত অস্বচ্ছল একজন হুজুরকেও তারা সহায়তা প্রদান করে। গত ৫ই মে ২০২১ বাদ আসর এই পাঞ্জাবি বিতরণ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ মাসুদ সাহেদ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ইফতারির আয়োজন করে। ইফতারির মেন্যু তে ছিলো গরুর গোশতের বিরিয়ানি, খেজুর, শরবত ইত্যাদি।
মঙ্গলতরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অপু সরকার বলেন, মানবসেবায় নিয়োজিত করতে তার অনেক ভাল লাগে আর সে থেকেই তার বন্ধু ও সহযোগী হাসনাইন ইফতিকে নিয়েই সংগঠনটির যাত্রা।
উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হাসান বলেন "সময়টা এখন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। তাইতো আপনার একটু আত্মত্যাগে ফোটাতে পারে হাজারো মুখে হাসি। করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিজে এগিয়ে আসুন অন্যকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করুন "
উল্লেখ্য যে মঙ্গলতরীর ভলিন্টিয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩৫ জন। যারা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে।
সংগঠনটির অন্যতম সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবক রিসাত রহমান স্বচ্ছ বলেন, "অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ এই সময়ে কর্মহীন। পরিবার ও সন্তান নিয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছে তারা। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাদের কাছে অন্তত একবেলা পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে। এ জন্য প্রয়োজন আপনাদের একান্ত সহায়তা"।
মঙ্গলতরীর সাথে আপনি শামিল হতে পারেন তাদের মহৎ উদ্যোগে ফেইসবুক লিংক: www.facebook.com/mongoltori2020/ তাদেরকে সহায়তা পাঠানো বিকাশ/নগদ/রকেট নম্বর ০১৭১৮৪৮৬৩৭৩।
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে প্রায় ৩০০ জন নিহত ও ১৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ এবং এর উৎপত্তি আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে।
ইউএসজিএস-এর তথ্যানুযায়ী, এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মরক্কোতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। ১৯০০ সালের পর সেখানে ৬ মাত্রার কোনও ভূমিকম্প আঘাত হানেনি।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর। সেখানে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। পুরাতন এই শহরটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শহরটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।
রাষ্ট্র পরিচালিত আল-আউলা টেলিভিশন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রিপোর্টটি প্রচার হওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জন নিহত ও ১৫৩ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরা