বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের সফল কোচ অস্কার ব্রুজনকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে যোগ দেবেন জাভিয়ের ফ্লোরেজ। নিজেদর ভবিষ্যৎ ঠিক করতে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের বাসায় যান অস্কার ব্রুজন।
গেল কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন, বসুন্ধরা ছেড়ে তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন জাতীয় দলের। সেই আনুষ্ঠানিকতা সারতেই ফেডারশনের বড় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। অস্কারের চাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক হবে অন্তত এক বছরের। কিন্তু সেখানে জটিলতা তৈরি হয় বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে। আর তাই নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টেও নিশ্চিত নয় এই স্পেনিয়ার্ডের উপস্থিতি।
বিষয়টি নিয়ে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল বলেন, 'অস্কারের সঙ্গে আমাদের সব কিছু চুড়ান্ত হয়েছে। আসন্ন সাফে তিনি জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকছেন।' ব্রুজনের সঙ্গে চুক্তি বাড়বে কিনা এ বিষয়টি স্পষ্ট করেননি কাজী নাবিল। তিনি বলেন, 'আমরা আপাতত সাফ নিয়ে ভাবছি, পরেরটা পরে দেখবো।' এদিকে ব্রুজনের সঙ্গে চুক্তিতে দেশ ছাড়ছেন জেমি ডে। তার সঙ্গে চলে যাচ্ছেন গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লেভলিও।
তবে ফিটনেস ট্রেইনার ইভান রাজলগকে রেখে দিচ্ছে বাফুফে। দেশের ক্লাব ফুটবলে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় দল গোছাতে বেগ পেতে হচ্ছে না স্কারের। তার পরামর্শে বেশ বড় সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে ২৩ সদস্যের দলে। মঙ্গলবার দল ঘোষনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বুধবার দেয়া হবে সাফের দল। সেখানে চমক থাকবে বলে ইঙ্গিত আছে অস্কারের। 'আমি খুবই সন্তুষ্ট। যেভাবে চেয়েছিলাম তার সবই বাফুফে রেখেছে। এখন আমার দায়িত্বটা পালন করতে হবে। দলে করা থাকবে সব গুছিয়ে এনেছি।
আশা করছি, দেশের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।' ব্রুজনের সঙ্গে বাফুফের চুক্ত খন্ডকালীন। তবে বাতাসে জোর গুঞ্জন সাফে সফল হলে বাড়তে পারে এই মেয়াদ। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সাফের ১৩তম আসর।
ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে তারা পিএসজিকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো পেপ গুয়ারদিয়ালার শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠ ইতিহাদে আলজেরিয় ফরোয়ার্ড রিয়াদ মাহরজের জোড়া গোলে জয় পায় সিটিজেনরা।
ম্যাচে সিটির গোলপোস্ট বরাবর ১২টি শট নিয়েছে পিএসজি। লক্ষ্যেভেদ করতে পারেনি একটিও দলের সেরা সুপারস্টার ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র বেশ কয়েকবার সিটির রক্ষণভাগে আক্রমণ করলেও কাঙ্খিত দেখা পাননি।
ম্যাচের মাত্র সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি পায় পিএসজির। কিন্তু ভিএআরের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রেফারি দেখেন, বল আলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর ঘাড়ে লেগেছিল। ফলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। এর চার মিনিট পরই পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করে প্রথম গোল করেন মাহরেজ। সমতায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেপিএসজি। ৩৬তম মিনিটে নেইমারের বল পান আন্দার হেরেরা। কিন্তু তার নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হয়।
১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্বক হয় সিটি। ৫৪তম মিনিটে ফিল ফোডেনের জোরালো শট রুখে দিয়ে পিএসজির নাভাস। কিন্তু তার ৯ মিনিট পর স্কোরার মাহরেজকে আটকাতে পারেনি পিএসজির রক্ষণ। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ডি ব্রুইনের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফোডেন। এরপর বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেন তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। বাকি কাজটা সহজভাবেই সারেন আলজেরিয় ফরোয়ার্ড মাহরেজ। ২-০ তে এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
বাকি সময় দুটি তো দূরের কথা একটিও শোধ করতে পারেনি নেইমারের দল। শেষ পর্যন্ত দুইলেগ মিলেয়ে ৪-১ এ জয় পায় সিটিজেনরা। রেফারির শেষ বাঁশিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে উল্লাসে মাতে ম্যানসিটি ভক্তরা।
আগামী ২৯ মে ইস্তানবুলে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। সেখানে প্রথমবার ফাইনালে উঠা গার্দিওলার ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা চেলসি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আগামীকাল শপথ নিতে যাচ্ছে নতুন মন্ত্রিসভা। ইতোমধ্যে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে মন্ত্রিসভা থেকে ফোন পেয়েছেন অনেকে। আগামীকাল বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন।
আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন-
মন্ত্রী: ১। আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), ২। ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), ৩। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। (নরসিংদী-৪), 8। আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), ৫। ডা: দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), ৬। মোঃ তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), ৭। মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), ৮। আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), ৯। আনিসুল হক (বাক্ষণবাড়িয়া-৪), ১০। মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), ১১। মোঃ আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪) , ১২। সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), ১৩। র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ১৪। মোঃ আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), ১৫। নারায়ন চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), ১৬। আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ)-৯৮, ১৭। মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯০), ১৮। ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), ১৯। মোঃ ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), ২০। মোঃ জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), ২১। সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ২২। জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩), ২৩। নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬),
২৪। স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ২৫। সামন্ত লাল সেন
প্রতিমন্ত্রী: ১। সিমিন হোমেন (রিমি) (গাজীপুর-৪), ২। নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩), ৩। জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), 8। মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭), ৫। মোঃ মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), ৬। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), ৭। জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), ৮। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), ৯। রুমানা আলী (গাজীপুর-৩), ১০। শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২), ১১। আহসানুল ইসলাম (টিটু) (টাঙ্গাইল-৬)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা। সূত্র: মানবজমিন