ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

১০ জনের চেলসির কাছে লিভারপুলের ড্র


ক্রীড়া ডেস্ক :
রবিবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৫০
১০ জনের চেলসির কাছে লিভারপুলের ড্র

ফাইল ছবি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) হাইভোল্টেজ ম্যাচে দশজন নিয়েও লিভারপুলকে তাদের মাঠেই আটকে দিল চেলসি। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অলরেডদের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্লুরা।

চেলসির হয়ে কাই হাভার্টজ আর লিভারপুলের হয়ে সালাহ করেন একটি করে গোল। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চেলসি প্লেয়ার রিস জেমস। লাল কার্ডের বদৌলতে পেনাল্টি পায় লিভারপুল সেই শটে গোল করেন মিশরের তারকা মোহাম্মদ সালাহ।  

করোনার কারনে গত সিজনে মাঠে দর্শক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার অনুমতি পেয়েছে দর্শকরা। তৃতীয় রাউন্ডে এসেই লিভারপুল চেলসির হাইভোল্টেজ ম্যাচ উপভোগের সুযোগ পেয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। লিভারপুল বস ইয়্যুর্গেন ক্লপ ৪-৩-৩ ফরম্যাশন নিয়ে মাঠে নামে। অন্যদিকে, থমাস টুখেল তার দল সাজান ৩-৪-২-১ এ। যেখানে আছেন গেল ম্যাচেই অভিষেক হয়ে গোল করা বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু।

শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। সুযোগ তৈরি হয় দু’দলেরই। কিন্তু সেই সুযোগ শেষমেশ কাজে লাগায় চেলসি। ম্যাচের ২২তম মিনিটে রেইসের অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোল করেন কাই হাভার্টজ। গোল খেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে লিভারপুল। আক্রমণ থামায়নি চেলসিও। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ব্লুরা। তবে, সে যাত্রায় তা ব্যর্থ হয় ফরোয়ার্ডদের ভুলে।

এদিকে সমতায় ফিরতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাদিও মানের শট গোললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চেলসি ডিফেন্ডার রেইসের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। তা থেকেই গোল করে ম্যাচ সমতায় ফেরান মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ।

ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে দশজন নিয়ে খেলতে হবে এটা হয়তো ভাবেনি চেলসি। কিন্তু কোচ টুখেল ঠিকই নতুন গেম প্ল্যান নিয়ে বিরতির পর ফিরেছেন। একের পর এক খেলোয়াড় পরিবর্তন করে মজবুত করেছেন রক্ষণভাগ। কারণ আর যাই হোক গোল খাওয়া যাবে না। হয়েছেও তাই। পুরোটা সময় আর কোনো গোল হজম করতে হয়নি তাদের। ফলে ড্র করেই ঘরে ফিরেছে ব্লুরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি (ভিডিও)


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:৩৫
হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি (ভিডিও)

ফাইল ছবি

পরিবারসহ লিওনেল মেসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বার্সেলোনাতেই থাকবেন। পুরোটা জীবন থেকে স্প্যানিশ এ ক্লাবে কাটিয়েছেন। বাকিটা সময়ও থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। বার্সেলোনা তাকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে। 

আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন তিনিও। বিদায় বেলায় বার্সেলোনার সতীর্থ ও স্টাফরা দীর্ঘসময় ধরে করতালি মেসিকে অভিবাদন জানান। সেই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে বার্সেলোনার টুইটার অ্যাকাউন্টে। তাতে দেখা গেছে, ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি। 

এক বার্সেলোনা ভক্ত ভিডিওটি দেখার পর মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘বার্সেলোনা ভক্ত হিসেবে আমি এখনোই এমন মুহূর্ত দেখতে চাইনি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কষ্টদায়ক সমাপ্তি।’  

সংবাদ সম্মেলনে মেসিও বলেছেন, এই মুহূর্তেই কিছুই চিন্তা করতে পারছি না। এ পরিস্থিতি আমার জন্য বেশ কঠিন। জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ আমি এখানে কাটিয়েছি। আমি এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলাম আমরা এখানেই থাকতে যাচ্ছি। আমি বার্সেলোনায় থাকতে চেয়েছি।
  
উল্লেখ্য, মেসি ২১ বছর আগে ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় এসেছিলেন। গত ১৭ বছর ধরে খেলেছেন ক্লাবের জার্সিতে। এ সময়ের মধ্যে বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন। ১০ বার জয় করেছেন লা লিগা। সাতবার জিতেছেন কোপা দেল রে কাপ। এ ছাড়া চারবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনবার উয়েফা সুপারকাপ, তিনবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও সাতবার স্প্যানিশ সুপারকাপ জয় করেছেন মেসি।

ভিডিও লিংকঃ Rw4JVdZRwP4

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

টিকাদান কর্মসূচিতে কেন্দ্র ও লোকবল বাড়াতে হবে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৯
টিকাদান কর্মসূচিতে কেন্দ্র ও লোকবল বাড়াতে হবে

সংগৃহীত ছবি

করোনার টিকা পাওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কিছুটা দূর হয়েছে। এর আগে যে পরিমাণ টিকা পাওয়া গেছে এবং যে পরিমাণ টিকা আসার পথে আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও পরিস্থিতি এখন অপেক্ষাকৃত স্বস্তিদায়ক। বিশেষ করে জাপান থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার পর প্রথম ডোজ নিয়ে যেসব মানুষ অপেক্ষা করেছিলেন, তাঁরা এখন দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন।

অন্যদিকে টিকা দেওয়া নিয়ে শুরুতে অনেকের মধ্যে যে সংশয় ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল, তা-ও অনেকটা কেটে গেছে। টিকাকেন্দ্রগুলোয় বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় প্রমাণ করে, তাঁরা টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে বিরাট ফারাক রয়ে গেছে। সরকার এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ টিকাকেন্দ্র করেছে, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ কারণে বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল একটি পত্রিকার পাতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হাসপাতালের ফটকে টিকাপ্রার্থী মানুষের দীর্ঘ সারির ছবি ছাপিয়েছে। এ ধরনের ভিড়ে কারও পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব নয়। অনেকেরই টিকা নিতে এসে ফিরে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর প্রতিকার কী? প্রতিকার হলো অধিকসংখ্যক টিকাকেন্দ্র স্থাপন। অধিকসংখ্যক টিকাকেন্দ্র পরিচালনার জন্য অধিক লোকবলেরও প্রয়োজন হবে। কিন্তু সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ অজ্ঞাত কারণে ‘ধীরে চলা নীতি’ অনুসরণ করে চলেছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের শহরে ও গ্রামে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী টিকাকেন্দ্র আছে। হাম-রুবেলা বা অন্য কোনো টিকার বিশেষ প্রচারণার সময় এসব কেন্দ্র থেকে এক দিনে প্রায় দুই কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে ২ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৫ জন। টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৭২ জন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪৩ লাখ ৫ হাজার ৯৬৫ জন। সে ক্ষেত্রে সরকারের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত, প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া। তাহলে করোনার টিকা কেন দিনে তিন লাখ ডোজ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলো? ভারতসহ যেসব দেশ অধিকসংখ্যক টিকা দিয়েছে, সেসব দেশে সংক্রমণের হার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অতএব, টিকা প্রদানে ধীরগতির কোনো যুক্তি আছে বলে মনে করি না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিনে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনতে হলে এই লক্ষ্যমাত্রা কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়াতে হবে। দিনে কমপক্ষে ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা যত দ্রুত কার্যকর করা যাবে, ততই মঙ্গল।

বিধিনিষেধের মধ্যেও করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী, মৃত্যু ও সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। এই অবস্থায় টিকা কর্মসূচি জোরদার করার বিকল্প নেই। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook