মায়ামির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি করলেন এক অ্যাসিস্টও। এতে করে লিগস কাপে প্রতিপক্ষ আটলান্টা ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মায়ামির হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি ও রবার্ট টেলর। ম্যাচের শেষ দিকে মায়ামির ক্রিস্টফার ম্যাকভি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৮৪ মিনিটের সময় আটলান্টা একটি পেনাল্টি পেলেও সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন থিয়াগো আলমাদা।
ম্যাচে জোড়া গোলের সুবাদে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার মেসি ক্যারিয়ারে ৭০০-এর বেশি পেনাল্টি ছাড়া গোল করলেন। তার ক্যারিয়ারে গোল সংখ্যা এখন ৮১০টি। ইন্টার মায়ামির হয়ে ৩টি, পিএসজির হয়ে ৩২, আর্জেন্টিনার হয়ে ১০৩ ও বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২টি গোল।
অভিষেক ম্যাচে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে বদলি হয়ে মাঠে নামেন মেসি। তবে আটলান্টার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির কাঁধে ক্লাবের অধিনায়কত্ব তুলে দেন কোচ টাটা মার্টিনো।
এতে করে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন মেসি। শুরু একাদশে ছিলেন আগের ম্যাচে বদলি নামা অভিজ্ঞ সার্জিও বুসকেটসও।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ইন্টার মায়ামিকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। মাঝমাঠ থেকে বুসকেটসের বাড়ানো বল ধরে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন মেসি। এটি ছিল মায়ামির হয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল। গোল পেয়ে খেলার ধার আরও বেড়ে যায় মায়ামির। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে আটলান্টার রক্ষণকে। যার ফল ম্যাচের ২২ মিনিটে ধরা দেয়। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে বাঁ দিক দিয়ে ফাঁকায় থাকা রবার্ট টেলরকে পাস দেন মেসি। টেলর প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে ব্যাকপাসে মেসিকে দিলে সেখান থেকে দলের লিড দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক মেসি। সূত্র: যুগান্তর
লিওনেল মেসির বার্সোলোনার অধ্যায় শেষ হয়েছে কিছুদিন হলো। মেসিকে হারানোর কষ্টকে বুকে নিয়েই এদিন হাজির হয়েছিল দর্শকরা। ২১ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক চুকিয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পেএসজি) নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। দলের সেরা অস্ত্রকে হারিয়ে ফেলায় কম মাতম হয়নি বার্সেলোনা দলে। তবে সব ভুলে নতুন শুরুতে মন দিতে বলেছিলেন কোচ রোনাল্ড কোয়েমেন। তাতে দারুণ সাড়া মিললো। দাপুটে এক জয়ে মেসিবিহীন অধ্যায়ের শুরু করলো কাতালান ক্লাবটির।
২০২১-২২ মৌসুমে লা লিগা মাঠে গড়িয়েছে গত শনিবার। পরের দিন নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে এদিন ন্যু ক্যাম্পে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-২ গোলে হারায় কাতালানরা। বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেন মার্টিন ব্রাথওয়েট, একটি করে গোল করেন জেরার্ড পিকে ও সার্জিও রবার্তো।
শেষ দিকের তিন মিনিটে জোড়া গোল করলেও হার এড়াতে পারেনি রিয়াল সোসিয়েদাদ। দলটির পক্ষে একটি করে গোল করেন হুলেন লোবেতো ও মিকেল ওইয়ারসাবাল। কিন্তু দুই গোলের ব্যবধান থেকেই যায়। বাকি কয়েক মিনিটে আর বার্সার জালের ঠিকানা পায়নি তারা। উল্টো যোগ করা সময়ে একটি গোল হজম করতে হয় তাদের। ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে বার্সা। তারা গোলমুখে ১৩টি শট নেয়, এর মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। সোসিয়েদাদের নেওয়া ১১টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মাঠে দর্শক প্রবেশ বন্ধ রেখেছিল লা লিগা। এবার নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারছেন। ৫২৬ দিন পর ন্যু ক্যাম্পে প্রিয় দলের খেলা দেখতে এসেছিলেন বার্সা সমর্থকরা। মাঠে ফেরার উচ্ছ্বাস থাকলেও কোথাও যেন বেজে যাচ্ছিল বিষাদের সুর। গ্যালারিতে ক্যামেরা ধরতেই সেটা স্পষ্ট হয়, বিষাদটা মেসিকে ঘিরে।খেলার ১০ মিনিটেই গ্যালারি তে মেসি মেসি চিৎকার করতে থাকতে দর্শকরা। অনেকেই মাঠে এসেছিলেন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার মেসির নাম লেখা জার্সি পরে।
শুরু থেকেই দারুণ ফুটবল খেলতে থাকা বার্সেলোনা ১৯তম মিনিটেই পিকের হেডে গোল পেয়ে যায়। ডান দিক থেকে মেমফিস ডিপাইয়ের ফ্রি কিকে দারুণ হেডে সোসিয়েদারের জালে বল পাঠান জেরার্ড পিকে। রক্ষণভাগের এই খেলোয়াড়ের বার্সার জার্সিতে এটা ৫০তম গোল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরও এগিয়ে যায় বার্সা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রসে কোনাকুনি হেড দিয়ে গোল আদায় করে নেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। ৫৯ তম মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ডেনিশ ফরোয়ার্ড। সোসিয়েদাদ ৮২ ও ৮৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমায়। যোগ করা সময়ে গোল করে বার্সার ৪-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন রবার্তো।
অন্যদিকে আরেক প্রতিপক্ষ্য রিয়াল মাদ্রিদ ও এটলেটিকো মাদ্রিদ নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই লীগ শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ আলাভেসের সাথে জয় পেয়েছে ৪-১ ব্যবধানে আর এটলেটিকো মাদ্রিদ জয় পেয়েছে ২-১ গোলে তারা হারিয়েছে সেল্টা ভিগোকে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, এসএসসির সময় আমরা এটা করেছিলাম। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা দুই বেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে দেরিতে শুরু করলে সমস্যা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি অনেক বেশি ভিড় ও জ্যাম হয়। পরীক্ষার্থীদের অনেক আগে বাসা থেকে বের হতে হয়। দেরি হয়ে গেল কি না, তাদের মধ্যে অ্যানজাইটি কাজ করে। সে জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট করলে ভালো হয়। কিন্তু দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে সেটা আর করা সম্ভব হয়না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা খেয়াল করেছি প্রতি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড়। পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
তিনি বলেন, আগামী বছর চেষ্টা থাকবে এইচএসসি এপ্রিলে করার। এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে। এসএসসি চেষ্টা করব আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
তিনি আরও বলেন, এবার নতুন কিছু সমস্যা হবে না বলে আশা করি। পুরনো যে সমস্যা, তা যাতে না ঘটে, সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাঁচ বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁস নেই। গুজবও কমে এসছে। আশা করি এবারও থাকবে না। সূত্র: যুগান্তর