লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান তিউনিসিয়ার জারজিস এবং তাতাউইন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় প্রবাসীদের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের কল্যাণে দূতাবাসের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
অনেকদিন ধরে লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার স্থল সীমান্ত এবং বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামানের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল স্থলপথে তিউনিসিয়া সফর করেছেন।
সফরকালে দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন অধিদপ্তর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে দেশটির বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবাসনসহ তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছেন বলে জানা যায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সাময়িক ভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে মালয়েশিয়া সরকার হঠাৎ অভিযান শুরু করায় দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরের জালান ইম্বির নামক একটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৩২৮ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (২০ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে আটক করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ২০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ান ১০৮ জন, মিয়ানমারের ৯ জন, ভারতের ৪ জন এবং অন্যান্য দেশের ৩ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে এবং বেশির ভাগই আশপাশের নির্মাণস্থলে কর্মরত ছিলেন।
দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল মোহাম্মদ সাইদ জানান, আটকদের বেশির ভাগই আগে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ধরা পড়েন এবং অনেকেই এক কোম্পানির ভিসা দিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করছেন। এই বিষয়টি অবিলম্বে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ ছাড়াও যদি তদন্তে দেখা যায় যে বিদেশি শ্রমিকরা তাদের নথিতে নিবন্ধিত কাজের বিপরীতে বিভিন্ন খাতে কাজ করছে, তাহলে নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের সফল কোচ অস্কার ব্রুজনকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে যোগ দেবেন জাভিয়ের ফ্লোরেজ। নিজেদর ভবিষ্যৎ ঠিক করতে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের বাসায় যান অস্কার ব্রুজন।
গেল কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন, বসুন্ধরা ছেড়ে তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন জাতীয় দলের। সেই আনুষ্ঠানিকতা সারতেই ফেডারশনের বড় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। অস্কারের চাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক হবে অন্তত এক বছরের। কিন্তু সেখানে জটিলতা তৈরি হয় বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে। আর তাই নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টেও নিশ্চিত নয় এই স্পেনিয়ার্ডের উপস্থিতি।
বিষয়টি নিয়ে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল বলেন, 'অস্কারের সঙ্গে আমাদের সব কিছু চুড়ান্ত হয়েছে। আসন্ন সাফে তিনি জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকছেন।' ব্রুজনের সঙ্গে চুক্তি বাড়বে কিনা এ বিষয়টি স্পষ্ট করেননি কাজী নাবিল। তিনি বলেন, 'আমরা আপাতত সাফ নিয়ে ভাবছি, পরেরটা পরে দেখবো।' এদিকে ব্রুজনের সঙ্গে চুক্তিতে দেশ ছাড়ছেন জেমি ডে। তার সঙ্গে চলে যাচ্ছেন গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লেভলিও।
তবে ফিটনেস ট্রেইনার ইভান রাজলগকে রেখে দিচ্ছে বাফুফে। দেশের ক্লাব ফুটবলে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় দল গোছাতে বেগ পেতে হচ্ছে না স্কারের। তার পরামর্শে বেশ বড় সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে ২৩ সদস্যের দলে। মঙ্গলবার দল ঘোষনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বুধবার দেয়া হবে সাফের দল। সেখানে চমক থাকবে বলে ইঙ্গিত আছে অস্কারের। 'আমি খুবই সন্তুষ্ট। যেভাবে চেয়েছিলাম তার সবই বাফুফে রেখেছে। এখন আমার দায়িত্বটা পালন করতে হবে। দলে করা থাকবে সব গুছিয়ে এনেছি।
আশা করছি, দেশের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।' ব্রুজনের সঙ্গে বাফুফের চুক্ত খন্ডকালীন। তবে বাতাসে জোর গুঞ্জন সাফে সফল হলে বাড়তে পারে এই মেয়াদ। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সাফের ১৩তম আসর।