a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৪৫০ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২১৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৩২৫ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ফাইল ছবি
আগামী মাস থেকে আবারও করোনার টিকা রপ্তানির ঘোষণা দিল ভারত। একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত টিকা উপহার হিসেবেও দেওয়া হবে। আগামী অক্টোবর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের একদিন আগে এলো এই ঘোষণা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে মহামারির ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ায় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি দেখেছে বিশ্ব। নিজের দেশের মানুষকে শতভাগ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিতে গেল বছরের এপ্রিলে বিভিন্ন দেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দিল্লি। এতে প্রতিবেশী দেশগুলোর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তবে সোমবার ভ্যাকসিন নিয়ে ফের সুখবর দিলো দেশটি। অক্টোবর থেকে আবারও করোনার টিকা রফতানি করবে ভারত।
একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত টিকা উপহার হিসেবেও দান করা হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া এই ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত এপ্রিল থেকে ভারতে ভ্যাকসিনের উৎপাদন হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আগামী মাসে উৎপাদন চারগুণ বেশি হতে যাচ্ছে। এতে মাসিক উৎপাদন হবে ৩০০ মিলিয়নের ডোজেরও বেশি। মন্ত্রী জানালেন, টিকা রফতানিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ভারত এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে এক ডোজ ও ২২ শতাংশকে দুইডোজের টিকা দিয়েছে। গত মাস থেকে ভারতের টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন গতি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী দেশ ভারত। গত মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দ্রুতই করোনার টিকার রপ্তানি শুরু করবে ভারত। রপ্তানি স্থগিত করার আগে শতাধিক দেশকে ছয় কোটি ৬০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দান করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
জাহিদ সবুর
২০০৬ সালে স্বপ্ন পুরণের সাক্ষী হয়ে ধরা দেয় বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত সার্চইঞ্জিন হিসেবে পরিচিত গুগল। কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তব হয় ২০০৭ সালে যখন গুগলের সাথে প্রথম কাজ শুরু।২০০৭ সালে গুগলের ব্যাক অ্যান্ড সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ভারতের বেঙ্গালুরু অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এক বাঙালি যুবক, হ্যা নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন কার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন পটুয়াখালীর সন্তান জাহিদ সবুর।
বিশ্বে গুগলের লক্ষাধিক কর্মীর মধ্যে ২৫০ জন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত রয়েছেন। যাদের মধ্যে জাহিদ সবুর একজন গর্বিত বাঙালি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে মেধা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সেরাদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জাহিদ সবুর। যোগ্যতা থাকলে বাঙালিরা যে বহুদূর যেতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ জাহিদ সবুর। জাহিদ সবুরের পিতা পটুয়াখালীর বাসিন্দা ড. মো. শাহজাহান সৌদি আরবে কিং ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। যার ফলে জাহিদের শৈশব কাটে সৌদি আরবে। মা লুৎফুন্নেসা বেগম দেশে থাকার সময় পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন।
সৌদি আরব থেকে মাত্র সাত বছর বয়সে দেশে ফিরে ঢাকায় অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হন জাহিদ। সেই ছোটবেলা থেকে শুধু পড়ালেখার মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেননি জাহিদ সবুর। স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেওয়া, ব্যাডমিন্টন খেলা, বোনের সংগ্রহের বাংলা বই পড়া আর বন্ধুদের সঙ্গেও দারুণ সময় কাটাতে পছন্দ করতেন এই বিস্ময় বালক।
মাধ্যমিকের রেজেল্ট তেমন ভাল না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পূর্বেই উদ্যোক্তা হবার জেদ ছিল তার মনে প্রাণে, আর সেখান থেকেই শুরু তার পথ চলা। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক পাস করেন জাহিদ। পেয়েছেন প্রায় সব একাডেমিক সম্মাননা। জাহিদ সবুর দ্বিতীয় সেমিস্টার থেকেই ফুল স্কলারশিপে পড়ে ধারাবাহিকভাবে নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসেই কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আর সিস্টেম ডিজাইন এসবের হাতেখড়ি। কোনো কিছু সৃষ্টির যে অপার আনন্দ, তা পুরোপুরিই উপভোগ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং পুরস্কারও জিতেছেন।
পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে জিআরইও দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকার সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টিতে আবেদন করে চারটিতে ডাক পান ফুল ফান্ডিংসহ। কিন্তু সে মুহূর্তে গুগলে কাজ করার সুযোগ লুফে নেন এই তরুণ। তাই ঢুকে পড়েন বিশ্বের সকল মানুষের কাঙ্ক্ষিত এই কর্মক্ষেত্রে। তিনি গুগলে কাজ শুরু করেন তৃতীয় গ্রেডে। বর্তমানে তার অবস্থান অষ্টম গ্রেডে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ভারতে কাজ করেছেন তার ছয় মাস পর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের সদর দপ্তরে। এখন কাজ করছেন গুগলের জুরিখ দপ্তরে।
জাহিদ সবুরের সাফল্য থেকে বর্তমান তরুণরা শিক্ষা নিতে পারে, সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধার দরকার নেই বরং অধ্যবসায় আর পরিশ্রমই পারে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।