নাপা সিরাপের তিনটি ব্যাচের নমুন পরীক্ষা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, সেখানে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধের ওই তিনটি ব্যাচের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এই তথ্য জানান।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, শিশু দুটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর। আশুগঞ্জের যে দোকান থেকে কেনা ওষুধ সেবনের পর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সেই দোকান থেকে আটটি বোতল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আরও দুটি ব্যাচের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই তিন ব্যাচের নাপা সিরাপে ক্ষতিকর কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।
তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যে বোতলের সিরাপ শিশু দুটিকে খাওয়ানো হয়েছিল, সেটা পরীক্ষা করতে পারেনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশে ওই সিরাপের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সূত্র: সমকাল
আমাদের শরীর যে খাবারগুলো গ্রহণ করে সেগুলোকে ভাঙ্গতে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। শরীরে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে তা জয়েন্টগুলোতে বাসা বাঁধতে পারে এবং সব ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক এসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ এমজি/ডিএল হলে সহনীয়। এই পরিমাণ থেকে বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরে তৈরি কিছু পানীয় পান নিম্নোক্তভাবে করা যেতে পারে।
লেবুপানি
প্রতিদিন সকালে লেবুপানি পান করতে পারেন। এটি ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে। লেবুতে থাকা উচ্চ ভিটামিন ‘সি’ শরীরকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দেয়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবু ছেঁকে নিন এবং পান করুন।
হলুদ দুধ
হলুদ মেশানো দুধ খেলে শুধু আরামই মেলে না, সেই সঙ্গে এটি প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে কাজ করে। হলুদে পাওয়া জাদুকরী যৌগ কারকিউমিন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ দিয়ে নাড়ুন এবং পান করুন। উপকারিতা নিজেই টের পাবেন।
শসার রস
শসা মানেই শীতলতা ও সতেজতা। শসায় থাকে ৯০% পানি। এটি ইউরিক এসিডসহ টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে পিউরিনের পরিমাণ খুব কম, যার মানে এটি সমস্যা বাড়াবে না। অল্প পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে গরমের দিনে এটি উপভোগ করুন।
আদা চা
এটি এমন লোকদের জন্য যারা আদা চায়ের উষ্ণতা পছন্দ করেন। আদা শুধু মসলাদার স্বাদই যোগ করে না, সেই সঙ্গে এটি প্রদাহবিরোধী উপকারিতায়ও পূর্ণ। এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আদার কয়েকটি টুকরা পানিতে সেদ্ধ করুন এবং চা তৈরি করতে একটু মধু যোগ করুন। এটি জয়েন্টগুলোর জন্য বিস্ময়কর কাজ করে।
ডার্ক চকলেট
এই চকলেটে থেওব্রোমাইন থাকে। এই যৌগ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস করে। চকলেট খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, এমনটা কিন্তু নয়।
যেহেতু অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মাধ্যমে নির্গত হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে এটি কিডনিতেও জমতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়াও এমনটা ঘটলে পিঠে বা কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তপাতও ঘটে। এগুলো শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এই ক্ষেত্রে প্রথম থেকে জীবনধারাকে নিয়ন্ত্রণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ডায়েটে সামান্য পরিবর্তন আনলে চট করে বাড়ে না ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। কিন্তু এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, ফল বেশি করে খান। সাইট্রাস ফল অর্থাৎ লেবুর রস বেশি করে খান। এর পাশাপাশি শরীরকে সক্রিয় রাখুন। নিয়মিত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকবে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও সহজে বাড়বে না।
যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন-
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ধূমপান করা যাবে না। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ওষুধের ওপর নির্ভর করতেই হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বাংলাদেশের ৫ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী দু’দিনে দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের প্রথমার্ধে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।